অভিবাসন ব্যয় নীতিমালা কঠোর করছে সরকার-সর্বোচ্চ ৫১ হাজার টাকা নেওয়া যাবে by আবুল কাশেম
বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে যাবতীয় খরচ বা অভিবাসন ব্যয় বাবদ কোনো শ্রমিকের কাছ থেকেই তাঁর তিন মাসের মজুরির সমপরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা নিতে পারবে না রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এ ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া বাদে ইউরোপ, এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ খরচ ৫১
হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এর মধ্যেই এজেন্সিগুলোর মুনাফা বা সার্ভিস চার্জ ধরা আছে ২০ হাজার টাকা। কোনো শ্রমিককে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে এই অর্থের সঙ্গে কেবল বিমানের ভাড়া যোগ হবে। বর্তমানে দেশভেদে শ্রমিকদের কাছ থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তিন থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ইচ্ছামাফিক অর্থ আদায়ের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার। কোনো এজেন্সি নির্দিষ্ট হারের চেয়ে বেশি অর্থ নিলে ওই এজেন্সির জামানত বাতিলসহ লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। কোনো শ্রমিক বিদেশে যেতে রিক্রুটিং এজেন্সি বা তাঁদের মনোনীত এজেন্টকে (দালাল) বেশি অর্থ দিলে ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে সরকার। এ ধরনের বিধান রেখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অভিবাসন ব্যয়-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করছে। অবশ্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারের এই হিসাবকে অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। তারা অভিবাসন ব্যয় কমপক্ষে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত বলে জানিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বুধবার নিজের দপ্তরে কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিবাসন ব্যয় ৮০ হাজার টাকাও অনেক বেশি হয়ে যায়। তারও অনেক কমে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করা উচিত। তিনি বলেন, কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রমিকের তিন মাসের মজুরির সমপরিমাণ অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ নিলে বা দাবি করলে তার জামানত বাতিল করা হবে। বিদেশে যেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে উপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে বেশি অর্থ নেওয়া রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর তথ্য গোপন রেখে কারো কাছ থেকে ভিন্ন কৌশলে বেশি অর্থ নিলে বা কেউ অর্থ দিলে উভয়ের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বছর দশেক আগে বিমানের ভাড়াসহ অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৮৪ হাজার টাকা। তবে কাগজে-কলমে তা মানলেও বাস্তবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অভিবাসীদের কাছ থেকে নিচ্ছে তিন থেকে ১০ গুণ বেশি অর্থ। এখন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠাতে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাঁদের দালালরা। এতে একজন শ্রমিকের মাসিক মজুরি আনুমানিক ২০ হাজার টাকা হলেও অভিবাসন ব্যয় তুলতেই তাঁর সময় লাগে দেড় থেকে আড়াই বছর। ইউরোপের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে আট থেকে ১০ লাখ টাকা। এশিয়ার অন্যান্য দেশ-মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। বাংলাদেশের এই অভিবাসন ব্যয় প্রতিবেশী দেশ ভারত ও নেপালের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিমানের টিকিট বাদ দিলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, মরিশাস, কাতার, বাহরাইন, ওমান, মিসর, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপে অভিবাসন ব্যয়ের পরিমাণ সর্বনিম্ন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ১৫০ টাকা লাগার কথা।