সিরীয় বিদ্রোহীদের সহায়তায় ওবামার গোপন নির্দেশ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তাঁর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একটি গোপন নির্দেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি এটা করেছেন চলতি বছরের শুরুর দিকেই। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর ফলে, দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং অন্য সংস্থাগুলো আসাদবিরোধীদের সহায়তার অনুমোদন পায়। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আসাদবিরোধী সশস্ত্র বাহিনীকে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্র দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মিত্র রাষ্ট্র ইতিমধ্যে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়েছে।
তবে ওবামার গোপন নির্দেশে সই করার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হোয়াইট হাজস মুখপাত্র টমি ভিয়েটর।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে বিদ্রোহীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিদ্রোহীদের সহায়তার বিষয়ে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মনোভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। পূর্বে এই কর্মকর্তারাই মনে করতেন, আসাদবিরোধীরা অসংগঠিত এবং এটি বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহ মাত্র।
ওবামার ওই নির্দেশনা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, তুরস্ক ও তার সহযোগীদের পরিচালিত একটি গোপন কমান্ড সেন্টারে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় আসাদবিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এবং যোগাযোগবিষয়ক সহায়তা দেওয়ার জন্য সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্ক একটি গোপন ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। সিরিয়া সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে তুরস্কের আদানা শহরে নির্মিত এ ঘাঁটির কাছেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। তুরস্ক বহু দিন থেকেই আসাদ সরকারের পতদের দাবি জানাচ্ছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে, সৌদি আরব ও কাতারের ধনী পরিবারগুলো বিদ্রোহীদের অর্থসাহায্য করছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে ইতিমধ্যেই ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্য অস্ত্র পেঁৗছেছে। তুরস্কের মাধ্যমে এগুলো বিদ্রোহীদের হাতে পেঁৗছেছে। যদিও বিদ্রোহীরা বিষয়টি স্বীকার করেনি।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোপন নির্দেশনার বিষয়টি চাউর হওয়ার আগেই প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আসাদবিরোধীদের সহায়তা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, বিরোধীদের প্রাণঘাতী নয় এমন আড়াই কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ছয় কোটি ৪০ লাখ ডলার দেওয়া হবে মানবিক ত্রাণ সহায়তা হিসেবে।
তবে সিরিয়া প্রসঙ্গে ওবামা খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছেন বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। বিরোধী রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর জন ম্যাককেইন ও লিন্ডসে গ্রাহামের মতো আইনপ্রণেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত সিরীয় বিদ্রোহীদের সরাসরি অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা।
সিরিয়াবিষয়ক আলোচনায় জর্ডানে প্যানেটা : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা তিউনিসিয়া, মিসর ও ইসরায়েল সফর শেষে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার জর্ডানে পেঁৗছেছেন। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। পেঁৗছানোর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'সিরিয়ায় যা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের দুই দেশেরই উদ্বেগ রয়েছে। এর প্রভাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও পড়বে।' সূত্র : এএফপি।
তবে ওবামার গোপন নির্দেশে সই করার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হোয়াইট হাজস মুখপাত্র টমি ভিয়েটর।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে বিদ্রোহীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিদ্রোহীদের সহায়তার বিষয়ে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মনোভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। পূর্বে এই কর্মকর্তারাই মনে করতেন, আসাদবিরোধীরা অসংগঠিত এবং এটি বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহ মাত্র।
ওবামার ওই নির্দেশনা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, তুরস্ক ও তার সহযোগীদের পরিচালিত একটি গোপন কমান্ড সেন্টারে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় আসাদবিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এবং যোগাযোগবিষয়ক সহায়তা দেওয়ার জন্য সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্ক একটি গোপন ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। সিরিয়া সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে তুরস্কের আদানা শহরে নির্মিত এ ঘাঁটির কাছেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। তুরস্ক বহু দিন থেকেই আসাদ সরকারের পতদের দাবি জানাচ্ছে। তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে, সৌদি আরব ও কাতারের ধনী পরিবারগুলো বিদ্রোহীদের অর্থসাহায্য করছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে ইতিমধ্যেই ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্য অস্ত্র পেঁৗছেছে। তুরস্কের মাধ্যমে এগুলো বিদ্রোহীদের হাতে পেঁৗছেছে। যদিও বিদ্রোহীরা বিষয়টি স্বীকার করেনি।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গোপন নির্দেশনার বিষয়টি চাউর হওয়ার আগেই প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আসাদবিরোধীদের সহায়তা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, বিরোধীদের প্রাণঘাতী নয় এমন আড়াই কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ছয় কোটি ৪০ লাখ ডলার দেওয়া হবে মানবিক ত্রাণ সহায়তা হিসেবে।
তবে সিরিয়া প্রসঙ্গে ওবামা খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছেন বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। বিরোধী রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর জন ম্যাককেইন ও লিন্ডসে গ্রাহামের মতো আইনপ্রণেতারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচিত সিরীয় বিদ্রোহীদের সরাসরি অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করা।
সিরিয়াবিষয়ক আলোচনায় জর্ডানে প্যানেটা : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা তিউনিসিয়া, মিসর ও ইসরায়েল সফর শেষে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার জর্ডানে পেঁৗছেছেন। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। পেঁৗছানোর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'সিরিয়ায় যা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের দুই দেশেরই উদ্বেগ রয়েছে। এর প্রভাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপরও পড়বে।' সূত্র : এএফপি।
No comments