ওএসডি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, না সরকারের?-জনপ্রশাসনে বিপুল অপচয়
এই মুহূর্তে জনপ্রশাসনের ৫৯১ জন সরকারি কর্মকর্তা ওএসডি বা অফিসার্স অন স্পেশাল ডিউটিতে আছেন, যাঁরা রাষ্ট্র ও জনগণের সেবায় কিছু না করেও সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। তাঁদের পেছনে প্রতি মাসে রাষ্ট্রের তথা জনগণের খরচের পরিমাণ এক কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ওএসডি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন সচিব, ৩৭ জন অতিরিক্ত সচিব, ১৪৬ জন যুগ্ম সচিব, ১৭০ জন উপসচিব, ১৯০ জন সিনিয়র সহকারী সচিব ও ৪৫ জন সহকারী সচিব রয়েছেন। রাষ্ট্রের এই বিপুল অপচয়ের কারণ কী? তাঁদের কি রাষ্ট্রের, না সরকারের প্রয়োজনে ওএসডি করা হয়েছে?
সাবেক সচিব আসাফউদ্দৌলার একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিধি লঙ্ঘন করে ওএসডি করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে সরকারকে আট সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন। একই সঙ্গে গত ১০ বছরে কতজন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে তা-ও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
আদালতে দায়ের করা রিটে বলা হয়েছে, কেবল রাজনৈতিক কারণে এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। ফলে ওই কর্মকর্তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেনই, তার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনপ্রশাসন। এই কর্মকর্তাদের মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে না কেন? কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করে পদায়ন করা জরুরি। বিএনপি সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসর পাওয়া অনেক কর্মকর্তা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনর্বহাল হয়েছেন। সে কারণে বর্তমান সরকার বাধ্যতামূলক অবসর না দিয়ে ওএসডি করার পথ বেছে নিয়েছে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়।
১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সর্বনিম্ন ৪৫ জন এবং সর্বোচ্চ ১৫০ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার বিধান রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমরা মনে করি, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের প্রয়োজনে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজনকেও খামোখা বসিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বিনিময়ে রাষ্ট্র তাঁদের বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধার জোগান দেয়। অনেক দেশে প্রশাসনের সবচেয়ে চৌকস ও মেধাবী কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয় তাঁদের কাছ থেকে বাড়তি সেবা পেতে। অথচ আমাদের এখানে সরকার যাঁদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থক মনে করে, তাঁদেরই ওএসডি করে অলস বসিয়ে রাখে। এই ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক প্রবণতা থেকে জনপ্রশাসনকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকার স্বেচ্ছায় যখন সেই কাজটি করেনি, তখন আদালতের নির্দেশে করলেও জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেঁচে যান।
সরকার কোনো কর্মকর্তাকেই নিজের পক্ষের বা বিপক্ষের ভাবতে পারে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাঁদের একমাত্র দায়বদ্ধতা দেশ ও জনগণের প্রতি। সেই দায়িত্ব তাঁরা ঠিকমতো পালন করছেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। অতএব ওএসডি নামের অস্ত্রটির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়।
সাবেক সচিব আসাফউদ্দৌলার একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিধি লঙ্ঘন করে ওএসডি করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে সরকারকে আট সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন। একই সঙ্গে গত ১০ বছরে কতজন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে তা-ও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
আদালতে দায়ের করা রিটে বলা হয়েছে, কেবল রাজনৈতিক কারণে এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। ফলে ওই কর্মকর্তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেনই, তার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনপ্রশাসন। এই কর্মকর্তাদের মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে না কেন? কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করে পদায়ন করা জরুরি। বিএনপি সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসর পাওয়া অনেক কর্মকর্তা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনর্বহাল হয়েছেন। সে কারণে বর্তমান সরকার বাধ্যতামূলক অবসর না দিয়ে ওএসডি করার পথ বেছে নিয়েছে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়।
১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সর্বনিম্ন ৪৫ জন এবং সর্বোচ্চ ১৫০ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার বিধান রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমরা মনে করি, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের প্রয়োজনে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজনকেও খামোখা বসিয়ে রাখা যাবে না। জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বিনিময়ে রাষ্ট্র তাঁদের বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধার জোগান দেয়। অনেক দেশে প্রশাসনের সবচেয়ে চৌকস ও মেধাবী কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয় তাঁদের কাছ থেকে বাড়তি সেবা পেতে। অথচ আমাদের এখানে সরকার যাঁদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থক মনে করে, তাঁদেরই ওএসডি করে অলস বসিয়ে রাখে। এই ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক প্রবণতা থেকে জনপ্রশাসনকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকার স্বেচ্ছায় যখন সেই কাজটি করেনি, তখন আদালতের নির্দেশে করলেও জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেঁচে যান।
সরকার কোনো কর্মকর্তাকেই নিজের পক্ষের বা বিপক্ষের ভাবতে পারে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাঁদের একমাত্র দায়বদ্ধতা দেশ ও জনগণের প্রতি। সেই দায়িত্ব তাঁরা ঠিকমতো পালন করছেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়। অতএব ওএসডি নামের অস্ত্রটির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়।
No comments