এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-দক্ষ জনবলের চাহিদা বিশ্বব্যাপী
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে গত ১৫ মে এসেছিলেন নিউটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ কবীর। কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, ট্যুরিজম বা পর্যটন ও হাসপাতাল খাতের ওপর পড়াশোনা, প্রশিক্ষণ ও এ পেশার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি
কথাবন্ধু: নিউটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কিছু বলুন। এখানে সাধারণত কী কী বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয়?
সাঈদ কবীর: নিউটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজন এমন বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া চাকরি ও শিল্পক্ষেত্রে যে ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, তার জন্যও আমরা কাজ করছি। এ বছর আমরা প্রথম নিউটন হোটেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। বর্তমানে এখানে হোটেল প্রফেশনালদের (হসপিটালিটিস সেক্টর) প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা, এ বছরের শেষ দিকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করব। এ ছাড়া ভবিষ্যতে কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ এবং মেডিকেল ও প্যারামেডিকেল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।
কথাবন্ধু: বর্তমানে এ পেশায় কাজের ক্ষেত্র এবং কোথায় কোথায় কাজের সুযোগ রয়েছে?
সাঈদ কবীর: বাংলাদেশে হসপিটালিটি সেক্টর বর্তমানে অনেক এগিয়েছে। এখন এ বিভাগে চাকরি করতে অনেকেই দেশের বাইরেও যাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কর্মীরা যাচ্ছেন। দেশে ও দেশের বাইরে এ ক্ষেত্রে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা অনেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় বা দক্ষ নয়। এ কারণে তাঁরা অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছেন। তাই দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই হোক না কেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে তবেই কাজ করা উচিত। নিউটনের লক্ষ্য হলো, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে একজন প্রশিক্ষণার্থীকে দক্ষ হোটেল প্রফেশনাল হিসেবে গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে শুধু পড়াশোনা নয়, হাতেকলমে কাজের অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রয়োজনে বারবার অনুশীলন করতে হবে। সমস্যার দ্রুত সমাধান করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
কথাবন্ধু: ট্যুরিজম বা পর্যটন খাতের বর্তমান অবস্থা কেমন? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ পেশায় কাজের ক্ষেত্র বা পরিধি কতটুকু?
সাঈদ কবীর: বাংলাদেশে এই খাতের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ইতিমধ্যেই অনেক হোটেল হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে কিছু বুটিক হোটেল। আগামী দুই বছরে আরও অনেক হোটেল আসবে। তাদের অনেক জনবলের প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া দেশীয় উদ্যোগে থ্রিস্টার, ফোরস্টার হোটেলও তৈরি হচ্ছে। তাই এখানে কাজের সুযোগ অনেক। ভবিষ্যতে এ সুযোগ আরও বাড়বে। তবে এ জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় সুযোগ রয়েছে?
সাঈদ কবীর: এ জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট এ বিষয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কোর্স করাচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ও বিদেশে সবাই সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। তবে নতুন যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের এমন প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়া উচিত, যারা হাতেকলমে শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট রয়েছে। তবে আগ্রহ না থাকলে এ পেশায় আসা উচিত নয়। কারণ এখানে সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে কাজ করতে হবে, তাহলেই কেবল আপনি সফল হবেন।
কথাবন্ধু: এ কোর্সগুলোর খরচ সাধারণত কেমন হয়? এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কী প্রয়োজন হয়?
সাঈদ কবীর: পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা কখনোই শেষ হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পাস। এ ছাড়া ইংরেজিতে ভালো হলে আপনি আরও একধাপ এগিয়ে থাকবেন। কারণ এখানে কিছু ক্ষেত্রে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে হয়। ইনস্টিটিউট ও কোর্সের ওপর খরচ নির্ভর করবে।
নিউটন স্কুলে দুই-তিন মাসের একটি কোর্সের জন্য ১৩ থেকে ১৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এখানে সাধারণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অন দ্য জব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়।
কথাবন্ধু: একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি কীভাবে এ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন? এখানে কি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে?
