উদ্ধার হলেও মৃত্যুর কাছে হার মানল মাহি
সব চেষ্টাই ব্যর্থ। হেরে গেল মাহি। ব্যর্থ হলো উদ্ধারকারী দলের সমস্ত প্রচেষ্টা। ব্যর্থ হলো গোটা ভারতবাসীর আকুল আকাঙ্ক্ষাও।।
টানা ৮৬ ঘণ্টার উৎকণ্ঠার শেষে গভীর শোকে ডুবলো মানসের। অবশেষে ৭০ফুট গভীর গর্তে আটকে থাকা মাহিকে উদ্ধার হলো, কিন্তু তখন সে মৃত। রোববার দুপুর দেড়টা নাগাদ ৪ বছরের ছোট্ট মেয়ে মাহির নিথর দেহ বুকে আগলে নিয়ে যখন সেনাবাহিনীর এক জওয়ান মাটির তলা থেকে উঠে এলেন তখনও গ্রামবাসী, জড়ো হওয়া মানুষজনের ক্ষীণ আশা ছিল। একটু পরেই শোকের কালো মেঘ ঢেকে গেছে মানসেরের খো গ্রামে। মাহির জন্য চোখে জল গ্রামের সবার চোখে। শোকে ভেঙে পড়েছেন মাহির মা ও তার পরিজনরা। মাহির জন্য হৃদয়বিদারক শোক হরিয়ানার সর্বত্র। গোটা দেশেই।
মাহিকে উদ্ধারের পর উপস্থিত চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেন। ঝড়ের গতিতে তাকে ই এস আই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যেভাবে তাকে নিয়ে যায় সেনা জওয়ানরা, তাদের মুখচোখের অভিব্যক্তি যা ছিল তা দেখেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। হাসপাতালে মাহিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিন সরকারিভাবে মাহির মৃত্যুসংবাদ জানান জেলা শাসক পি সি মেনন। এদিনই মাহির মৃতদেহের ময়না তদন্ত করেন চিকিৎসকরা। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. দীপক মাথুর জানিয়েছেন, সম্ভবত বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবারেই মাহির মৃত্যু হয়েছিল। এদিন তিনি এবং ডা. বি বি আগরওয়াল ময়না তদন্ত করেন। এদিন বিকালেই মাহির মৃতদেহ তার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাহির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানার সরকার। এই ঘটনার তদন্ত ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে হবে বলে এদিন সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিকে মাহির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দার সিং হুদা। তিনি জানিয়েছেন, মাহির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
বুধবার রাতে চতুর্থ জন্মদিনে হৈ হুল্লোড় আনন্দে মেতে ছিল মাহি। রাত ১১টা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলো মাহি। আর তাতেই বিপত্তি। বাড়ির সামনে ৭০ ফুট গভীর গর্তে পা হড়কে পড়ে যায় বছর চারেকের মাহি। নলকূপের জন্য গর্তটি খোঁড়া হচ্ছিলো। আধঘণ্টা বাদে তার কান্নার আওয়াজ শুনে বাড়ির সবাই ছুটে যায় গর্তের সমানে। তখন মাটির তলা থেকে উপরে উঠে আসার জন্য মাহির আকুল চিৎকার। বাড়ির লোকজন খবর দেন পুলিসকে। পুলিস সেনাবাহিনীকে ডাকে। খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের তল্লাটে। গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ভিড় জমান হরিয়ানার এই অখ্যাত গ্রামে। গত ৪দিনের খবরের কাগজে, চ্যানেলে চ্যানেলে সংবাদের শিরোনামে রাতারাতি জায়গা নিয়ে নেয় মাহি। কিন্তু তাকে ঘিরে সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান এদিন নিমেষে ঘটে গেলো। ৮৬ ঘণ্টার লড়াইয়ে এদিন দুপুরে ইতি টেনে দিল মাহির মৃত্যুসংবাদ।
গুরগাঁও র্যাপিড মেট্রো রেলের কর্মীদের সাহায্যে এদিন সকালে সন্তর্পণে পাথরের পুরু স্তর কেটে মাহির কাছে পৌঁছায় জওয়ানরা। কিন্তু তখন সব শেষ। গর্তের ভিতর থেকে মাহির মৃতদেহ মাটির উপর নিয়ে আসে জওয়ানরা।
