সম্পাদক সমীপে
গ্যাস সঙ্কট ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের দণি-পূর্বাঞ্চলে তীব্র গ্যাস সঙ্কটের কারণে আবাসিক গ্রাহকগণকে বছরজুড়েই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যার সমাধান এ পর্যন্ত না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত চরবাসী। প্রতিদিন সকাল ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত পাইপলাইনে গ্যাসের প্রবাহ কম থাকায় দিনের বেলায় রান্না করা সম্ভব হয় না, বিধায় বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না
করতে হয় নতুবা শুকনো খাবার খেতে হয়। রাত ১০টার পর গ্যাসের প্রবাহ স্বাভাবিক হলে অধিকাংশ পরিবার পরের দিনের জন্য অগ্রিম রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন। যাদের ফ্রিজ নেই তাদের পচা-বাসি খাবার খেতে হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বপ্রথম চরে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়, পরে ৬৯ কিলোমিটারব্যাপী ২র্ র্ -৪র্ র্ গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করে। বর্তমানে চর এলাকায় ৮ হাজার আবাসিক গ্রাহক, ১৬৫ বাণিজ্যিক গ্রাহক ও ৮টি শিল্প গ্রাহক রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে হাজারীবাগের ডি.আর.এস থেকে চরের উত্তরাঞ্চলে ৮র্ র্ ব্যাসের গ্যাস পাইপলাইনের সম্প্রসারণ করায় সেখানে গ্যাসের সঙ্কট নেই। কয়েকটি শিল্পকারখানা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস টানায় চরের দণি-পূর্বাঞ্চলে তীব্র গ্যাসের সঙ্কট বিরাজ করছে প্রায় তিন বছর যাবত। শিল্প কারখানাগুলো রাতের বেলায় যখন বন্ধ হয়, তখন পাইপলাইনে গ্যাসের প্রবাহ স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গ্যাস সঙ্কটের কারণে এই অঞ্চলের কোন নতুন গ্রাহককে গ্যাস সংযোগের অনুমোদন দিচ্ছে না তিতাস গ্যাস কতর্ৃপ। এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, গ্যাস সংকট কবলিত এই অঞ্চলে ৮র্ র্ ব্যাসের গ্যাস পাইপ স্থাপন করা হলে গ্যাসের সঙ্কট থাকবে না। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে গ্যাস সঙ্কট নিরসনের জন্য তিতাস গ্যাস কতর্ৃপরে নিকট একাধিক লিখিত অভিযোগ করার পরও কোন ফলোদয় হয়নি।
ইলিয়াছ আহমদ বাবুল
রহমতবাগ, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
অতীত থেকে শিা নিন
দৈনিক 'জনকণ্ঠ' ২২/১২/০৯ সংখ্যায় শীর্ষকলামে 'প্রশাসনে ােভ জোট আমলের সুবিধাভোগীরা বহাল তবিয়তে' শীর্ষক লেখাটি পড়ে বিস্মিত ও চিন্তিত হলাম। মনে প্রশ্ন জাগল এত ঘাত-প্রত্যাঘাতের পরও আওয়ামী লীগ নামক দলটির কি শিা হবে না? তারা কি ভুলে গেছেন '৭৫ আর ২০০১-এর কথা। '৭২-এ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল জামায়াত। এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু অবগত ছিলেন। তারপরও পিতৃস্নেহ দেখিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নেননি তিনি। একই ঘটনা আমরা প্রত্য করলাম '৯৬-২০০১-এ। '৯৬-তে আওয়ামী লীগ মতায় এলো। কিন্তু সব জায়গায় বহাল তবিয়তে রইল বিএনপির লোকেরা। শ্রদ্ধেয় মুনতাসীর মামুন সেদিন এই জনকণ্ঠেই এ বিষয়ে কলাম লিখেছিলেন যার শিরোনাম ছিল, 'সরকারে আওয়ামী লীগ, কিন্তু মতায় এখনো বিএনপি'। দীর্ঘ ৫ বছরে রাজপথে সন্ত্রাস, জ্বালানো-পোড়ানো, বোমাবাজি মানুষ হত্যাসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বিএনপি-জামায়াত চক্র। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন বা দমননীতিতে না গিয়ে এলাকায় এলাকায় 'শান্তি মিছিল' নামক এক হাস্যকর, দেউলিয়া কর্মসূচীর মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করল আওয়ামী লীগ। '৯১-৯৬ প্রায় ২ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী খুন হয়েছিল বিএনপির হাতে। অথচ ৯৬-২০০১-এ ৫টা বিএনপি কর্মীর গায়েও একটা ফুলের টোকা পড়েনি। এর মাসুলও আওয়ামী লীগ দিল ২০০১-এ। এক বিতর্কিত ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের (?) মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হলো আওয়ামী লীগকে।
