সবার প্রেসিডেন্ট হতে দল ছাড়লেন মুরসি, জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা
মিশরে গণবিপ্লব পরবর্তী প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি তার আন্দোলন ও দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। দেশটির প্রাচীনতম আন্দোলন ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’র অভিভাবক পরিষদের সদস্য এবং এর নবগঠিত রাজনৈতিক দল ‘ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি’র (এফজেপি) প্রধান ছিলেন তিনি।
রোববার বিকেলে কায়রোতে দেশটির নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার পরই ব্রাদারহুড ও এফজেপি’র তরফে জানানো হয়, মুরসি যাতে দলমত নির্বিশেষ সব মিসরীয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারেন সেই পথের সূচনা করতেই আন্দোলন ও দল থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করার আগেভাগেই গণবিপ্লবী তরুণ নেতাদের ও কয়েকটি ইসলামপন্থি, বামপন্থি ও সেকুলার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ ‘জাতীয় মঞ্চে’র ঘোষণা দেয়ার পর এখন বিজয়ী প্রেসিডেন্ট মুরসির এই পদত্যাগকে বিশ্লেষকরা দেখছেন, এখনো ক্ষমতায় থাকা সর্বোচ্চ সেনা পরিষদকে মোকাবিলায় শক্ত অবস্থান হিসেবে।
গত বছরের গণবিপ্লবে তিন দশকের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতন হলে সামরিক বাহিনী একটি সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ গঠন করে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দায়িত্ব নেয়। চলতি জুন মাসের শেষ নাগাদ নির্বাচিত সংসদ, সংবিধান প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে নির্বাচিত গণপরিষদ ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা কথা রয়েছে। কিন্তু সংসদ ও গণপরিষদ ভেঙে দেয়া এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব করে ডিক্রি জারিসহ সামরিক জান্তার সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপকে ‘অভ্যূত্থান’ আখ্যা করে দেশটির গণতন্ত্রীপন্থি রাজনীতিকরা বলছেন, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছে।
রোববার কায়রো স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় দেশটির ইতিহাসে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পাটির প্রার্থী মুরসি মোট ভোটের ৫১.৭ শতাংশ পেয়ে মুবারকের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ও এনএলডি সমর্থিত প্রার্থী জেনারেল অব. আহমেদ শফিককে হারালেন।প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসি ও জেনারেল শফিক প্রতিযোগিতা করেন গত ১৬ ও ১৭ জুন অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে। তবে প্রথম দফার নির্বাচনে শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে আসতে না পারা ইসলামপন্থি অপর প্রার্থী ফতুহ, বামপন্থি প্রার্থী সাবাহি, সেকুলার প্রার্থী মুসা’র সমর্থকরা- যারা গত বছরের সফল গণবিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই দ্বিতীয় দফার ভোটে ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রার্থী মুরসিকে ভোট দেননি।
মোট ভোটারের মাত্র ৫১ শতাংশ ভোটার- দুই কোটি চৌষট্টি লাখ বিশ হাজার সাতশ বাষট্টি জন ভোট দিয়েছেন। যার মধ্যে আট লাখ তিষট্টি হাজার দুইশ বায়ান্নটি ভোট অনিয়মের অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে। মোট বৈধ ভোটের এক কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার ১৩১ অর্থাৎ ৫১.৭ ভাগ পেয়ে জয়ী হলেন মুরসি। পরাজিত প্রার্থী শফিক পেয়েছেন এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ ভোট।
তবে সাবেক সেনা জেনারেল শফিককে নির্বাচিত ঘোষণা করার আশংকা দেখা দিলে ফলাফল ঘোষণা হবার আগে শনিবার স্বৈরতন্ত্র বিরোধী অন্যান্য ইসলামি, বাম ও সেকুলার দলগুলোর সঙ্গে নতুন ঐক্যপ্রক্রিয়ার সূচনা করে মুসলিম ব্রাদারহুড। দীর্ঘ বৈঠক শেষে একটি যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়, যেখানে দেখা যায় নানা রাজনৈতিক আদর্শের দলগুলো ব্যক্তি ও নাগরিক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাহী প্রশাসনের সর্বোচ্চ অসামরিকীকরণসহ বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য ঘোষণা করেছে দলগুলো।
রোববার দুপুরেই দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরাম তাদের ইংরেজি ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিশ্লেষণে জানিয়েছে নির্বাচনের আগে যেই সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছে দেশটির ক্ষমতা হস্তান্তরের দায়িত্ব নেয়া সামরিক জান্তা, তাতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতা নেই। ক্ষমতাসীন সেনা পরিষদ নির্বাচনের এ ফল ঘোষণার আগেই বিপ্লব পরবর্তী প্রথম নির্বাচিত সংসদ ও সাংবিধানিক পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। সংসদ ও সাংবিধানিক পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস দলের।
সর্বশেষ খবরে আল-আহরাম জানিয়েছে, এফজিপি’র অন্যতম প্রধান নেতা সাদ-আল-হুসেইনি বলেছেন যে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের কাছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন না মুরসি বরং নির্বাচিত পার্লামেন্টের কাছেই তিনি শপথ নেবেন।