মাহির যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য ক্রমাগত অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছিলো গর্তে। পাঠানো হয়েছিলো ক্যামেরাও। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকেই ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল মাহি। শুক্রবার থেকেই ক্লোজ সার্কিট টিভি-র দৃশ্যে শিশুটির কোনো নড়াচড়া ধরা পড়েনি। এতে মাহির বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সময় যত গড়িয়েছে ততই তার জীবন্ত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে পড়ছিলো।
অথচ মাহিকে উদ্ধার জন্য সব রকমেরই প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা। তারা গর্তটির কাছে আড়াআড়িভাবে আরো একটি গর্ত খোঁড়ে। কিন্তু নিচে অত্যন্ত কঠিন পাথর থাকায় মাহির কাছে পৌঁছানোর জন্য সুড়ঙ্গটি খুঁড়তে পারেননি এনএসজি-র জওয়ানরা। শনিবার সন্ধ্যায় তারা হাল ছেড়ে দেন। তবে, তারা মাহির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। এরপরই মাটির তলায় সুড়ঙ্গ বানানো জন্য বিশেষ পারদর্শী দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের (ডি এম আর সি) ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীদের ডেকে পাঠায় হরিয়ানার সরকার। ওইদিন রাতেই উদ্ধারের কাজে নামে গুরগাঁও র্যাপিড মেট্রো রেলের কর্মীরা। এদিন তাদের সাহায্যে সন্তর্পণে পাথরের পুরু স্তর কেটে মাহির কাছে পৌঁছায় জওয়ানরা। কিন্তু তখন সব শেষ। গর্তের ভিতর থেকে মাহির মৃতদেহ মাটির উপর নিয়ে আসে জওয়ানরা। উদ্ধারের কাজে যুক্ত ছিলেন প্রায় শতাধিক সেনাবাহিনীর অফিসার। এছাড়াও দমকল, পুলিস এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও শামিল হয়েছিলেন উদ্ধারের কাজে।
সবারই আশা ছিলো ছ’বছর আগে প্রিন্সের মতো মাটির তলা থেকে উদ্ধার করা হবে মাহিকে। ২০০৬ সালে হরিয়ানার শাহবাদে একটি গর্তে পড়ে গিয়েছিল প্রিন্স। টানা ৫৬ঘণ্টা আটকে থাকার পর সেনাবাহিনীর জওয়ানদের প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু প্রিন্স সুস্থভাবে উঠে আসলেও মাহি পারলো না। জীবনযুদ্ধে হেরে গেল মাহি। সূত্র: জিনিউজ।
মাহিকে উদ্ধারের পর উপস্থিত চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করেন। ঝড়ের গতিতে তাকে ই এস আই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যেভাবে তাকে নিয়ে যায় সেনা জওয়ানরা, তাদের মুখচোখের অভিব্যক্তি যা ছিল তা দেখেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। হাসপাতালে মাহিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিন সরকারিভাবে মাহির মৃত্যুসংবাদ জানান জেলা শাসক পি সি মেনন। এদিনই মাহির মৃতদেহের ময়না তদন্ত করেন চিকিৎসকরা। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. দীপক মাথুর জানিয়েছেন, সম্ভবত বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবারেই মাহির মৃত্যু হয়েছিল। এদিন তিনি এবং ডা. বি বি আগরওয়াল ময়না তদন্ত করেন। এদিন বিকালেই মাহির মৃতদেহ তার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাহির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানার সরকার। এই ঘটনার তদন্ত ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে হবে বলে এদিন সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিকে মাহির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দার সিং হুদা। তিনি জানিয়েছেন, মাহির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
