এখনও অনেক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হয়নি
টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট অনেক ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মহাজোট সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছে সে সম্পর্কে মতামত জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
মোঃ মিজানুর রহমান
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন কিছুটা হয়েছে, কিছুটা হয়নি। আওয়ামী লীগ যে কৃষকবান্ধব সরকার, তা কৃষিক্ষেত্রের সফলতাই প্রমাণ করে। শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা এসেছে। বেকারদের কর্মসংস্থান হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। শেষ করতে পারলে জাতি অভিশাপমুক্ত হবে। তবে জনগণ আইন-শৃঙ্খলার আরও উন্নতি আশা করে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি সরকার। দ্রব্যমূল্য ও বিদ্যুৎ বিষয়কে আরও গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী সময় পার করুক।
কবির খন্দকার
চাকরিজীবী, বনানী, ঢাকা
ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সবাই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে দেশের জনগণকে আশার আলো দেখায়। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পরে এগুলোর আর কিছুই মনে থাকে না। এই সরকারও তার ব্যতিক্রম নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী_ দশ টাকা কেজি চালসহ অনেক কিছুই সস্তায় খাওয়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। সেটা এখন আর স্বপ্নেও সম্ভব নয়। দেশের মানুষ এমন একটা পরিস্থিতিতে আছে_ না পারছে কিছু কইতে, না পারছে সইতে। সরকারদলীয় শীর্ষ নেতাদের বলব, দয়া করে আপনারা অঙ্গীকার পূরণ করুন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে যা যা বলেছিলেন তার বাস্তবায়ন আমরা এখনও দেখতে পাইনি।
মনির হোসেন
শিক্ষার্থী, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
সরকার যে অঙ্গীকার করেছে শিক্ষাক্ষেত্রে তার ভালো বাস্তবায়ন করেছে। এরই মধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। বিদ্যুৎ খাতে মোটামুটি ভালো করেছে, আরও ভালো করলে জনগণ সুফল পাবে। দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার মোটামুটি পূরণ হয়েছে।
মায়া রানী বণিক
গৃহিণী, মধ্যবাজার, সুনামগঞ্জ
নির্বাচনের আগে সরকার বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু তার কিছুই তো হচ্ছে না।
খলীকুজ্জামান
কৃষক, নেত্রকোনা
দ্রব্যমূল্য কমালে নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হতো।
মোঃ খোকন মিয়া
দোকানদার, বেলাব, নরসিংদী
নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিল সরকার, আমাদের বিদ্যুৎ দেবে, রাস্তাঘাট করে দেবে। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে কিছুই হয়নি। এখনও এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি, রাস্তাঘাটও তৈরি হয়নি।
মিজানুর রহমান সোহেল
শিক্ষার্থী, অফিসপাড়া, মহেশখালী
বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক না কেন তারা তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে পারে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যে দলের কথাই বলা হোক না কেন তারা কেবল জনগণকে দ্বন্দ্বের গল্প শোনাচ্ছে। তারা নির্বাচনের আগে অনেক অঙ্গীকার করে। কিন্তু যখন নির্বাচন শেষ হয় তখন সেসব অঙ্গীকারের কথা তারা ভুলে যায়। জনগণ তাদের নির্বাচিত করে সংসদে বসায়, কিন্তু তারা সংসদে দেশের উন্নয়নের কথা না বলে তাদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আলোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো শেষ করে।
সুমন দে
শিক্ষার্থী, শাহরাস্তি, চাঁদপুর
সরকার প্রতি পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করতে পারেনি।
আবদুল হক
দোকানদার, কচুয়া, চাঁদপুর
আওয়াগী লীগ নির্বাচনের আগে বলেছিল, আমাদের বিদ্যুৎ দেবে, গ্যাস দেবে, রাস্তাঘাট করে দেবে। কিছুই ঠিকমতো হয়নি। নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি আমাদের এলাকায় আসেননি। আমি ৩০-৩৫ বছর ধরে সারের দোকানদারি করছি। গত দুই বছর ধরে নতুন নিয়মের মাধ্যমে সারের ডিলারের লাইসেন্স দেওয়া হয়। অথচ কোনো সার ডিলারের নিজস্ব কোনো দোকান নেই।
কিবরিয়া হোসাইন বাপ্পি
শিক্ষার্থী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল। তা কতটুকু হয়েছে? অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি করবে বলেছিল। কিন্তু এখনও তা আমাদের মতো তরুণদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এছাড়া মন্ত্রী-এমপিদের সম্পত্তির হিসাব এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
নাসির উদ্দিন
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
কী দিয়েছে সরকার? নির্বাচনের আগে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, কর্মসংস্থান বাড়ানো এসবই ছিল অঙ্গীকার। কিন্তু এসব কি বাস্তবায়িত হয়েছে?
