আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার

আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৩৩ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তালেবান দমন ও আফগানিস্তানের নিজস্ব বাহিনীর হাতে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রায় তিন বছর আগে অতিরিক্ত এই সেনা পাঠানো হয়েছিল। পেন্টাগন এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।


আফগানিস্তানে অবস্থানরত ন্যাটো বাহিনীর সেনাদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার ঘটনা আগের যেকোনো বছরের চেয়ে চলতি বছরে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এ ধরনের হামলায় এ বছর এখন পর্যন্ত ৫১ জন ন্যাটো সেনা নিহত হয়েছে। সম্প্রতি মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননা করে নির্মিত চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করেও বিদেশি সেনাদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আফগান নিরাপত্তা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হওয়াতেই তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রসঙ্গত, অতিরিক্তি সেনা প্রত্যাহারের পরও আফগানিস্তানে ৬৮ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। ২০১৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই এসব সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
অতিরিক্ত সেনাদের প্রত্যাহারের কাজ গত জুলাই থেকে শুরু হয়। প্রায় তিন মাস ধরে পর্যায়ক্রমে এসব সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা এক বিবৃতিতে বলেন, 'তালেবানের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় আফগানিস্তানে সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছিল। যে লক্ষ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল তা অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি আল-কায়েদার নেতৃত্বের ওপরও সমানভাবে আঘাত করা সম্ভব হয়েছে। আল-কায়েদার মধ্যে বিভক্তি, ভাঙন এবং তাদের প্রতিহত করার লক্ষ্যমাত্রায় পেঁৗছাতে পেরেছি।' তবে এখনো হাজার হাজার সেনা আফগানিস্তানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্যানেটা আরো বলেন, 'আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দেশের নিরাপত্তা ভার তুলে দেওয়ার নীতি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক মহল একত্রে কাজ করে যাচ্ছে।' উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ টহল অভিযান সীমিত করার ঘোষণা দেয় ন্যাটো। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.