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বিমান ভাড়া ছাড়া সৌদি আরবে অভিবাসন ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৯২৫ টাকা। এর মধ্যে আয়কর এক হাজার টাকা, ট্রেড টেস্টিং বা ওরিয়েন্টেশন ফি এক হাজার টাকা, কল্যাণ তহবিল ২৫০ টাকা, মেডিক্যাল চেকআপ ২৯০০, রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ ২০ হাজার ও দূতাবাস ফি ২৭৭৫ টাকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই খরচ ২৫ হাজার ১৫০ টাকা। এখানে দূতাবাস ভিসা ফি লাগে না বলে মোট খরচ সৌদি আরবের চেয়ে কম। মালয়েশিয়ায় এই খরচ পড়বে ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা। বিমান ভাড়া বাদে সিঙ্গাপুরে খরচ হবে ২৫ হাজার টাকা। মরিশাসে মোট খরচ পড়বে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা। লিবিয়ায় মোট খরচ ৩২ হাজার ৮৫০ টাকা, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে ২৫ হাজার ১৫০ টাকা করে। মিসরে এই খরচ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৯০০ টাকা। ইউরোপের ক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যয় স্থির করা হয়েছে ৫১ হাজার ১৫০ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের হিসাব করা অভিবাসন ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে অগ্রিম আয়কর, ট্রেড টেস্টিং/ওরিয়েন্টেশন ফি, কল্যাণ তহবিল, মেডিক্যাল চেকআপ, রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ, দূতাবাস ভিসা ফি এবং ইনস্যুরেন্স ফি।
দেশভেদে বিমান ভাড়া ভিন্ন হওয়ায় অভিবাসন ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে বিমান ভাড়া অভিবাসন ব্যয়ের আওতাভুক্ত হবে। আর অভিবাসন ব্যয় গ্রহণকালে শ্রমিকাদের অপরিহার্যভাবে অর্থ গ্রহণের রসিদ দিতে হবে রিক্রুটিং এজেন্সিকে।
অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য জনশক্তি আমদানিতে আগ্রহী দেশগুলোকে শ্রমিকের যাওয়ার টিকিট খরচ ওই দেশের নিয়োগদাতা কম্পানি বহন করবে- এমন শর্ত দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশটির শ্রমিক নিয়োগকারী কম্পানিগুলোকেই বিমানের টিকিট খরচ বহন করতে হবে। যে কম্পানি তা বহন করবে না, তাদের কাছে লোকও পাঠানো হবে না।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে বিদেশে পাঠাতে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি দুই-তিন লাখ করে টাকা নিচ্ছে, তারা খুবই অগ্রহণযোগ্য ও অমানবিক কাজ করছে। অন্যদিকে মন্ত্রী অভিবাসন ব্যয় নিয়ে যে হিসাব দিচ্ছেন, তা-ও অবাস্তব। তাঁর মতে, বিমান ভাড়াসহ অভিবাসন ব্যয় সর্বোচ্চ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত। তাঁর হিসাবে, এক দশক আগেই যেখানে অভিবাসন ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে ৮৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, এখন তা কোনোমতেই কমে অর্ধেক হতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল চেক-আপসহ সব খরচই বেড়েছে। তাই অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত। কোনো এজেন্সি এর চেয়ে এক টাকা বেশি নিলে তার লাইসেন্স বাতিল করাসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। কেবল আইন তৈরি করলেই হবে না, কঠোরভাবে তা বাস্তবায়নও করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ইচ্ছামাফিক অর্থ আদায়ের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার। কোনো এজেন্সি নির্দিষ্ট হারের চেয়ে বেশি অর্থ নিলে ওই এজেন্সির জামানত বাতিলসহ লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। কোনো শ্রমিক বিদেশে যেতে রিক্রুটিং এজেন্সি বা তাঁদের মনোনীত এজেন্টকে (দালাল) বেশি অর্থ দিলে ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে সরকার। এ ধরনের বিধান রেখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অভিবাসন ব্যয়-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা চূড়ান্ত করছে। অবশ্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারের এই হিসাবকে অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। তারা অভিবাসন ব্যয় কমপক্ষে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত বলে জানিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বুধবার নিজের দপ্তরে কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিবাসন ব্যয় ৮০ হাজার টাকাও অনেক বেশি হয়ে যায়। তারও অনেক কমে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করা উচিত। তিনি বলেন, কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রমিকের তিন মাসের মজুরির সমপরিমাণ অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ নিলে বা দাবি করলে তার জামানত বাতিল করা হবে। বিদেশে যেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে উপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে বেশি অর্থ নেওয়া রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর তথ্য গোপন রেখে কারো কাছ থেকে ভিন্ন কৌশলে বেশি অর্থ নিলে বা কেউ অর্থ দিলে