২০০১-এর নির্বাচনের পর গোটা জাতির ওপর নেমে এলো নির্বাচনের বিভীষিকা। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বীভৎস সময় ছিল ২০০১-২০০৬। এই পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের দুই এমপিসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। গ্রেনেড হামলায় পঙ্গু হয় শত শত নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। দীর্ঘ ৫ বছর এই অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করে, অনেক আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে ২০০৮-এর নিরপে নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে পুনরায় মতায় এলো আওয়ামী লীগ, তারপর পেরিয়ে গেল প্রায় এক বছর। বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা ল্য করছি, অতীতের ভুল থেকে যেন কোন শিাই নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এখনও প্রশাসনের অনেক জায়গায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থক কর্মকর্তারা ঘাপটি মেরে আছে, তাদের সরানো হয়নি। অথচ ২০০১-এ বিএনপি এসে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নূ্যনতম সংস্রব আছে এমন শত শত কর্মকর্তাকে চাকুরিচু্যত করেছিল। ২০০১ থেকে ২০০৪ এই তিন বছর সারাদেশে কোথাও আওয়ামী লীগকে কোন সভা-মিছিল করতে দেয়া হয়নি, এমনকি কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও না। অথচ এখন ঢাকার সন্ত্রাসী ওয়ার্ড কমিশনারদের নেতৃত্বে প্রতিদিন বিএনপি প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল করছে। এসব মিটিং-মিছিলে অশ্রাব্য নোংরা ভাষায় সরকারকে গালি দেয়া হচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ-র্যাব-পুলিশ সবাই চুপ। বিজয় দিবসে সমগ্র ঢাকার দেয়াল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তার ওপরে সেঁটে দেয়া হয়েছে চোর, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ তারেক জিয়ার ছবি। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের অভিযোগে যার শাস্তি প্রাপ্য তার পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে ঢাকা শহর। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রশাসনসহ সকল জায়গায় তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এগুলো জানেন না? মনে হচ্ছে, তারা মতায় এসেছেন বিএনপিকে পুনর্বাসন করার জন্য। গত ১ বছরে বিএনপির কার্যক্রম প্রমাণ করেছে যে, তারা তাদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে একটুও সরেনি, তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে এবং থাকবে। তাই অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে বিএনপি-জামায়াতকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে নতুবা আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের মাসুল দিতে হবে।
মাসুদ হাসান, মিরপুর, ঢাকা।
পেনশনারদের আর্থিক সুবিধা প্রসঙ্গে
আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। আমার জন্ম তারিখ ৬-১-১৯৪৫। ১-৭-০৯ তারিখে আমার বয়স ৬৫ বছর না হওয়ায় আমি মূল পেনশনের ৪০% পেয়েছি। কিন্তু আগামী ৬-১-২০১০ তারিখে আমার বয়স ৬৫ বছর হবে। তাহলে আমি কি ঐ তারিখে ৫০% সুবিধা পাব?
দ্বিতীয়ত ১-৭-২০১০ তারিখ থেকে মেডিক্যাল ভাতা ১০০০ টাকা পাব, না ৭০০ টাকা পাব? এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শওকত আলী মোল্লা, নিকুঞ্জ-২, খিলতে, ঢাকা
ইলিয়াছ আহমদ বাবুল
রহমতবাগ, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
অতীত থেকে শিা নিন
দৈনিক 'জনকণ্ঠ' ২২/১২/০৯ সংখ্যায় শীর্ষকলামে 'প্রশাসনে ােভ জোট আমলের সুবিধাভোগীরা বহাল তবিয়তে' শীর্ষক লেখাটি পড়ে বিস্মিত ও চিন্তিত হলাম। মনে প্রশ্ন জাগল এত ঘাত-প্রত্যাঘাতের পরও আওয়ামী লীগ নামক দলটির কি শিা হবে না? তারা কি ভুলে গেছেন '৭৫ আর ২০০১-এর কথা। '৭২-এ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল জামায়াত। এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু অবগত ছিলেন। তারপরও পিতৃস্নেহ দেখিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নেননি তিনি। একই ঘটনা আমরা প্রত্য করলাম '৯৬-২০০১-এ। '৯৬-তে আওয়ামী লীগ মতায় এলো। কিন্তু সব জায়গায় বহাল তবিয়তে রইল বিএনপির লোকেরা। শ্রদ্ধেয় মুনতাসীর মামুন সেদিন এই জনকণ্ঠেই এ বিষয়ে কলাম লিখেছিলেন যার শিরোনাম ছিল, 'সরকারে আওয়ামী লীগ, কিন্তু মতায় এখনো বিএনপি'। দীর্ঘ ৫ বছরে রাজপথে সন্ত্রাস, জ্বালানো-পোড়ানো, বোমাবাজি মানুষ হত্যাসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বিএনপি-জামায়াত চক্র। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন বা দমননীতিতে না গিয়ে এলাকায় এলাকায় 'শান্তি মিছিল' নামক এক হাস্যকর, দেউলিয়া কর্মসূচীর মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করল আওয়ামী লীগ। '৯১-৯৬ প্রায় ২ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী খুন হয়েছিল বিএনপির হাতে। অথচ ৯৬-২০০১-এ ৫টা বিএনপি কর্মীর গায়েও একটা ফুলের টোকা পড়েনি। এর মাসুলও আওয়ামী লীগ দিল ২০০১-এ। এক বিতর্কিত ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের (?) মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হলো আওয়ামী লীগকে।
২০০১-এর নির্বাচনের পর গোটা জাতির ওপর নেমে এলো নির্বাচনের বিভীষিকা। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বীভৎস সময় ছিল ২০০১-২০০৬। এই পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের দুই এমপিসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। গ্রেনেড হামলায় পঙ্গু হয় শত শত নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। দীর্ঘ ৫ বছর এই অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করে, অনেক আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে ২০০৮-এর নিরপে নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে পুনরায় মতায় এলো আওয়ামী লীগ, তারপর পেরিয়ে গেল প্রায় এক বছর। বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা ল্য করছি, অতীতের ভুল থেকে যেন কোন শিাই নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এখনও প্রশাসনের অনেক জায়গায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থক কর্মকর্তারা ঘাপটি মেরে আছে, তাদের সরানো হয়নি। অথচ ২০০১-এ বিএনপি এসে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নূ্যনতম সংস্রব আছে এমন শত শত কর্মকর্তাকে চাকুরিচু্যত করেছিল। ২০০১ থেকে ২০০৪ এই তিন বছর সারাদেশে কোথাও আওয়ামী লীগকে কোন সভা-মিছিল করতে দেয়া হয়নি, এমনকি কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও না। অথচ এখন ঢাকার সন্ত্রাসী ওয়ার্ড কমিশনারদের নেতৃত্বে প্রতিদিন বিএনপি প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল করছে। এসব মিটিং-মিছিলে অশ্রাব্য নোংরা ভাষায় সরকারকে গালি দেয়া হচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগ-র্যাব-পুলিশ সবাই চুপ। বিজয় দিবসে সমগ্র ঢাকার দেয়াল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তার ওপরে সেঁটে দেয়া হয়েছে চোর, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ তারেক জিয়ার ছবি। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের অভিযোগে যার শাস্তি প্রাপ্য তার পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে ঢাকা শহর। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রশাসনসহ সকল জায়গায় তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এগুলো জানেন না? মনে হচ্ছে, তারা মতায় এসেছেন বিএনপিকে পুনর্বাসন করার জন্য। গত ১ বছরে বিএনপির কার্যক্রম প্রমাণ করেছে যে, তারা তাদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে একটুও সরেনি, তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে এবং থাকবে। তাই অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে বিএনপি-জামায়াতকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে নতুবা আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের মাসুল দিতে হবে।
মাসুদ হাসান, মিরপুর, ঢাকা।
পেনশনারদের আর্থিক সুবিধা প্রসঙ্গে
আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। আমার জন্ম তারিখ ৬-১-১৯৪৫। ১-৭-০৯ তারিখে আমার বয়স ৬৫ বছর না হওয়ায় আমি মূল পেনশনের ৪০% পেয়েছি। কিন্তু আগামী ৬-১-২০১০ তারিখে আমার বয়স ৬৫ বছর হবে। তাহলে আমি কি ঐ তারিখে ৫০% সুবিধা পাব?
দ্বিতীয়ত ১-৭-২০১০ তারিখ থেকে মেডিক্যাল ভাতা ১০০০ টাকা পাব, না ৭০০ টাকা পাব? এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শওকত আলী মোল্লা, নিকুঞ্জ-২, খিলতে, ঢাকা
No comments