সাঈদ কবীর: অবশ্যই এখানে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিদেশে অনেকেই এ শাখায় খণ্ডকালীন কাজ করছেন। তবে এটি বেশ কঠিন। নিজের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে করতে হবে। এ জন্য নিজের আগ্রহ ও ইচ্ছাই যথেষ্ট। আমাদের দেশে অনেকেই খণ্ডকালীন কাজ করছেন। সে ক্ষেত্রে কাজের প্রতি আগ্রহ ও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।
কথাবন্ধু: একজন শিক্ষার্থীকে পেশা হিসেবে এটি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবার থেকে কী ধরনের সহযোগিতা বা বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে আপনি মনে করেন? এ পেশায় মেয়েদের কাজের সুযোগ কতখানি?
সাঈদ কবীর: বর্তমানে অনেকে তাঁদের বাবা-মায়ের হাত ধরেই আসছেন। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে এটি লক্ষ করা গেছে। তবু এ জন্য সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। অনেকেই দেশের পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে গিয়ে ডিগ্রি নিচ্ছেন। মেয়েদের জন্যও এ পেশা সম্ভাবনাময়। এ পেশায় বর্তমানে মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম। তাদের জন্য কাজের সুযোগ এখানে অনেক বেশি।
কথাবন্ধু: যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের প্রতি আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
সাঈদ কবীর: প্রথম ও শেষ একটা কথাই বলব, সময় নষ্ট না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে খোঁজ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে নিউটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারেন। ঠিকানা: www.newtonskills.com।
কথাবন্ধু: প্রথম আলো জবস আয়োজিত প্রোগ্রামে ভিন্নধর্মী কাজের ক্ষেত্র তুলে ধরা হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে নতুন নতুন পেশার প্রতি উৎসাহ তৈরিতে তা সাহায্য করছে। এ ধরনের উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
সাঈদ কবীর: এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তরুণদের উন্নয়নের জন্য এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এবিসি রেডিওতে প্রচারিত এ অনুষ্ঠান আমি শুনি। আবার একই সঙ্গে প্রতি বুধবার প্রথম আলোয় এটি ছাপানো হয়। আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পত্রিকায় এ বিষয় নিয়ে প্রকাশিত লেখা সব সময় পড়ি। এর মাধ্যমে তরুণসমাজকে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
সাঈদ কবীর: নিউটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড একটি নতুন প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজন এমন বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া চাকরি ও শিল্পক্ষেত্রে যে ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, তার জন্যও আমরা কাজ করছি। এ বছর আমরা প্রথম নিউটন হোটেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু করি। বর্তমানে এখানে হোটেল প্রফেশনালদের (হসপিটালিটিস সেক্টর) প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা, এ বছরের শেষ দিকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করব। এ ছাড়া ভবিষ্যতে কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ এবং মেডিকেল ও প্যারামেডিকেল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।
কথাবন্ধু: বর্তমানে এ পেশায় কাজের ক্ষেত্র এবং কোথায় কোথায় কাজের সুযোগ রয়েছে?
সাঈদ কবীর: বাংলাদেশে হসপিটালিটি সেক্টর বর্তমানে অনেক এগিয়েছে। এখন এ বিভাগে চাকরি করতে অনেকেই দেশের বাইরেও যাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কর্মীরা যাচ্ছেন। দেশে ও দেশের বাইরে এ ক্ষেত্রে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা অনেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় বা দক্ষ নয়। এ কারণে তাঁরা অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছেন। তাই দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই হোক না কেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে তবেই কাজ করা উচিত। নিউটনের লক্ষ্য হলো, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে একজন প্রশিক্ষণার্থীকে দক্ষ হোটেল প্রফেশনাল হিসেবে গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে শুধু পড়াশোনা নয়, হাতেকলমে কাজের অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রয়োজনে বারবার অনুশীলন করতে হবে। সমস্যার দ্রুত সমাধান করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
কথাবন্ধু: ট্যুরিজম বা পর্যটন খাতের বর্তমান অবস্থা কেমন? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ পেশায় কাজের ক্ষেত্র বা পরিধি কতটুকু?