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিক লীগ কর্মী, ঝিনাইদহ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ব্যর্থতার চেয়ে সফলতাই বেশি। এ দেশের গরিব, মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাদিন পরিশ্রম করে দু'বেলা দু'মুঠো ডাল-ভাতের নিশ্চয়তা পেয়েছে। কিন্তু মাঝপথে এসে আওয়ামী লীগের কিছু বিপথগামী রাজনীতিবিদ দলটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তার একটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেননি। সেটা হলো রাজপথের কর্মীদের মূল্যায়ন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
শেখ মিলন
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিটা বাস্তবায়নের পথে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ সমস্যা তাদের বাকি সময়ের মধ্যে অবশ্যই সমাধান করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো, তবে আরও ঠিক করতে হবে। দুর্বল মন্ত্রিপরিষদ দিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। মন্ত্রীদের কথার চেয়ে কাজ বেশি করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনী অঙ্গীকার পূর্ণতা পাবে।
মোঃ শাহ আলম
শিক্ষার্থী, কক্সবাজার
আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে ব্যস্ত নয়, তারা লুটপাটে ব্যস্ত। তারা চাল-তেলের দাম কমানোর কথা বলে ক্ষমতায় এলেও দ্রব্যমূল্যের দাম কেবল বাড়ানো হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমাপ্ত করার কথা থাকলেও সম্পূর্ণ করতে পারবে কি-না সন্দেহ রয়েছে।
আনোয়ার হোসেন রাব্বী
ব্যবসায়ী, পুরান ঢাকা
আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন হবে। তবে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হচ্ছে না, এটা কিন্তু সিস্টেমের সমস্যা। তবে তাড়াহুড়োর কারণ নেই। ধৈর্যর্র্ ধরে দেখা উচিত।
রিপন সাহা
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল
২০০৮ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় শেখ হাসিনা অনেক অঙ্গীকার করেছেন। যেমন বলেছেন, টাঙ্গাইলে মেডিকেল কলেজ হবে, ঢাকা-টাঙ্গাইল রেল যোগাযোগ হবে, তাঁতপল্লী গঠনের প্রতিশ্রুতিসহ আরও অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত একটিরও বাস্তবায়ন হয়নি।
আবদুর রাজ্জাক
শিক্ষার্থী, বগুড়া
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা নিজেরাই চাকরি নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করছেন। আবার তাদের দলের মধ্যেও সমন্বয় নেই। সমন্বয় দরকার।
গৌতম পাল
ব্যবসায়ী, ধানেশ্বর, রাজশাহী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনেকই ছিল। যেমন_ বেকার সমস্যার সমাধান, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান। আমাদের রাজশাহীতেও অনেক অঙ্গীকার করেছিল বর্তমান সরকার। রাস্তাঘাট, ধানেশ্বরহাটসহ কোনো অঙ্গীকারই বাস্তবায়ন করেনি। এমপি সাহেব কিছুই করেনি।
মো. ওমর ফারুক
চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
আওয়ামী লীগ কতটুকু নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করেছে তা আগামী নির্বাচনেই জনগণ প্রমাণ করবে। তবে এখন আওয়ামী লীগ নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এর চেয়ে বেশি ব্যস্ত বিরোধী দলকে ঠাণ্ডা করতে। পত্রপত্রিকায় দেখা যায় দেশে সর্বত্র সমস্যা। দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশ। আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলেও আমরা ভালো নেই।
আবদুর রহীম
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকার সফল। দ্রব্যমূল্যসহ সবক্ষেত্রেই সরকার সফল। যোগাযোগ ক্ষেত্রেও এখন সরকার মনোযোগ দিচ্ছে। বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব। আমি মনে করি, সরকার সফল। আমি বলতে চাই, এ সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। ডিজিটাল অনেক কার্যক্রম এ সরকারের আমলে শুরু হয়েছে।
সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম
ব্যবসায়ী, নড়াইল
১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ তিন নির্বাচনী অঙ্গীকারেই বলা হয়েছিল নড়াইলে মধুমতি নদীতে কালনা পয়েন্টে সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা আশা করি, সরকার এই সেতুর কাজ শুরু করবে।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া
ছাত্রলীগ নেতা, নরসিংদী
সরকার বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু চাকরি কই? আমাদের চাকরিই তো হচ্ছে না। অনেক অ্যাপ্লিকেশন করেছি, লোক না থাকলে চাকরি হয় না। নির্বাচনী অঙ্গীকার থাকলে কেন চাকরি পাচ্ছি না?
