চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে তলব-জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলাদেশের অসন্তোষ প্রকাশ
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে কোনো আলোচনা না হলেও সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করায় অসন্তোষ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। গতকাল রবিবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. গিডো ভেস্টেরভেলের ঢাকা ছাড়ার পরই জার্মান চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশ এই অসন্তুষ্টি ও বিস্ময়ের কথা জানায়।
উল্লেখ্য, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবারের বৈঠকে সুশীল সমাজ এবং মতামত প্রকাশের অধিকার ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়নি। জার্মান কর্মকর্তাদের তৈরি যে বক্তব্য তিনি পাঠ করেছেন, তাতে তথ্য যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। আর এ কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাত ৮টার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে বিশেষ করে দুই দেশের আনুষ্ঠানিক বৈঠক সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ-জার্মানি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতার কাঠামো চুক্তি, সিম্যান/মেরিনারদের সনদের স্বীকৃতি, বাংলাদেশে জার্মান অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি, তৈরি পোশাক খাতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানোন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশে জার্মান কনটেইনার ভেসেল পরিচালনার সনদ প্রদান, জার্মানির রাজনৈতিক ফাউন্ডেশনগুলোর কাজ করার অনুমতি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দক্ষতাভিত্তিক অংশীদারিত্ব কাঠামোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনার সময় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে খোঁজ নেন। তিনি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের ব্যাপারেও খোঁজ নেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্বাচন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এগুলোর প্রশংসাও করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে বৈঠকের পর পরই জার্মান মন্ত্রী যে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনিয়েছেন এবং পরে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে এমন কিছু ইস্যু এসেছে যা নিয়ে বৈঠকে আলোচনাই হয়নি। সুশীল সমাজের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চলমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, কর্মী হত্যায় উদ্বেগ এবং বিচারের আওতায় আনা এগুলোর অন্যতম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বৈঠকে জার্মানির পক্ষ থেকে ওই ইস্যুগুলোর কোনোটিই তোলা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, যেহেতু জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগে থেকে তৈরি করা একটি বক্তব্য পড়েছেন, তাই মন্ত্রণালয় মনে করে এটি জার্মান পক্ষের কর্মকর্তাদের ভুলে হয়েছে। কারণ মানবাধিকার, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এসব বিষয় বৈঠকে আসেনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সকালে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যগত বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্বেগ, হতাশা ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। জার্মান চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বচ্ছতা ও সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই ওই সব ইস্যুতে যেকোনো সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, আলোচনা হয়নি এমন বিষয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করা কেবল তথ্যগত বিভ্রান্তিই নয়, দুই দেশের সুসম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর অনেকে তাদের প্রতিবেদনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিকে স্থান না দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গতকাল রবিবার রাত ৮টার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে বিশেষ করে দুই দেশের আনুষ্ঠানিক বৈঠক সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। বৈঠকে বাংলাদেশ-জার্মানি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতার কাঠামো চুক্তি, সিম্যান/মেরিনারদের সনদের স্বীকৃতি, বাংলাদেশে জার্মান অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি, তৈরি পোশাক খাতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানোন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশে জার্মান কনটেইনার ভেসেল পরিচালনার সনদ প্রদান, জার্মানির রাজনৈতিক ফাউন্ডেশনগুলোর কাজ করার অনুমতি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দক্ষতাভিত্তিক অংশীদারিত্ব কাঠামোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনার সময় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে খোঁজ নেন। তিনি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের ব্যাপারেও খোঁজ নেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নির্বাচন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এগুলোর প্রশংসাও করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে বৈঠকের পর পরই জার্মান মন্ত্রী যে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনিয়েছেন এবং পরে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে এমন কিছু ইস্যু এসেছে যা নিয়ে বৈঠকে আলোচনাই হয়নি। সুশীল সমাজের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, চলমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, কর্মী হত্যায় উদ্বেগ এবং বিচারের আওতায় আনা এগুলোর অন্যতম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, বৈঠকে জার্মানির পক্ষ থেকে ওই ইস্যুগুলোর কোনোটিই তোলা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, যেহেতু জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগে থেকে তৈরি করা একটি বক্তব্য পড়েছেন, তাই মন্ত্রণালয় মনে করে এটি জার্মান পক্ষের কর্মকর্তাদের ভুলে হয়েছে। কারণ মানবাধিকার, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এসব বিষয় বৈঠকে আসেনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সকালে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যগত বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্বেগ, হতাশা ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। জার্মান চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ স্বচ্ছতা ও সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই ওই সব ইস্যুতে যেকোনো সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, আলোচনা হয়নি এমন বিষয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করা কেবল তথ্যগত বিভ্রান্তিই নয়, দুই দেশের সুসম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর অনেকে তাদের প্রতিবেদনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিকে স্থান না দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
No comments