বুধবার রাতে চতুর্থ জন্মদিনে হৈ হুল্লোড় আনন্দে মেতে ছিল মাহি। রাত ১১টা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলো মাহি। আর তাতেই বিপত্তি। বাড়ির সামনে ৭০ ফুট গভীর গর্তে পা হড়কে পড়ে যায় বছর চারেকের মাহি। নলকূপের জন্য গর্তটি খোঁড়া হচ্ছিলো। আধঘণ্টা বাদে তার কান্নার আওয়াজ শুনে বাড়ির সবাই ছুটে যায় গর্তের সমানে। তখন মাটির তলা থেকে উপরে উঠে আসার জন্য মাহির আকুল চিৎকার। বাড়ির লোকজন খবর দেন পুলিসকে। পুলিস সেনাবাহিনীকে ডাকে। খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের তল্লাটে। গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ভিড় জমান হরিয়ানার এই অখ্যাত গ্রামে। গত ৪দিনের খবরের কাগজে, চ্যানেলে চ্যানেলে সংবাদের শিরোনামে রাতারাতি জায়গা নিয়ে নেয় মাহি। কিন্তু তাকে ঘিরে সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান এদিন নিমেষে ঘটে গেলো। ৮৬ ঘণ্টার লড়াইয়ে এদিন দুপুরে ইতি টেনে দিল মাহির মৃত্যুসংবাদ।
গুরগাঁও র্যাপিড মেট্রো রেলের কর্মীদের সাহায্যে এদিন সকালে সন্তর্পণে পাথরের পুরু স্তর কেটে মাহির কাছে পৌঁছায় জওয়ানরা। কিন্তু তখন সব শেষ। গর্তের ভিতর থেকে মাহির মৃতদেহ মাটির উপর নিয়ে আসে জওয়ানরা।
মাহির যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য ক্রমাগত অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছিলো গর্তে। পাঠানো হয়েছিলো ক্যামেরাও। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকেই ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল মাহি। শুক্রবার থেকেই ক্লোজ সার্কিট টিভি-র দৃশ্যে শিশুটির কোনো নড়াচড়া ধরা পড়েনি। এতে মাহির বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সময় যত গড়িয়েছে ততই তার জীবন্ত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে পড়ছিলো।
অথচ মাহিকে উদ্ধার জন্য সব রকমেরই প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা। তারা গর্তটির কাছে আড়াআড়িভাবে আরো একটি গর্ত খোঁড়ে। কিন্তু নিচে অত্যন্ত কঠিন পাথর থাকায় মাহির কাছে পৌঁছানোর জন্য সুড়ঙ্গটি খুঁড়তে পারেননি এনএসজি-র জওয়ানরা। শনিবার সন্ধ্যায় তারা হাল ছেড়ে দেন। তবে, তারা মাহির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। এরপরই মাটির তলায় সুড়ঙ্গ বানানো জন্য বিশেষ পারদর্শী দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের (ডি এম আর সি) ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীদের ডেকে পাঠায় হরিয়ানার সরকার। ওইদিন রাতেই উদ্ধারের কাজে নামে গুরগাঁও র্যাপিড মেট্রো রেলের কর্মীরা। এদিন তাদের সাহায্যে সন্তর্পণে পাথরের পুরু স্তর কেটে মাহির কাছে পৌঁছায় জওয়ানরা। কিন্তু তখন সব শেষ। গর্তের ভিতর থেকে মাহির মৃতদেহ মাটির উপর নিয়ে আসে জওয়ানরা। উদ্ধারের কাজে যুক্ত ছিলেন প্রায় শতাধিক সেনাবাহিনীর অফিসার। এছাড়াও দমকল, পুলিস এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও শামিল হয়েছিলেন উদ্ধারের কাজে।
সবারই আশা ছিলো ছ’বছর আগে প্রিন্সের মতো মাটির তলা থেকে উদ্ধার করা হবে মাহিকে। ২০০৬ সালে হরিয়ানার শাহবাদে একটি গর্তে পড়ে গিয়েছিল প্রিন্স। টানা ৫৬ঘণ্টা আটকে থাকার পর সেনাবাহিনীর জওয়ানদের প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু প্রিন্স সুস্থভাবে উঠে আসলেও মাহি পারলো না। জীবনযুদ্ধে হেরে গেল মাহি। সূত্র: জিনিউজ।
No comments