অন্যদিকে একজন ইসলামপন্থি মিশরে প্রথম সত্যিকারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নতুন প্রেসিডেন্টের আমলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের মতো থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করার আগেভাগেই গণবিপ্লবী তরুণ নেতাদের ও কয়েকটি ইসলামপন্থি, বামপন্থি ও সেকুলার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ ‘জাতীয় মঞ্চে’র ঘোষণা দেয়ার পর এখন বিজয়ী প্রেসিডেন্ট মুরসির এই পদত্যাগকে বিশ্লেষকরা দেখছেন, এখনো ক্ষমতায় থাকা সর্বোচ্চ সেনা পরিষদকে মোকাবিলায় শক্ত অবস্থান হিসেবে।
গত বছরের গণবিপ্লবে তিন দশকের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতন হলে সামরিক বাহিনী একটি সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ গঠন করে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দায়িত্ব নেয়। চলতি জুন মাসের শেষ নাগাদ নির্বাচিত সংসদ, সংবিধান প্রণয়ণের উদ্দেশ্যে নির্বাচিত গণপরিষদ ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা কথা রয়েছে। কিন্তু সংসদ ও গণপরিষদ ভেঙে দেয়া এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব করে ডিক্রি জারিসহ সামরিক জান্তার সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপকে ‘অভ্যূত্থান’ আখ্যা করে দেশটির গণতন্ত্রীপন্থি রাজনীতিকরা বলছেন, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছে।
রোববার কায়রো স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় দেশটির ইতিহাসে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পাটির প্রার্থী মুরসি মোট ভোটের ৫১.৭ শতাংশ পেয়ে মুবারকের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ও এনএলডি সমর্থিত প্রার্থী জেনারেল অব. আহমেদ শফিককে হারালেন।প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসি ও জেনারেল শফিক প্রতিযোগিতা করেন গত ১৬ ও ১৭ জুন অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে। তবে প্রথম দফার নির্বাচনে শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে আসতে না পারা ইসলামপন্থি অপর প্রার্থী ফতুহ, বামপন্থি প্রার্থী সাবাহি, সেকুলার প্রার্থী মুসা’র সমর্থকরা- যারা গত বছরের সফল গণবিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই দ্বিতীয় দফার ভোটে ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রার্থী মুরসিকে ভোট দেননি।
মোট ভোটারের মাত্র ৫১ শতাংশ ভোটার- দুই কোটি চৌষট্টি লাখ বিশ হাজার সাতশ বাষট্টি জন ভোট দিয়েছেন। যার মধ্যে আট লাখ তিষট্টি হাজার দুইশ বায়ান্নটি ভোট অনিয়মের অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে। মোট বৈধ ভোটের এক কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার ১৩১ অর্থাৎ ৫১.৭ ভাগ পেয়ে জয়ী হলেন মুরসি। পরাজিত প্রার্থী শফিক পেয়েছেন এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ ভোট।
তবে সাবেক সেনা জেনারেল শফিককে নির্বাচিত ঘোষণা করার আশংকা দেখা দিলে ফলাফল ঘোষণা হবার আগে শনিবার স্বৈরতন্ত্র বিরোধী অন্যান্য ইসলামি, বাম ও সেকুলার দলগুলোর সঙ্গে নতুন ঐক্যপ্রক্রিয়ার সূচনা করে মুসলিম ব্রাদারহুড। দীর্ঘ বৈঠক শেষে একটি যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়, যেখানে দেখা যায় নানা রাজনৈতিক আদর্শের দলগুলো ব্যক্তি ও নাগরিক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নির্বাহী প্রশাসনের সর্বোচ্চ অসামরিকীকরণসহ বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য ঘোষণা করেছে দলগুলো।
রোববার দুপুরেই দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরাম তাদের ইংরেজি ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিশ্লেষণে জানিয়েছে নির্বাচনের আগে যেই সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছে দেশটির ক্ষমতা হস্তান্তরের দায়িত্ব নেয়া সামরিক জান্তা, তাতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে কার্যত রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমতা নেই। ক্ষমতাসীন সেনা পরিষদ নির্বাচনের এ ফল ঘোষণার আগেই বিপ্লব পরবর্তী প্রথম নির্বাচিত সংসদ ও সাংবিধানিক পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। সংসদ ও সাংবিধানিক পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস দলের।
সর্বশেষ খবরে আল-আহরাম জানিয়েছে, এফজিপি’র অন্যতম প্রধান নেতা সাদ-আল-হুসেইনি বলেছেন যে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালতের কাছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন না মুরসি বরং নির্বাচিত পার্লামেন্টের কাছেই তিনি শপথ নেবেন।
অন্যদিকে একজন ইসলামপন্থি মিশরে প্রথম সত্যিকারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নতুন প্রেসিডেন্টের আমলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের মতো থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
No comments