ফারুক আহম্মেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
এ দেশের জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল সে অনুযায়ী সরকার গঠন করে কাজ করতে চাইলেও একটি দুষ্টচক্র এর বিরোধিতা করছে। সব ভেদাভেদ ভুলে সরকারকে জনগণের স্বার্থেই কাজ করতে হবে। সরকার তাদের ইশতেহার বাস্তবায়ন করছে বলেই দেশে শান্তি আসছে। সরকারের জনকল্যাণমুখী নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে জনগণের কাজ করা দরকার।
আবদুল হক
চাকরিজীবী, কিশোরগঞ্জ
১৯৭১-এর স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনকের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে কোনো দল সরকার গঠন করলে সাধারণ মানুষ সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আশা করে। সরকারি দল এর কোনোটাই উপহার দিতে পারেনি। রাজনৈতিক হত্যা, গুম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদিতে জনগণ অতিষ্ঠ। সুতরাং আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করছে বলার অবকাশ নেই।
রোমান আজাদ
ব্যবসায়ী, পলাশ, নরসিংদী
আওয়ামী লীগ সরকার যে অঙ্গীকার করেছে এর সবই বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। এগুলোও বাস্তবায়নের পথে।
মোঃ মিজানুর রহমান
ইউপি সদস্য, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
সরকার যে অঙ্গীকার করেছিল তা বাস্তবায়নাধীন। ধীরে ধীরে হবে, এক সঙ্গে সম্ভব নয়। তবে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, সরকার যেন একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প আরও বেগবান করে।
মো. ওয়াজেদ আলী
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, মানিকগঞ্জ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যে অঙ্গীকার করেছে এর সবই বাস্তবায়নের পথে।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে প্রথমেই মন্তব্য করতে চাই, যারা ক্ষমতায় আছে তারা যেন আবার ইশতেহারটি পড়েন। সব অঙ্গীকার প্রতিপালন করা সম্ভব নয়, তারপরও জনগণের মৌলিক দাবি বেকারত্ব মোচন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি, সরকার সাড়ে ৩ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় গ্যাস, পানি এবং বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। তবে উদ্যোগ ইতিবাচক ছিল এ কথা সত্য। পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় সেতু নির্মাণে সব ধরনের জটিলতা কাটিয়ে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়া উচিত। বিরোধী দল যেসব কর্মকাণ্ড করে তা কঠোর হস্তে দমন না করে আলোচনার টেবিলে বসে তাদের কথা শোনা উচিত। সরকারকে সবসময়ই নমনীয় হতে হয়, জনগণের ভোটের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়।
মো. আমীর হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
সরকারের সাড়ে ৩ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো উপকারেই আসেনি। পরবর্তী দেড় বছরে যেন জনগণ কিছু পায় সে মতে দেশ চালানোর অনুরোধ করছি। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বড় বড় কথা না বলে যেন গরিবের জন্য কিছু করেন। আমরা গরিব মানুষ, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে চাই। যেন পেট ভরে খেতে পারি সে ব্যবস্থা করা দরকার।
মো. ইউসুফ
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এ সরকারই আন্দোলন করেছে। এখন পরবর্তী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনা বলছেন, তত্ত্বাবধায়কের প্রয়োজন নেই। এটা কেমন কথা! তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে তো আবার ওয়ান-ইলেভেনের উদ্ভব হতে পারে। আমাদের অনুরোধ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেন অন্তত আরও দু'তিনটি নির্বাচনে থাকে।
হৃদয়
ব্যবসায়ী, ঠাকুরগাঁও
আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু হবে না। আমরা চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হলেই কেবল জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে।
মো. মনিরুজ্জামান
উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য, বরুড়া, কুমিল্লা
দীর্ঘদিন ধরে আমাদের উপজেলায় কোনো কমিটি হচ্ছে না। ফলে এখানে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা একান্ত প্রয়োজন।
ওয়াদুদ খান
শিক্ষক, সুনামগঞ্জ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি। ঘরে ঘরে চাকরি হয়নি। সন্ত্রাস দমন হয়নি। আওয়ামী লীগ তার অঙ্গীকার থেকে অনেক দূরে আছে।
এমএ আজম
ব্যাংক কর্মকর্তা, মাগুরা
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে যদি চাকরি হয় তাহলে ভালো।
শফিক বাবু
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকারের মন্ত্রিসভার ওপর সবাই ক্ষ্যাপা। রমজান আসছে অথচ দ্রব্যমূল্যের এখনও ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দলের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব দ্বন্দ্ব নিরসন হওয়া দরকার।
দীন ইসলাম
ব্যবসায়ী, কিশোরগঞ্জ
এ সরকার এতদিন পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারেনি। এ জন্য আগামী নির্বাচনে এ সরকারও যাতে ক্ষমতায় এসে সে কাজগুলো করতে পারে।
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার সম্পূর্ণ করেছে, বাকিটাও কার্যকরের পথে আছে। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট করেছিল বর্তমানে তার চেয়ে পরিস্থিতি অনেক ভালো। দেশের দুর্নীতিবাজ-সন্ত্রাসবাদ নেই বললেই চলে। আগামী দেড় বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই আমাদের আশা।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সে অঙ্গীকার ছিল সেই অঙ্গীকারের কিছুই হয়নি। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারেনি। আমার অনুরোধ, তারা যেন তাদের অঙ্গীকার ঠিক করে আগামী নির্বাচনে আসে।
দুর্জয় ফরাজী
ব্যবসায়ী, কলাবাগান, ঢাকা
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার করে মানুষের ভোট নিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি পালনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তার অনেকটাই এগিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে পারবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
মোঃ মিজানুর রহমান
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন কিছুটা হয়েছে, কিছুটা হয়নি। আওয়ামী লীগ যে কৃষকবান্ধব সরকার, তা কৃষিক্ষেত্রের সফলতাই প্রমাণ করে। শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা এসেছে। বেকারদের কর্মসংস্থান হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। শেষ করতে পারলে জাতি অভিশাপমুক্ত হবে। তবে জনগণ আইন-শৃঙ্খলার আরও উন্নতি আশা করে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি সরকার। দ্রব্যমূল্য ও বিদ্যুৎ বিষয়কে আরও গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী সময় পার করুক।
কবির খন্দকার
চাকরিজীবী, বনানী, ঢাকা
ক্ষমতায় যাওয়ার আগে সবাই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে দেশের জনগণকে আশার আলো দেখায়। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পরে এগুলোর আর কিছুই মনে থাকে না। এই সরকারও তার ব্যতিক্রম নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী_ দশ টাকা কেজি চালসহ অনেক কিছুই সস্তায় খাওয়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। সেটা এখন আর স্বপ্নেও সম্ভব নয়। দেশের মানুষ এমন একটা পরিস্থিতিতে আছে_ না পারছে কিছু কইতে, না পারছে সইতে। সরকারদলীয় শীর্ষ নেতাদের বলব, দয়া করে আপনারা অঙ্গীকার পূরণ করুন। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে যা যা বলেছিলেন তার বাস্তবায়ন আমরা এখনও দেখতে পাইনি।
মনির হোসেন
শিক্ষার্থী, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
সরকার যে অঙ্গীকার করেছে শিক্ষাক্ষেত্রে তার ভালো বাস্তবায়ন করেছে। এরই মধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। বিদ্যুৎ খাতে মোটামুটি ভালো করেছে, আরও ভালো করলে জনগণ সুফল পাবে। দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার মোটামুটি পূরণ হয়েছে।
মায়া রানী বণিক
গৃহিণী, মধ্যবাজার, সুনামগঞ্জ
নির্বাচনের আগে সরকার বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু তার কিছুই তো হচ্ছে না।
খলীকুজ্জামান
কৃষক, নেত্রকোনা
দ্রব্যমূল্য কমালে নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হতো।
মোঃ খোকন মিয়া
দোকানদার, বেলাব, নরসিংদী
নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিল সরকার, আমাদের বিদ্যুৎ দেবে, রাস্তাঘাট করে দেবে। কিন্তু সাড়ে তিন বছরে কিছুই হয়নি। এখনও এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি, রাস্তাঘাটও তৈরি হয়নি।
