বেগুনবাড়ী বস্তিতে আগুন-কারণ খতিয়ে দেখা হোক

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেগুনবাড়ী বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ৮টি বাড়ির ৬ শতাধিক টিনের ঘর। এর ফলে গৃহহারা হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের বেশিরভাগই গার্মেন্ট শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় দুর্ভোগে পড়েছে বস্তিবাসী নিম্ন আয়ের মানুষরা।


আবাসন হারিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। দমকল বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে তারা হাতিরঝিল সংলগ্ন বেগুনবাড়ী বস্তিতে আগুন লাগার খবর পান। পৌনে ১১টার দিকে দমকল বাহিনীর একাধিক ইউনিট কাজ শুরু করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দুপুর ২টার দিকে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য জানা গেছে। দমকল বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্যাসের চুলা বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত। তিনতলাবিশিষ্ট ঘরগুলো তৈরি হয়েছে কাঠ, টিন ও বাঁশ দিয়ে। এসব কক্ষে বিদ্যুৎ ও গ্যাসলাইন ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভিন্ন বক্তব্যও রয়েছে। পুড়ে যাওয়া একটি বাড়ির সুপারভাইজার জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী একটি গার্মেন্টের ঝুট থেকে আগুনের সূত্রপাত। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপ ও গাড়ি ঢুকতেও নাকি বাধা দিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান। আমরা মনে করি, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। ভয়াবহ এই অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় আবাস হারিয়েছে যারা তাদের আয় সীমিত। এই মানুষগুলোর পুনর্বাসন নিশ্চিত করা জরুরি। অগি্নকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই জানিয়েছেন, খাবার কিনে খাওয়ার মতো টাকাও তাদের কাছে অবশিষ্ট নেই। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে তাদের সহায়তার উদ্যোগ নিতে হবে। বস্তি বা এই ধরনের অবকাঠামোতে অগি্নকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগি্নকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হয় না। বেগুনবাড়ী বস্তিতে অগি্নকাণ্ডের সব কারণ খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
 

No comments

Powered by Blogger.