বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকদের জবাবদিহি কোথায়?-কাজ ফেলে কর্মশালা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের ৪৪ জন শিক্ষক-চিকিৎসকের মধ্যে ৩৬ জনই গত শনিবার অফিস চলাকালে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের ভাষ্য অনুযায়ী, এমন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু তাঁরা অনুমতি নেননি। হাজিরা খাতায় সই করেছেন, কিন্তু কর্মস্থলে থাকেননি।
বিএসএমএমইউ একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; এর শিক্ষক-চিকিৎসকদের নানা রকম প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার ইত্যাদি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া উচিত বটে। কিন্তু একটি বিভাগের ৪৪ জনের মধ্যে ৩৬ জন শিক্ষক-চিকিৎসকের একই সঙ্গে কর্মশালায় যোগ দিতে যাওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে না; এর মধ্য দিয়ে তাঁদের নিজেদের দায়িত্বশীলতা এবং কর্তৃপক্ষের জবাবদিহির অভাবও প্রকট হয়ে ওঠে।
হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশেষত ওষুধ কোম্পানিগুলো দুপুরের পর কর্মশালা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করলে চিকিৎসকেরা তাতে যোগ দিতে চান না, কারণ, বিকেল বা সন্ধ্যা থেকে তাঁরা নিজ নিজ ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা শুরু করেন। সে কারণে এখন কর্মশালা-সেমিনারগুলোর আয়োজন করা হয় সকালের দিকে, এবং চিকিৎসকেরা তাতে যোগ দেন। অর্থাৎ, মূল কর্মস্থলের দায়িত্ব বাদ দিয়ে কর্মশালা-সেমিনারে যোগ দিতে তাঁদের আপত্তি থাকে না। এই প্রবণতা দুঃখজনক।
শনিবারের একটি কর্মশালার আয়োজক ছিল কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক (প্রাইভেট) লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিক, যেটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএসএমএমইউর স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পারভীন ফাতেমা; তাঁর স্বামীও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। পারভীন ফাতেমা শনিবারের কর্মশালার আমন্ত্রণপত্র বিলি করার কাজে ব্যস্ত থেকেছেন এক সপ্তাহ; ছুটির আবেদনপত্র দেননি, কর্মস্থলে উপস্থিতও হননি। শনিবারও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এটি অব্যবস্থাপনার গুরুতর দৃষ্টান্ত; এভাবে চলতে দেওয়া যায় না; তাঁর জবাবদিহি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাক্ষেত্রে দেশের প্রধান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-চিকিৎসকদের যথাযথ দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশিত। নিজস্ব দায়িত্ববোধে যদি ঘাটতি দেখা দেয়, তবে তাঁদের দায়িত্ব ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে।
হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশেষত ওষুধ কোম্পানিগুলো দুপুরের পর কর্মশালা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করলে চিকিৎসকেরা তাতে যোগ দিতে চান না, কারণ, বিকেল বা সন্ধ্যা থেকে তাঁরা নিজ নিজ ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা শুরু করেন। সে কারণে এখন কর্মশালা-সেমিনারগুলোর আয়োজন করা হয় সকালের দিকে, এবং চিকিৎসকেরা তাতে যোগ দেন। অর্থাৎ, মূল কর্মস্থলের দায়িত্ব বাদ দিয়ে কর্মশালা-সেমিনারে যোগ দিতে তাঁদের আপত্তি থাকে না। এই প্রবণতা দুঃখজনক।
শনিবারের একটি কর্মশালার আয়োজক ছিল কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক (প্রাইভেট) লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিক, যেটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএসএমএমইউর স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পারভীন ফাতেমা; তাঁর স্বামীও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। পারভীন ফাতেমা শনিবারের কর্মশালার আমন্ত্রণপত্র বিলি করার কাজে ব্যস্ত থেকেছেন এক সপ্তাহ; ছুটির আবেদনপত্র দেননি, কর্মস্থলে উপস্থিতও হননি। শনিবারও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এটি অব্যবস্থাপনার গুরুতর দৃষ্টান্ত; এভাবে চলতে দেওয়া যায় না; তাঁর জবাবদিহি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাক্ষেত্রে দেশের প্রধান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-চিকিৎসকদের যথাযথ দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশিত। নিজস্ব দায়িত্ববোধে যদি ঘাটতি দেখা দেয়, তবে তাঁদের দায়িত্ব ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে।
No comments