মিজানুর রহমান সোহেল
শিক্ষার্থী, অফিসপাড়া, মহেশখালী
বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক না কেন তারা তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে পারে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যে দলের কথাই বলা হোক না কেন তারা কেবল জনগণকে দ্বন্দ্বের গল্প শোনাচ্ছে। তারা নির্বাচনের আগে অনেক অঙ্গীকার করে। কিন্তু যখন নির্বাচন শেষ হয় তখন সেসব অঙ্গীকারের কথা তারা ভুলে যায়। জনগণ তাদের নির্বাচিত করে সংসদে বসায়, কিন্তু তারা সংসদে দেশের উন্নয়নের কথা না বলে তাদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আলোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো শেষ করে।
সুমন দে
শিক্ষার্থী, শাহরাস্তি, চাঁদপুর
সরকার প্রতি পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করতে পারেনি।
আবদুল হক
দোকানদার, কচুয়া, চাঁদপুর
আওয়াগী লীগ নির্বাচনের আগে বলেছিল, আমাদের বিদ্যুৎ দেবে, গ্যাস দেবে, রাস্তাঘাট করে দেবে। কিছুই ঠিকমতো হয়নি। নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি আমাদের এলাকায় আসেননি। আমি ৩০-৩৫ বছর ধরে সারের দোকানদারি করছি। গত দুই বছর ধরে নতুন নিয়মের মাধ্যমে সারের ডিলারের লাইসেন্স দেওয়া হয়। অথচ কোনো সার ডিলারের নিজস্ব কোনো দোকান নেই।
কিবরিয়া হোসাইন বাপ্পি
শিক্ষার্থী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিল। তা কতটুকু হয়েছে? অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি করবে বলেছিল। কিন্তু এখনও তা আমাদের মতো তরুণদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এছাড়া মন্ত্রী-এমপিদের সম্পত্তির হিসাব এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
নাসির উদ্দিন
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
কী দিয়েছে সরকার? নির্বাচনের আগে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, কর্মসংস্থান বাড়ানো এসবই ছিল অঙ্গীকার। কিন্তু এসব কি বাস্তবায়িত হয়েছে?
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিক লীগ কর্মী, ঝিনাইদহ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ব্যর্থতার চেয়ে সফলতাই বেশি। এ দেশের গরিব, মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাদিন পরিশ্রম করে দু'বেলা দু'মুঠো ডাল-ভাতের নিশ্চয়তা পেয়েছে। কিন্তু মাঝপথে এসে আওয়ামী লীগের কিছু বিপথগামী রাজনীতিবিদ দলটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তার একটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেননি। সেটা হলো রাজপথের কর্মীদের মূল্যায়ন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
শেখ মিলন
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিটা বাস্তবায়নের পথে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ সমস্যা তাদের বাকি সময়ের মধ্যে অবশ্যই সমাধান করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো, তবে আরও ঠিক করতে হবে। দুর্বল মন্ত্রিপরিষদ দিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। মন্ত্রীদের কথার চেয়ে কাজ বেশি করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনী অঙ্গীকার পূর্ণতা পাবে।
মোঃ শাহ আলম
শিক্ষার্থী, কক্সবাজার
আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে ব্যস্ত নয়, তারা লুটপাটে ব্যস্ত। তারা চাল-তেলের দাম কমানোর কথা বলে ক্ষমতায় এলেও দ্রব্যমূল্যের দাম কেবল বাড়ানো হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমাপ্ত করার কথা থাকলেও সম্পূর্ণ করতে পারবে কি-না সন্দেহ রয়েছে।
আনোয়ার হোসেন রাব্বী
ব্যবসায়ী, পুরান ঢাকা
আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন হবে। তবে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হচ্ছে না, এটা কিন্তু সিস্টেমের সমস্যা। তবে তাড়াহুড়োর কারণ নেই। ধৈর্যর্র্ ধরে দেখা উচিত।
রিপন সাহা
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল
২০০৮ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় শেখ হাসিনা অনেক অঙ্গীকার করেছেন। যেমন বলেছেন, টাঙ্গাইলে মেডিকেল কলেজ হবে, ঢাকা-টাঙ্গাইল রেল যোগাযোগ হবে, তাঁতপল্লী গঠনের প্রতিশ্রুতিসহ আরও অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত একটিরও বাস্তবায়ন হয়নি।
আবদুর রাজ্জাক
শিক্ষার্থী, বগুড়া
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা নিজেরাই চাকরি নিয়ে ভাগবাটোয়ারা করছেন। আবার তাদের দলের মধ্যেও সমন্বয় নেই। সমন্বয় দরকার।
গৌতম পাল
ব্যবসায়ী, ধানেশ্বর, রাজশাহী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনেকই ছিল। যেমন_ বেকার সমস্যার সমাধান, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান। আমাদের রাজশাহীতেও অনেক অঙ্গীকার করেছিল বর্তমান সরকার। রাস্তাঘাট, ধানেশ্বরহাটসহ কোনো অঙ্গীকারই বাস্তবায়ন করেনি। এমপি সাহেব কিছুই করেনি।
মো. ওমর ফারুক
চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
আওয়ামী লীগ কতটুকু নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করেছে তা আগামী নির্বাচনেই জনগণ প্রমাণ করবে। তবে এখন আওয়ামী লীগ নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এর চেয়ে বেশি ব্যস্ত বিরোধী দলকে ঠাণ্ডা করতে। পত্রপত্রিকায় দেখা যায় দেশে সর্বত্র সমস্যা। দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশ। আসলে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলেও আমরা ভালো নেই।
আবদুর রহীম
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকার সফল। দ্রব্যমূল্যসহ সবক্ষেত্রেই সরকার সফল। যোগাযোগ ক্ষেত্রেও এখন সরকার মনোযোগ দিচ্ছে। বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব। আমি মনে করি, সরকার সফল। আমি বলতে চাই, এ সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। ডিজিটাল অনেক কার্যক্রম এ সরকারের আমলে শুরু হয়েছে।
সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম
ব্যবসায়ী, নড়াইল
১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ তিন নির্বাচনী অঙ্গীকারেই বলা হয়েছিল নড়াইলে মধুমতি নদীতে কালনা পয়েন্টে সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা আশা করি, সরকার এই সেতুর কাজ শুরু করবে।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া
ছাত্রলীগ নেতা, নরসিংদী
সরকার বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু চাকরি কই? আমাদের চাকরিই তো হচ্ছে না। অনেক অ্যাপ্লিকেশন করেছি, লোক না থাকলে চাকরি হয় না। নির্বাচনী অঙ্গীকার থাকলে কেন চাকরি পাচ্ছি না?
ফারুক আহম্মেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
এ দেশের জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল সে অনুযায়ী সরকার গঠন করে কাজ করতে চাইলেও একটি দুষ্টচক্র এর বিরোধিতা করছে। সব ভেদাভেদ ভুলে সরকারকে জনগণের স্বার্থেই কাজ করতে হবে। সরকার তাদের ইশতেহার বাস্তবায়ন করছে বলেই দেশে শান্তি আসছে। সরকারের জনকল্যাণমুখী নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে জনগণের কাজ করা দরকার।
আবদুল হক
চাকরিজীবী, কিশোরগঞ্জ
১৯৭১-এর স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনকের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে কোনো দল সরকার গঠন করলে সাধারণ মানুষ সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আশা করে। সরকারি দল এর কোনোটাই উপহার দিতে পারেনি। রাজনৈতিক হত্যা, গুম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদিতে জনগণ অতিষ্ঠ। সুতরাং আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করছে বলার অবকাশ নেই।
রোমান আজাদ
ব্যবসায়ী, পলাশ, নরসিংদী
আওয়ামী লীগ সরকার যে অঙ্গীকার করেছে এর সবই বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। এগুলোও বাস্তবায়নের পথে।
মোঃ মিজানুর রহমান
ইউপি সদস্য, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
সরকার যে অঙ্গীকার করেছিল তা বাস্তবায়নাধীন। ধীরে ধীরে হবে, এক সঙ্গে সম্ভব নয়। তবে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, সরকার যেন একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্প আরও বেগবান করে।
মো. ওয়াজেদ আলী
