একান্ত সচিব থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হোক-বন্দরের গাড়ি ভাগাভাগি
চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা ও আয় বাড়ানোর জন্য সরকার মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে, আর ওদিকে চলছে সম্পদের অপচয়। নৌপরিবহনমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) ও অন্যান্য কর্মকর্তা বন্দরের টাকায় কেনা নতুন পাঁচটি জিপগাড়ি ভাগাভাগি করে নিজেরা ব্যবহার করছেন।
নিয়ম অনুযায়ী সরকারের যুগ্ম সচিব মর্যাদার নিচের পদের কোনো কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক গাড়ি পান না। তবে মন্ত্রীর পিএস উপসচিব মর্যাদার কর্মকর্তা হলেও পিএস হিসেবে সরকারের পরিবহন পুল থেকে একটি গাড়ি তাঁর প্রাপ্য। সেটা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। এর অতিরিক্ত বন্দরের নতুন পাজেরো জিপটি তিনি নিয়েছেন নিয়ম ভেঙে। গাড়িটি তাঁর পারিবারিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ জন্য দুজন গাড়িচালকও রাখতে হয়েছে। তাঁদের বেতন-ভাতা ও গাড়ির জ্বালানি বাবদ বন্দরের ব্যয় হচ্ছে মাসে অন্তত ষাট হাজার টাকা। এ বিষয়ে ১৩ আগস্ট প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
বন্দরের গাড়ি ভাগাভাগির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে যিনি নৌপরিবহনমন্ত্রী ছিলেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁর পিএস নিয়মবহির্ভূতভাবে বন্দরের গাড়ি ব্যবহার করে গেছেন। এ বাবদ বন্দরের লাখ লাখ টাকার অপচয় হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট প্রথম আলোর প্রথম পাতায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন বেরিয়েছে।
বন্দরের গাড়ি কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ‘প্রচণ্ড চাপে পড়ে’ নাকি বন্দরের গাড়ি ঢাকায় পাঠাতে তাঁরা বাধ্য হন। এ রকম ব্যাখ্যা দিয়ে কি বন্দর কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব এড়াতে পারে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মবহির্ভূত প্রতিটি কাজের জবাবদিহি অবশ্যই করতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের টাকায় কেনা গাড়ি কেন ঢাকায় মন্ত্রী-পিএসদের বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে? এখানে চাপ বা অন্য কিছুর সাফাই চলে না। বন্দরের যেকোনো প্রকল্প বা প্রস্তাব বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। এ জন্য মন্ত্রণালয়কে খুশি রাখা তাঁদের অন্যতম কর্তব্য বলে যদি বন্দর কর্মকর্তারা ভেবে থাকেন, তাহলে তাঁরা শুধুই ভুল করছেন না, সরকারি টাকার অপচয়ে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন। তাই ব্যবস্থা তাঁদের বিরুদ্ধেও নিতে হবে।
তবে মন্ত্রীর পিএস বা ক্ষেত্রবিশেষে স্বয়ং মন্ত্রীরা একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে যে বিধি ভঙ্গ করছেন, তার দায়দায়িত্ব তাঁদের ওপরই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিয়ম করেছে। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বও তাদের। পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরপরই তদন্ত হতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এ রকম উদাহরণ দেখা যায় না। মন্ত্রী ও তাঁদের পিএসরা বন্দরের দামি গাড়িগুলো দখলে রাখবেন, আর সংস্থাপন মন্ত্রণালয় চেয়ে চেয়ে দেখবে, এই বিলাসিতা বাংলাদেশের মতো গরিব দেশে চলে না।
বন্দরের গাড়ি আইনবহির্ভূতভাবে ব্যবহারের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। বন্দরের যে লাখ লাখ টাকার অপচয় হয়েছে, তা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায়ের ব্যবস্থা করা হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। ভবিষ্যতে অপচয় রোধে এ রকম পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
বন্দরের গাড়ি ভাগাভাগির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে যিনি নৌপরিবহনমন্ত্রী ছিলেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁর পিএস নিয়মবহির্ভূতভাবে বন্দরের গাড়ি ব্যবহার করে গেছেন। এ বাবদ বন্দরের লাখ লাখ টাকার অপচয় হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট প্রথম আলোর প্রথম পাতায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন বেরিয়েছে।
বন্দরের গাড়ি কোথায়, কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ‘প্রচণ্ড চাপে পড়ে’ নাকি বন্দরের গাড়ি ঢাকায় পাঠাতে তাঁরা বাধ্য হন। এ রকম ব্যাখ্যা দিয়ে কি বন্দর কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব এড়াতে পারে? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মবহির্ভূত প্রতিটি কাজের জবাবদিহি অবশ্যই করতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষের টাকায় কেনা গাড়ি কেন ঢাকায় মন্ত্রী-পিএসদের বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে? এখানে চাপ বা অন্য কিছুর সাফাই চলে না। বন্দরের যেকোনো প্রকল্প বা প্রস্তাব বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। এ জন্য মন্ত্রণালয়কে খুশি রাখা তাঁদের অন্যতম কর্তব্য বলে যদি বন্দর কর্মকর্তারা ভেবে থাকেন, তাহলে তাঁরা শুধুই ভুল করছেন না, সরকারি টাকার অপচয়ে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন। তাই ব্যবস্থা তাঁদের বিরুদ্ধেও নিতে হবে।
তবে মন্ত্রীর পিএস বা ক্ষেত্রবিশেষে স্বয়ং মন্ত্রীরা একাধিক গাড়ি ব্যবহার করে যে বিধি ভঙ্গ করছেন, তার দায়দায়িত্ব তাঁদের ওপরই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিয়ম করেছে। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বও তাদের। পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরপরই তদন্ত হতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এ রকম উদাহরণ দেখা যায় না। মন্ত্রী ও তাঁদের পিএসরা বন্দরের দামি গাড়িগুলো দখলে রাখবেন, আর সংস্থাপন মন্ত্রণালয় চেয়ে চেয়ে দেখবে, এই বিলাসিতা বাংলাদেশের মতো গরিব দেশে চলে না।
বন্দরের গাড়ি আইনবহির্ভূতভাবে ব্যবহারের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। বন্দরের যে লাখ লাখ টাকার অপচয় হয়েছে, তা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায়ের ব্যবস্থা করা হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। ভবিষ্যতে অপচয় রোধে এ রকম পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
No comments