ব্রাদারহুডের মুরসি মিসরের নতুন প্রেসিডেন্ট
মিসরে হোসনি মুবারকের পতনের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসিকে জয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। কমিশন ভবন থেকে আলজাজিরা টেলিভিশন বাংলাদেশ সময় গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করে।
গত ১৬ ও ১৭ জুন অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার এ নির্বাচনে মুরসি এবং বিমানবাহিনীর সাবেক কমান্ডার আহমেদ শফিক দুজনই জয় দাবি করেছিলেন। নির্বাচনের ফল গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করার কথা থাকলেও কারচুপির অভিযোগ ওঠায় তা পিছিয়ে যায়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত রাজনৈতিক দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির প্রার্থী মুরসি মোট ভোটের ৫১.৭ শতাংশ পান। দুই কোটি ৬০ লাখ ভোটের মধ্যে এক কোটি ৩২ লাখ ভোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুবারকের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ও এনএলডি সমর্থিত প্রার্থী আহমেদ শফিক পেয়েছেন এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ ভোট।
চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ক্ষমতাসীন সর্বোচ্চ সেনা পরিষদ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মধ্যে অঘোষিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুটি পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতারা। গত সপ্তাহে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক বৈঠক হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সামরিক পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল মামদুহ শাহিন ব্রাদারহুডের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেন।
দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা সংহত করার পদক্ষেপের কারণে মিসরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে ওঠে। নির্বাচনে জয় দাবি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ তা প্রত্যাখান করে নিজেদের জয় দাবি করে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আসার অজুহাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা স্থগিত করে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদ। অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ফল ঘোষণা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় তারা।
এর আগে নির্বাচনের প্রাক্কালে আদালতের এক আদেশের সূত্র ধরে নির্বাচিত পার্লামেন্টও বিলুপ্ত করে সেনা পরিষদ। পার্লামেন্টে মুসলিম ব্রাদারহুডের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। দেশটির তিন দশকের সেনাশাসক মুবারকের পতনের পর নতুন সংবিধান তৈরি স্থগিত হয়ে আছে। সংবিধান নেই, নির্বাচিত পার্লামেন্ট নেই- এই অবস্থায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার মতো কার্যকর কোনো প্রতিষ্ঠান দেশটিতে নেই। ফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচনে জয়ী বলে আলোচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা 'ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টি'র প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করছে সেনাবাহিনী। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স।
মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত রাজনৈতিক দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির প্রার্থী মুরসি মোট ভোটের ৫১.৭ শতাংশ পান। দুই কোটি ৬০ লাখ ভোটের মধ্যে এক কোটি ৩২ লাখ ভোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুবারকের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ও এনএলডি সমর্থিত প্রার্থী আহমেদ শফিক পেয়েছেন এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ ভোট।
চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে ক্ষমতাসীন সর্বোচ্চ সেনা পরিষদ ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মধ্যে অঘোষিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুটি পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতারা। গত সপ্তাহে দুই পক্ষের মধ্যে অনেক বৈঠক হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সামরিক পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল মামদুহ শাহিন ব্রাদারহুডের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেন।
দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ও পরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা সংহত করার পদক্ষেপের কারণে মিসরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে ওঠে। নির্বাচনে জয় দাবি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ তা প্রত্যাখান করে নিজেদের জয় দাবি করে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আসার অজুহাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা স্থগিত করে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদ। অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ফল ঘোষণা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় তারা।
এর আগে নির্বাচনের প্রাক্কালে আদালতের এক আদেশের সূত্র ধরে নির্বাচিত পার্লামেন্টও বিলুপ্ত করে সেনা পরিষদ। পার্লামেন্টে মুসলিম ব্রাদারহুডের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। দেশটির তিন দশকের সেনাশাসক মুবারকের পতনের পর নতুন সংবিধান তৈরি স্থগিত হয়ে আছে। সংবিধান নেই, নির্বাচিত পার্লামেন্ট নেই- এই অবস্থায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার মতো কার্যকর কোনো প্রতিষ্ঠান দেশটিতে নেই। ফলে বেসরকারিভাবে নির্বাচনে জয়ী বলে আলোচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা 'ফ্রিডম ও জাস্টিস পার্টি'র প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করছে সেনাবাহিনী। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments