রেলমন্ত্রীর কাজে ক্ষুব্ধ দিল্লী, প্রতিদিন বস্তাবোঝাই ফাইল যাচ্ছে কলকাতা by মানস বন্দ্যোপাধ্যয়
রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের কাজকর্মের ধারা দেখে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী নেতারা প্রচ- ক্ষুব্ধ। কংগ্রেস, আর জে ডি, জে ডি (ইউ) এমনকি সমাজবাদী পার্টির নেতারাও এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বহুদিন পর বৃহস্পতিবার রায়কে দেখা গেল দিল্লীতে।
তিনি বেলজিয়াম এবং ভারতের মধ্যে রেল ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি সমঝোতা ম্মারক স্বাক্ষর করতে দিল্লীতে এসেছেন। অধিকাংশ সময় রেলমন্ত্রী কলকাতায় থাকেন। রেলের দায়িত্বভার নেয়ার পর থেকেই রায় দিল্লী থেকে গায়েব। রেল ভবন চলছে ভগবান ভরসায়। মন্ত্রীর ঘর বন্ধ দেখে কর্মীরা আধা ছুটি উপভোগ করছেন। গত মঙ্গলবার তিনি দিল্লীতে এসেছিলেন বাধ্য হয়ে। সোমবার নেলোরে ট্রেন দুর্ঘটনার ফলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মঙ্গলবার সকালে দিল্লী এসে আবার লাঞ্চের আগেই কলকাতা চলে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি নেলোরে পৌঁছেছেন সোমবার সন্ধ্যা ৬টায়। যদিও দুর্ঘটনা ঘটেছে ভোর সাড়ে ৪টায়। রেল ভবনে মন্ত্রীর উপস্থিতির জন্য কোন রেজিস্টার না থাকলেও ১১৫ কর্ম দিনের মধ্যে মাত্র ২০ দিন তিনি রেল ভবনে উপস্থিত ছিলেন। ৯৫ দিন তিনি মিসিং মিনিস্টার। প্রতি বুধবার রেল ভবনে রেল বোর্ডের মিটিং হয়। রায় তাতে উপস্থিত থাকতে পারেন না। দিল্লীতে থাকলে তিনি সম্পূর্ণ বোর্ড নয়ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পূর্বসূরি মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এভাবেই কাজ করতেন। পড়ে থাকতেন অধিকাংশ সময় কলকাতায়। তবে মমতার মাথায় তখন আসল চিন্তা ছিল সিপিএমকে উৎখাত করা।
অনুপস্থিত মন্ত্রী মমতার মতোই মুকুলের জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসে ব্যাগের পর ব্যাগ বোঝাই ফাইল পাঠানো হচ্ছে কলকাতায় দৈনিক। নিজাম প্যালেসে বসে তিনি জরুরী ফাইল দেখে আবার ফেরত পাঠাচ্ছেন সেই দিন রাজধানীতে। বিভিন্ন ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার, ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররা জরুরী কাজ নিয়ে দিল্লী এসে খালি হাতে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ২৪ জুলাই রায় দিল্লী এসেছিলেন। ছিলেন ২৫ জুলাইও। তিনি এসেছিলেন মমতাকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সঙ্গ দিতে। এক ফাঁকে রেল ভবনেও গিয়েছিলেন। খরা নিয়ে ইজিওএম বৈঠকে তিনি ছিলেন না। ছিলেন না কয়েকটি কেবিনেট বৈঠকেও।
অনুপস্থিত মন্ত্রী মমতার মতোই মুকুলের জন্য রাজধানী এক্সপ্রেসে ব্যাগের পর ব্যাগ বোঝাই ফাইল পাঠানো হচ্ছে কলকাতায় দৈনিক। নিজাম প্যালেসে বসে তিনি জরুরী ফাইল দেখে আবার ফেরত পাঠাচ্ছেন সেই দিন রাজধানীতে। বিভিন্ন ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার, ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররা জরুরী কাজ নিয়ে দিল্লী এসে খালি হাতে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ২৪ জুলাই রায় দিল্লী এসেছিলেন। ছিলেন ২৫ জুলাইও। তিনি এসেছিলেন মমতাকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সঙ্গ দিতে। এক ফাঁকে রেল ভবনেও গিয়েছিলেন। খরা নিয়ে ইজিওএম বৈঠকে তিনি ছিলেন না। ছিলেন না কয়েকটি কেবিনেট বৈঠকেও।
No comments