ডিজিটাল প্রতারণা-প্রতিরোধ জরুরি হয়ে পড়েছে
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অপরাধেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে এবং এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের শিক্ষিত জনসংখ্যার একটি বড় অংশই আজ ইন্টারনেটসহ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নততর সুবিধাগুলো ব্যবহার করছে এবং প্রতিদিনই বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নানামুখী পদক্ষেপও এই বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক।
কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তি বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীরাও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারণার নানা কৌশল নিয়ে মাঠে নেমে গেছে। আর তার শিকার হচ্ছে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সদ্য পরিচিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল (২৩ জুন) কালের কণ্ঠে এমনই একটি প্রতারণাপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম ছিল, 'অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার শিকার লাখ লাখ মানুষ।' খবরে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি লাপাত্তা হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোরও কোনো কোনোটি নতুন নামে নতুন করে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্লিক করেই মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব, ইন্টারনেটে এ ধরনের লোভের জাল বিস্তার করে এরা মানুষকে প্রতারিত করে, যার প্রধান শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অনেক উন্নত দেশেও এ ধরনের প্রতারণার অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু সেসব দেশে প্রতারণাকারী এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অপরাধ তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিবিধান রয়েছে এবং সেগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করা হয়। তদুপরি সেসব দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে নাগরিক সচেতনতাও বেশি। আমাদের দেশে যেহেতু উন্নত এই প্রযুক্তিটি সবেমাত্র জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, তাই সচেতনতার দিক থেকেও আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। সে ক্ষেত্রে নাগরিকদের রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বললেও ডিজিটাল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের দিকটিতে মোটেও গুরুত্ব আরোপ করছেন না। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে, ব্যাপক হারে এ ধরনের প্রতারণা ছড়িয়ে পড়া। যত দিন যাবে, ততই এ ধরনের প্রতারণা বাড়তে থাকবে। কারণ ইন্টারনেট এখন মোবাইল ফোনেও সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। দিন দিনই এটি আরো বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে থাকবে। একই সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদও ক্রমে বেশি করে বিস্তৃতি পেতে থাকবে।
ইন্টারনেটে দুটি শব্দ এখন তরুণদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। শব্দ দুটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং, আর এ দুটি শব্দকেই ব্যবহার করছে 'পেইড টু ক্লিক' বা পিটিসি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং বিষয়ে এ দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, প্রতারক প্রতিষ্ঠানগুলো যা করছে তা কোনোভাবেই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং নয়, এমএলএম কম্পানির মতোই এগুলো আরেকটি প্রতারণা মাত্র। তাঁরা এ জন্য তরুণদের সহজে উপার্জন করার মানসিকতা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। সরকার সম্প্রতি এমএলএম কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও ডিজিটাল এমএলএম প্রতারকদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এমনকি ডিজিটাল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রস্তুতিও যথেষ্ট নয়। লাখ লাখ মানুষ যেখানে প্রতারণার শিকার হচ্ছে, সেখানে সরকারের এ ধরনের উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সাধারণত যারা ডিজিটাল ক্রাইম করে, তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক বেশি দক্ষ। তাই তাদের প্রতিরোধে আমাদের পুলিশ বাহিনীতেও সে রকম দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি করতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে।
অনেক উন্নত দেশেও এ ধরনের প্রতারণার অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু সেসব দেশে প্রতারণাকারী এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অপরাধ তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিবিধান রয়েছে এবং সেগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করা হয়। তদুপরি সেসব দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে নাগরিক সচেতনতাও বেশি। আমাদের দেশে যেহেতু উন্নত এই প্রযুক্তিটি সবেমাত্র জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, তাই সচেতনতার দিক থেকেও আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। সে ক্ষেত্রে নাগরিকদের রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বললেও ডিজিটাল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের দিকটিতে মোটেও গুরুত্ব আরোপ করছেন না। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে, ব্যাপক হারে এ ধরনের প্রতারণা ছড়িয়ে পড়া। যত দিন যাবে, ততই এ ধরনের প্রতারণা বাড়তে থাকবে। কারণ ইন্টারনেট এখন মোবাইল ফোনেও সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। দিন দিনই এটি আরো বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে থাকবে। একই সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদও ক্রমে বেশি করে বিস্তৃতি পেতে থাকবে।
ইন্টারনেটে দুটি শব্দ এখন তরুণদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। শব্দ দুটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং, আর এ দুটি শব্দকেই ব্যবহার করছে 'পেইড টু ক্লিক' বা পিটিসি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং বিষয়ে এ দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে আসছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, প্রতারক প্রতিষ্ঠানগুলো যা করছে তা কোনোভাবেই ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং নয়, এমএলএম কম্পানির মতোই এগুলো আরেকটি প্রতারণা মাত্র। তাঁরা এ জন্য তরুণদের সহজে উপার্জন করার মানসিকতা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। সরকার সম্প্রতি এমএলএম কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও ডিজিটাল এমএলএম প্রতারকদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এমনকি ডিজিটাল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রস্তুতিও যথেষ্ট নয়। লাখ লাখ মানুষ যেখানে প্রতারণার শিকার হচ্ছে, সেখানে সরকারের এ ধরনের উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সাধারণত যারা ডিজিটাল ক্রাইম করে, তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক বেশি দক্ষ। তাই তাদের প্রতিরোধে আমাদের পুলিশ বাহিনীতেও সে রকম দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি করতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে।
No comments