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, মানিকগঞ্জ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যে অঙ্গীকার করেছে এর সবই বাস্তবায়নের পথে।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে প্রথমেই মন্তব্য করতে চাই, যারা ক্ষমতায় আছে তারা যেন আবার ইশতেহারটি পড়েন। সব অঙ্গীকার প্রতিপালন করা সম্ভব নয়, তারপরও জনগণের মৌলিক দাবি বেকারত্ব মোচন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি, সরকার সাড়ে ৩ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় গ্যাস, পানি এবং বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। তবে উদ্যোগ ইতিবাচক ছিল এ কথা সত্য। পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় সেতু নির্মাণে সব ধরনের জটিলতা কাটিয়ে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়া উচিত। বিরোধী দল যেসব কর্মকাণ্ড করে তা কঠোর হস্তে দমন না করে আলোচনার টেবিলে বসে তাদের কথা শোনা উচিত। সরকারকে সবসময়ই নমনীয় হতে হয়, জনগণের ভোটের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়।
মো. আমীর হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
সরকারের সাড়ে ৩ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো উপকারেই আসেনি। পরবর্তী দেড় বছরে যেন জনগণ কিছু পায় সে মতে দেশ চালানোর অনুরোধ করছি। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বড় বড় কথা না বলে যেন গরিবের জন্য কিছু করেন। আমরা গরিব মানুষ, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে চাই। যেন পেট ভরে খেতে পারি সে ব্যবস্থা করা দরকার।
মো. ইউসুফ
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এ সরকারই আন্দোলন করেছে। এখন পরবর্তী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনা বলছেন, তত্ত্বাবধায়কের প্রয়োজন নেই। এটা কেমন কথা! তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে তো আবার ওয়ান-ইলেভেনের উদ্ভব হতে পারে। আমাদের অনুরোধ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেন অন্তত আরও দু'তিনটি নির্বাচনে থাকে।
হৃদয়
ব্যবসায়ী, ঠাকুরগাঁও
আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু হবে না। আমরা চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হলেই কেবল জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে।
মো. মনিরুজ্জামান
উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য, বরুড়া, কুমিল্লা
দীর্ঘদিন ধরে আমাদের উপজেলায় কোনো কমিটি হচ্ছে না। ফলে এখানে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা একান্ত প্রয়োজন।
ওয়াদুদ খান
শিক্ষক, সুনামগঞ্জ
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার কোনোটাই বাস্তবায়ন হয়নি। ঘরে ঘরে চাকরি হয়নি। সন্ত্রাস দমন হয়নি। আওয়ামী লীগ তার অঙ্গীকার থেকে অনেক দূরে আছে।
এমএ আজম
ব্যাংক কর্মকর্তা, মাগুরা
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে যদি চাকরি হয় তাহলে ভালো।
শফিক বাবু
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকারের মন্ত্রিসভার ওপর সবাই ক্ষ্যাপা। রমজান আসছে অথচ দ্রব্যমূল্যের এখনও ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দলের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব দ্বন্দ্ব নিরসন হওয়া দরকার।
দীন ইসলাম
ব্যবসায়ী, কিশোরগঞ্জ
এ সরকার এতদিন পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারেনি। এ জন্য আগামী নির্বাচনে এ সরকারও যাতে ক্ষমতায় এসে সে কাজগুলো করতে পারে।
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকার সম্পূর্ণ করেছে, বাকিটাও কার্যকরের পথে আছে। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট করেছিল বর্তমানে তার চেয়ে পরিস্থিতি অনেক ভালো। দেশের দুর্নীতিবাজ-সন্ত্রাসবাদ নেই বললেই চলে। আগামী দেড় বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই আমাদের আশা।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সে অঙ্গীকার ছিল সেই অঙ্গীকারের কিছুই হয়নি। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পারেনি। আমার অনুরোধ, তারা যেন তাদের অঙ্গীকার ঠিক করে আগামী নির্বাচনে আসে।
দুর্জয় ফরাজী
ব্যবসায়ী, কলাবাগান, ঢাকা
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যে অঙ্গীকার করে মানুষের ভোট নিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি পালনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তার অনেকটাই এগিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে পারবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
No comments