বিদ্যুৎ বিল-বিড়ম্বনা দূর করে গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করুন
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত নেই গ্রাহকদের। অনেক অভিযোগ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে। বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে বাড়তি বিলের বোঝা বইতে হচ্ছে ভৌতিক বিলের কারণে। বিদ্যুৎ বিলের যে ধাপগুলো আছে, সেই ধাপও বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের অন্যতম কারণ।
বর্তমান নিয়মানুযায়ী একটি বিশেষ ধাপ পেরিয়ে যাওয়ার পর গ্রাহককে মোট বিলের প্রায় দ্বিগুণ পরিশোধ করতে হয়।
বিদ্যুৎ একটি সেবা খাত। এখানে সেবা পাওয়া গ্রাহকের অধিকার। শতভাগ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে একশ্রেণীর কর্মসংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেছে, তাতে সেবা খাতের গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। যেমন- বিদ্যুৎ খাতে মিটার রিডার বা মিটার পরিদর্শকদের মাসের নির্দিষ্ট সময়ে মিটার রিডিং দেখে বিল করার কথা; কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মিটার রিডাররা মিটার না দেখেই মনগড়া বিল করে থাকেন। একসময় এর দায় সম্পূর্ণ এসে পড়ে গ্রাহকের ঘাড়ে। তখন বিলের বাড়তি বোঝা পরিশোধ করতে হয়। আবার বিদ্যুৎ বিলের বর্তমান নিয়ম অনুসারে তিনটি ধাপ করা আছে। শুরুতে শূন্য থেকে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত একটি বিশেষ ধাপ, ১০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ভিন্ন ধাপ। কিন্তু ৪০০ ইউনিট থেকে এক ইউনিট ওপরে উঠে গেলেই বিল হয়ে যায় প্রারম্ভিক ধাপের প্রায় দ্বিগুণ। অনেক সময় দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট মিটার রিডারদের অবহেলার কারণে গ্রাহককে পরের মাসে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ আগের মাসে বিল মিটার দেখে করলে পরের মাসে অতিরিক্ত বিলের চাপ থাকত না। গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হতো না। কিন্তু কিছু কর্মীর দায়িত্বে অবহেলার দায় গ্রাহককে শোধ করতে হয়। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার তিনটি কারণের একটি হচ্ছে মিটার রিডাররা প্রতি মাসে সব গ্রাহকের মিটারের রিডিং সরেজমিনে না নিয়ে অনুমাননির্ভর বিল করেন। ফলে কোনো কোনো মাসে প্রকৃত ব্যবহারের তুলনায় বিল কিছু কম হয়। এতে কয়েক মাসের ব্যবহার থেকে কিছু কিছু জমা হয়ে মে-জুন এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাড়তি বিল আসে। আবার কারো ব্যবহার অতিরিক্ত হয়ে গেলেও এভাবে বাড়তি বিল আসতে পারে। এই বাড়তি বিল অনেকক্ষেত্রেই গ্রাহকের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎসেবা ভোক্তার অধিকার। কিন্তু বিল বিড়ম্বনায় সেই সেবা এখন গ্রাহকদের জন্য বিরক্তির পাশাপাশি ভোগান্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকদের যে সেবা পাওয়ার কথা, তার বদলে ভোগান্তি বাড়ছে। এই ভোগান্তি দূর করতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। আগের তিনটি ধাপের পরিবর্তে ৯টি ধাপে বিদ্যুৎ বিলের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। অন্তত ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত এ সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ খাতে গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। গ্রাহকের বিল বিড়ম্বনা দূর করতে সম্ভব সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আমরা আশা করব, বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে দ্রুত একটি সমাধানে আসবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
বিদ্যুৎ একটি সেবা খাত। এখানে সেবা পাওয়া গ্রাহকের অধিকার। শতভাগ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে একশ্রেণীর কর্মসংস্কৃতি দাঁড়িয়ে গেছে, তাতে সেবা খাতের গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। যেমন- বিদ্যুৎ খাতে মিটার রিডার বা মিটার পরিদর্শকদের মাসের নির্দিষ্ট সময়ে মিটার রিডিং দেখে বিল করার কথা; কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মিটার রিডাররা মিটার না দেখেই মনগড়া বিল করে থাকেন। একসময় এর দায় সম্পূর্ণ এসে পড়ে গ্রাহকের ঘাড়ে। তখন বিলের বাড়তি বোঝা পরিশোধ করতে হয়। আবার বিদ্যুৎ বিলের বর্তমান নিয়ম অনুসারে তিনটি ধাপ করা আছে। শুরুতে শূন্য থেকে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত একটি বিশেষ ধাপ, ১০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ভিন্ন ধাপ। কিন্তু ৪০০ ইউনিট থেকে এক ইউনিট ওপরে উঠে গেলেই বিল হয়ে যায় প্রারম্ভিক ধাপের প্রায় দ্বিগুণ। অনেক সময় দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট মিটার রিডারদের অবহেলার কারণে গ্রাহককে পরের মাসে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ আগের মাসে বিল মিটার দেখে করলে পরের মাসে অতিরিক্ত বিলের চাপ থাকত না। গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হতো না। কিন্তু কিছু কর্মীর দায়িত্বে অবহেলার দায় গ্রাহককে শোধ করতে হয়। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার তিনটি কারণের একটি হচ্ছে মিটার রিডাররা প্রতি মাসে সব গ্রাহকের মিটারের রিডিং সরেজমিনে না নিয়ে অনুমাননির্ভর বিল করেন। ফলে কোনো কোনো মাসে প্রকৃত ব্যবহারের তুলনায় বিল কিছু কম হয়। এতে কয়েক মাসের ব্যবহার থেকে কিছু কিছু জমা হয়ে মে-জুন এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাড়তি বিল আসে। আবার কারো ব্যবহার অতিরিক্ত হয়ে গেলেও এভাবে বাড়তি বিল আসতে পারে। এই বাড়তি বিল অনেকক্ষেত্রেই গ্রাহকের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎসেবা ভোক্তার অধিকার। কিন্তু বিল বিড়ম্বনায় সেই সেবা এখন গ্রাহকদের জন্য বিরক্তির পাশাপাশি ভোগান্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকদের যে সেবা পাওয়ার কথা, তার বদলে ভোগান্তি বাড়ছে। এই ভোগান্তি দূর করতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। আগের তিনটি ধাপের পরিবর্তে ৯টি ধাপে বিদ্যুৎ বিলের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। অন্তত ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত এ সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ খাতে গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। গ্রাহকের বিল বিড়ম্বনা দূর করতে সম্ভব সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আমরা আশা করব, বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে দ্রুত একটি সমাধানে আসবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
No comments