উভয়ের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বছর দশেক আগে বিমানের ভাড়াসহ অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৮৪ হাজার টাকা। তবে কাগজে-কলমে তা মানলেও বাস্তবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো অভিবাসীদের কাছ থেকে নিচ্ছে তিন থেকে ১০ গুণ বেশি অর্থ। এখন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠাতে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সি ও তাঁদের দালালরা। এতে একজন শ্রমিকের মাসিক মজুরি আনুমানিক ২০ হাজার টাকা হলেও অভিবাসন ব্যয় তুলতেই তাঁর সময় লাগে দেড় থেকে আড়াই বছর। ইউরোপের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে আট থেকে ১০ লাখ টাকা। এশিয়ার অন্যান্য দেশ-মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। বাংলাদেশের এই অভিবাসন ব্যয় প্রতিবেশী দেশ ভারত ও নেপালের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।
মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিমানের টিকিট বাদ দিলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, মরিশাস, কাতার, বাহরাইন, ওমান, মিসর, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপে অভিবাসন ব্যয়ের পরিমাণ সর্বনিম্ন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ১৫০ টাকা লাগার কথা।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বিমান ভাড়া ছাড়া সৌদি আরবে অভিবাসন ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৯২৫ টাকা। এর মধ্যে আয়কর এক হাজার টাকা, ট্রেড টেস্টিং বা ওরিয়েন্টেশন ফি এক হাজার টাকা, কল্যাণ তহবিল ২৫০ টাকা, মেডিক্যাল চেকআপ ২৯০০, রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ ২০ হাজার ও দূতাবাস ফি ২৭৭৫ টাকা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই খরচ ২৫ হাজার ১৫০ টাকা। এখানে দূতাবাস ভিসা ফি লাগে না বলে মোট খরচ সৌদি আরবের চেয়ে কম। মালয়েশিয়ায় এই খরচ পড়বে ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা। বিমান ভাড়া বাদে সিঙ্গাপুরে খরচ হবে ২৫ হাজার টাকা। মরিশাসে মোট খরচ পড়বে ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা। লিবিয়ায় মোট খরচ ৩২ হাজার ৮৫০ টাকা, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে ২৫ হাজার ১৫০ টাকা করে। মিসরে এই খরচ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৯০০ টাকা। ইউরোপের ক্ষেত্রে অভিবাসন ব্যয় স্থির করা হয়েছে ৫১ হাজার ১৫০ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের হিসাব করা অভিবাসন ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে অগ্রিম আয়কর, ট্রেড টেস্টিং/ওরিয়েন্টেশন ফি, কল্যাণ তহবিল, মেডিক্যাল চেকআপ, রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ, দূতাবাস ভিসা ফি এবং ইনস্যুরেন্স ফি।
দেশভেদে বিমান ভাড়া ভিন্ন হওয়ায় অভিবাসন ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে বিমান ভাড়া অভিবাসন ব্যয়ের আওতাভুক্ত হবে। আর অভিবাসন ব্যয় গ্রহণকালে শ্রমিকাদের অপরিহার্যভাবে অর্থ গ্রহণের রসিদ দিতে হবে রিক্রুটিং এজেন্সিকে।
অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য জনশক্তি আমদানিতে আগ্রহী দেশগুলোকে শ্রমিকের যাওয়ার টিকিট খরচ ওই দেশের নিয়োগদাতা কম্পানি বহন করবে- এমন শর্ত দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশটির শ্রমিক নিয়োগকারী কম্পানিগুলোকেই বিমানের টিকিট খরচ বহন করতে হবে। যে কম্পানি তা বহন করবে না, তাদের কাছে লোকও পাঠানো হবে না।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে বিদেশে পাঠাতে যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি দুই-তিন লাখ করে টাকা নিচ্ছে, তারা খুবই অগ্রহণযোগ্য ও অমানবিক কাজ করছে। অন্যদিকে মন্ত্রী অভিবাসন ব্যয় নিয়ে যে হিসাব দিচ্ছেন, তা-ও অবাস্তব। তাঁর মতে, বিমান ভাড়াসহ অভিবাসন ব্যয় সর্বোচ্চ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত। তাঁর হিসাবে, এক দশক আগেই যেখানে অভিবাসন ব্যয় সরকারের পক্ষ থেকে ৮৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, এখন তা কোনোমতেই কমে অর্ধেক হতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল চেক-আপসহ সব খরচই বেড়েছে। তাই অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা উচিত। কোনো এজেন্সি এর চেয়ে এক টাকা বেশি নিলে তার লাইসেন্স বাতিল করাসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। কেবল আইন তৈরি করলেই হবে না, কঠোরভাবে তা বাস্তবায়নও করতে হবে।
No comments