চুলের জন্য ২৪ হাজার মাইল!

চুলের ফ্যাশন নিয়ে খুঁতখুঁতে স্বভাব দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। কিন্তু কতটা খুঁতখুঁতে হলে একজন মানুষ ৪০০ মাইল পাড়ি দিয়ে পছন্দের কেশবিন্যাসকারীর কাছে যেতে পারেন? তাও আবার বছরে অন্তত ছয় বার! ব্রিটেনের শ্রোপশায়ার কাউন্টির শ্রুসবারি এলাকার সুসান পার্কার জোনস গত প্রায় চার দশক ধরে এ কাজ করছেন।


গাড়িতে চার ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে নর্দাম্পটনশায়ারের কেটারিংয়ে গিয়ে হেয়ার স্টাইলিস্ট জো স্পার্কসের কাছে চুল কাটাচ্ছেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে জোয়ের কাছে প্রায় ২০০ বার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করেছেন সুসান। আর এই ৩৭ বছরে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে ২৪ হাজার মাইল (৩৮ হাজার ৬২৪ কিলোমিটার) পথ, যা পৃথিবীর পরিধির প্রায় সমান।
সুসান শ্রুসবারিতে একটি গেস্ট হাউস চালান। ১৯৭৫ সালে প্রথম জোয়ের কাছে চুল কাটান তিনি। জো'র চুল কাটার নৈপুণ্যে মুগ্ধ হয়ে যান সুসান। স্পার্কসের নিয়মিত খদ্দেরে পরিণত হন। কয়েক বছর পর জো শ্রুসবারি ছেড়ে নর্দাম্পটনশায়ারের কেটারিংয়ে চলে যান। চুল কাটার সুবাদে সুসানের সঙ্গে জোয়ের যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল, স্থানের দুরত্ব তা এতটুকুও কমাতে পারেনি। মাত্র ১৩ পাউন্ডের চুল কাটা ব্লো-ড্রাইয়ের জন্য হাজার হাজার পাউন্ডের জ্বালানি তেল খরচ করেছেন সুসান। প্রতিবারই নিজের চুল কাটার জন্য ৪০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে কেটারিংয়ে গেছেন তিনি। সুসান বলেন, 'আমি এমন কাউকে চাচ্ছিলাম, চুলের স্টাইলের ব্যাপারে যে আমার চাওয়াটা ভালো করে বুঝতে পারে। জো প্রথমবার আমার চুল কাটার পরই আমি বুঝতে পারি, তিনি আমার ভাবনা বুঝতে পেরেছেন। আর পথের খরচ তো তাঁর চুল কাটাতেই উঠে যায়। জো ১৫০ শতাংশ নৈপুণ্য দিয়ে চুল কাটে। এ কারণেই তিনি আজ সফল। তিনি এতটাই ভালো যে হলিউডের তারকারাও তাঁর কাছে চুল কাটিয়ে খুশি হবেন। চুল নিয়ে তিনি যেকোনো কিছু করতে পারেন। এখন পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২০০ ধরনের হেয়ারস্টাইল করিয়েছি আমি।'
গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চুল কাটার কাজে যুক্ত জো (৫৮) বলেন, 'এখন পর্যন্ত পাওয়া খদ্দেরদের মধ্যে সুসান আমার সবচেয়ে বড় ভক্ত। বিগত বছরগুলোর আলাদা আলাদা চুলের ফ্যাশনের প্রতি তিনি খুবই আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁর জন্য নতুন স্টাইল আনা আমার জন্য চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।' সূত্র : ডেইলি মেইল।

No comments

Powered by Blogger.