সাঈদ কবীর: বাংলাদেশে এই খাতের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ইতিমধ্যেই অনেক হোটেল হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে কিছু বুটিক হোটেল। আগামী দুই বছরে আরও অনেক হোটেল আসবে। তাদের অনেক জনবলের প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া দেশীয় উদ্যোগে থ্রিস্টার, ফোরস্টার হোটেলও তৈরি হচ্ছে। তাই এখানে কাজের সুযোগ অনেক। ভবিষ্যতে এ সুযোগ আরও বাড়বে। তবে এ জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় সুযোগ রয়েছে?
সাঈদ কবীর: এ জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট এ বিষয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কোর্স করাচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ও বিদেশে সবাই সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। তবে নতুন যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের এমন প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়া উচিত, যারা হাতেকলমে শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট রয়েছে। তবে আগ্রহ না থাকলে এ পেশায় আসা উচিত নয়। কারণ এখানে সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে কাজ করতে হবে, তাহলেই কেবল আপনি সফল হবেন।
কথাবন্ধু: এ কোর্সগুলোর খরচ সাধারণত কেমন হয়? এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কী প্রয়োজন হয়?
সাঈদ কবীর: পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা কখনোই শেষ হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পাস। এ ছাড়া ইংরেজিতে ভালো হলে আপনি আরও একধাপ এগিয়ে থাকবেন। কারণ এখানে কিছু ক্ষেত্রে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে হয়। ইনস্টিটিউট ও কোর্সের ওপর খরচ নির্ভর করবে।
নিউটন স্কুলে দুই-তিন মাসের একটি কোর্সের জন্য ১৩ থেকে ১৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এখানে সাধারণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অন দ্য জব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়।
কথাবন্ধু: একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি কীভাবে এ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেন? এখানে কি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে?
সাঈদ কবীর: অবশ্যই এখানে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিদেশে অনেকেই এ শাখায় খণ্ডকালীন কাজ করছেন। তবে এটি বেশ কঠিন। নিজের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে করতে হবে। এ জন্য নিজের আগ্রহ ও ইচ্ছাই যথেষ্ট। আমাদের দেশে অনেকেই খণ্ডকালীন কাজ করছেন। সে ক্ষেত্রে কাজের প্রতি আগ্রহ ও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।
কথাবন্ধু: একজন শিক্ষার্থীকে পেশা হিসেবে এটি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবার থেকে কী ধরনের সহযোগিতা বা বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে আপনি মনে করেন? এ পেশায় মেয়েদের কাজের সুযোগ কতখানি?
সাঈদ কবীর: বর্তমানে অনেকে তাঁদের বাবা-মায়ের হাত ধরেই আসছেন। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে এটি লক্ষ করা গেছে। তবু এ জন্য সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। অনেকেই দেশের পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে গিয়ে ডিগ্রি নিচ্ছেন। মেয়েদের জন্যও এ পেশা সম্ভাবনাময়। এ পেশায় বর্তমানে মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম। তাদের জন্য কাজের সুযোগ এখানে অনেক বেশি।
কথাবন্ধু: যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের প্রতি আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
সাঈদ কবীর: প্রথম ও শেষ একটা কথাই বলব, সময় নষ্ট না করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে খোঁজ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে নিউটন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারেন। ঠিকানা: www.newtonskills.com।
কথাবন্ধু: প্রথম আলো জবস আয়োজিত প্রোগ্রামে ভিন্নধর্মী কাজের ক্ষেত্র তুলে ধরা হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে নতুন নতুন পেশার প্রতি উৎসাহ তৈরিতে তা সাহায্য করছে। এ ধরনের উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
সাঈদ কবীর: এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তরুণদের উন্নয়নের জন্য এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এবিসি রেডিওতে প্রচারিত এ অনুষ্ঠান আমি শুনি। আবার একই সঙ্গে প্রতি বুধবার প্রথম আলোয় এটি ছাপানো হয়। আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পত্রিকায় এ বিষয় নিয়ে প্রকাশিত লেখা সব সময় পড়ি। এর মাধ্যমে তরুণসমাজকে আরও বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments