হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা দুর্নীতি-দলবাজি বন্ধ করতে হবে এখনই
ডাক্তারের কাজ করে হাসপাতালের সুইপার। এমন চিত্র দেখা গেছে রূপগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে। বহির্বিভাগে টিকিট বিক্রির কাজও সারেন তিনি। ২৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৭ থেকে ১৮ জন অনুপস্থিত থাকেন নিত্য। এটা গোটা বাংলাদেশেরই চিত্র বলা যায়।
দায়িত্বে এমন অবহেলা এবং ক্ষমতার দাপটে চিকিৎসাপ্রার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয় নিয়মিত। সরকারের কিছুটা প্রচেষ্টা লক্ষণীয় হলেও সাফল্যের মাত্রা উল্লেখ করার মতো নয়। সরকারের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় দলবাজির কারণে। যার পরিণতিতে চিকিৎসাসেবা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন। পূর্ববর্তী চারদলীয় জোট সরকার আমলের ড্যাবের মতো এখনকার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ বা স্বাচিপের নেতাদের দাপটে গোটা চিকিৎসাব্যবস্থায় একই রকম অনিয়ম চলছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে অনিয়ম শুধু চিকিৎসকের অনুপস্থিতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সেখানকার ওষুধ বাইরে বিক্রি করে দেওয়া, রোগীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করাসহ হয়রানি করার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কাজগুলো হচ্ছে প্রায়ই।
উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর করুণ চিত্র রীতিমতো হতবাক করার মতো। শহর ছেড়ে চিকিৎসকদের উপজেলায় যেতে না চাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের হাসপাতালের বাইরে রোগী দেখা। পারিপাশ্বর্িক অবস্থা বিবেচনা করে এই প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই কাজটি যদি চিকিৎসকদের উপজেলাকেন্দ্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত, তাহলে হয়তো এত খারাপ দৃশ্য আমাদের অবলোকন করতে হতো না। তাই এখন সময় এসেছে, চিকিৎসকদের উপজেলাকেন্দ্রে বসবাসে বাধ্য করার। এ জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নাগরিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলা কিংবা গ্রামপর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এই স্বাচিপ কিংবা ড্যাবের একাধিপত্যের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। জাতীয় স্বার্থে এই সংগঠনটির অন্যায় হস্তক্ষেপ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ওষুধ বিক্রি করার মতো ব্যবসায় জড়িত হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত নয়। সর্বোপরি নিয়মিত জবাবদিহিতা এবং তদারকি বাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমেও কিছুটা উন্নতি ঘটতে পারে। মনে রাখা প্রয়োজন যে নাগরিককে চিকিৎসাসেবা প্রদান রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে যারা বিঘ্ন ঘটায়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাধারণ মানুষের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে আসবে। বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা উচিত।
উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর করুণ চিত্র রীতিমতো হতবাক করার মতো। শহর ছেড়ে চিকিৎসকদের উপজেলায় যেতে না চাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের হাসপাতালের বাইরে রোগী দেখা। পারিপাশ্বর্িক অবস্থা বিবেচনা করে এই প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই কাজটি যদি চিকিৎসকদের উপজেলাকেন্দ্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত, তাহলে হয়তো এত খারাপ দৃশ্য আমাদের অবলোকন করতে হতো না। তাই এখন সময় এসেছে, চিকিৎসকদের উপজেলাকেন্দ্রে বসবাসে বাধ্য করার। এ জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নাগরিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে উপজেলা কিংবা গ্রামপর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য আলাদা ভাতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এই স্বাচিপ কিংবা ড্যাবের একাধিপত্যের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। জাতীয় স্বার্থে এই সংগঠনটির অন্যায় হস্তক্ষেপ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ওষুধ বিক্রি করার মতো ব্যবসায় জড়িত হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত নয়। সর্বোপরি নিয়মিত জবাবদিহিতা এবং তদারকি বাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমেও কিছুটা উন্নতি ঘটতে পারে। মনে রাখা প্রয়োজন যে নাগরিককে চিকিৎসাসেবা প্রদান রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে যারা বিঘ্ন ঘটায়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাধারণ মানুষের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে আসবে। বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা উচিত।
No comments