হাইকোর্টের মন্তব্য-স্পিকারের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল

'জাতীয় সংসদে উচ্চ আদালত সম্পর্কে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। আশা করি, স্পিকার আদালতকে সম্মান করবেন।' গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।


গত ২৯ মে রাজধানীর সড়ক ভবনের জমি সুপ্রিম কোর্টকে ফিরিয়ে দিতে আদালতের আদেশ নিয়ে জাতীয় সংসদে এক বিতর্কে স্পিকার বক্তব্য দেন। এ বিতর্কে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও দুই সংসদ সদস্য অংশ নেন। সড়ক ভবনের জমি সুপ্রিম কোর্টকে ফিরিয়ে না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা আদালত অবমাননা মামলার শুনানি ছিল গতকাল। ওই মামলার শুনানির সময় স্পিকারের বক্তব্যগুলো বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এরপর আদালত ওই মন্তব্য করেন।
স্পিকার সম্পর্কে আদালত বলেন, তিনি অজ্ঞ, বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করেছেন। স্পিকারের বক্তব্য 'অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী'র মতো বলেও উল্লেখ করেন আদালত। হাইকোর্ট বলেন, একই সঙ্গে বারের একজন সদস্য হিসেবে বিচার বিভাগ সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করায় আইনজীবী হিসেবে স্পিকারের সনদ রাখা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবতে হবে।
ওদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত রাতে জাতীয় সংসদে আদালতের এসব মন্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছিল।
গতকাল হাইকোর্ট স্পিকার সম্পর্কে আরো বলেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে জনগণকে লেলিয়ে দিয়েছেন। তিনি সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণকে উসকানি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য আদালত অবমাননাকর। তিনি সংসদকেও অপমান করেছেন। সংসদের দায়মুক্তির অপব্যবহার করেছেন। তিনি সংসদে কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নিতে পারেন না। স্পিকার তাঁর পদের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ওই পদে থাকার অধিকার তাঁর নেই।
দিনভর স্পিকারের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা : সুপ্রিম কোর্টের জমি ফিরিয়ে না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাটি গতকাল হাইকোর্টের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। সকালে এ মামলার শুনানি শুরুর আগেই হাইকোর্ট আদালতে উপস্থিত দুই সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাবি্ব মিয়া ও নুরুল ইসলাম সুজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, 'পার্লামেন্টে আমাদের কচুকাটা করা হয়। স্পিকার তো আদালতের কার্যক্রমেও হস্তক্ষেপ করছেন।'
পরে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এ মামলার আবার শুনানির শুরুতে আদালত অবমাননা মামলার অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের পক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক বলেন, হাইকোর্টের আদেশে আজকের মধ্যে সড়ক ভবনের যেসব অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদও এতে সম্মতি জানান। এ সময় তিনি বলেন, 'আমি আরেকটি বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।' আদালত অনুমতি দেন। মনজিল মোরসেদ বলেন, 'এ মামলায় যে বিষয়টি বিচারধীন রয়েছে তা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বিচার বিভাগকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।' পরে সংসদের কার্যক্রম নিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী আদালতে জমা দেন। তিনি বলেন, সংসদের কার্যক্রম আদালত অবমাননার আওতায় আসবে না। এ দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে সংসদে বিচার বিভাগের সমালোচনা করা হয়েছে। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, 'এটা বিচার বিভাগের মর্যাদার প্রশ্ন। স্পিকার এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন কি না, তা দেখা হবে। তিনি একজন আইনজীবী। তাঁর তো অ্যাডভোকেট শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়। তাঁর এ পদবি ব্যবহার করা উচিত কি না, তা দেখতে আমরা বার কাউন্সিলে পাঠাতে পারি।'
এ সময় আদালতে উপস্থিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, বার কাউন্সিলে তাঁর মেম্বারশিপ এখন স্থগিত রয়েছে। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, স্পিকার বলেছেন হাইকোর্ট তড়িঘড়ি করে রায় দিয়েছেন। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, 'এ মামলায় রুল নিষ্পত্তিতে আমরা দেড় বছর সময় নিয়েছি। আমাদের বেঞ্চে অনেক রিট তিন মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে। রিট সম্পর্কে মনে হয় স্পিকারের কোনো ধারণা নেই। উনি তো হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেননি। রিট করাই দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য।' আদালত অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনকে বলেন, 'স্পিকার তো বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকেও জেনে নিতে পারতেন।' সুজন বলেন, 'আমি সে সময় সংসদে উপস্থিত ছিলাম। অনেক সময় পত্রিকায় বক্তব্য ঠিকভাবে আসে না।' তখন হাইকোর্ট বলেন, সব পত্রিকায় বিষয়টি এসেছে। স্পিকার ওই রিপোর্টের কোনো প্রতিবাদও জানাননি।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, জরুরি অবস্থার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা এ হাইকোর্টের কাছ থেকেই প্রটেকশন পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে থাকলে হয়তো এ ধরনের আলোচনা হতো না। সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগকে মুখোমুখি করার জন্যই বিষয়টি সংসদে তোলা হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্যে জনগণের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়। এ সময় আদালত বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা হচ্ছে জনমানুষের মর্যাদা। সুপ্রিম কোর্টকে যদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়, তাহলে তো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আর কিছুই থাকে না। এর চেয়ে নির্লজ্জ আর কোনো মন্তব্য হতে পারে না। ওনার মনে হয় বিচার বিভাগ সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই।' মনজিল মোরসেদ বলেন, স্পিকার বলেছেন, আইনমন্ত্রী সংসদে থাকলে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রীকে বলতেন। এ সময় হাইকোর্ট সরকারি আইন কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কি আইনমন্ত্রী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? সুপ্রিম কোর্ট কোনো মন্ত্রী দ্বারা নিয়ন্ত্রিণ নন। এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলতাফ হোসেন বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালত বলেন, 'স্পিকার তাঁর অজ্ঞতা দেখিয়েছেন। ভবন জজসাহেবদের জন্য নেওয়া হয়নি। এটা জনগণের স্বার্থে করা হয়েছে। একজন স্পিকার এত অজ্ঞ হতে পারেন, তা আমরা ভাবতে পারি না।' এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন বলেন, স্পিকার হয়তো সংবিধান পড়ে দেখেননি। হাইকোর্ট বলেন, 'আমি কি হনুরে- এ ধরনের মন্তব্য স্পিকার করতে পারেন? এটা কি সংসদের ভাষা?' স্পিকার সংসদের দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে যা খুশি তা করতে পারেন না। তিনি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। এই বেঞ্চ সম্পর্কে সংসদে আগেও অনেক বাজে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্পিকার তা থামাননি। কারো অনুপস্থিতিতে তো কারো সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে না। বিচারাধীন বিষয়েও সংসদে আলোচনা হতে পারে না।' এরপর আদালত মুলতবি করা হয়।
আবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। তখন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধানে যেহেতু সংসদের কার্যক্রমকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাই আদালত স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করতে পারেন না। তবে পুরো বিষয়ে আদালত একটি পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন। এরপর আদালত আইজীবী আবদুল মতিন খসরুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হাইকোর্ট বলেন, 'মি. খসরু আপনিও তো আইনমন্ত্রী ছিলেন। আপনি কি সুপ্রিম কোর্টকে পরিচালনা করতেন? আপনি কি বিচারপতিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরাতেন?' এ সময় অ্যাডভোকেট খসরু বলেন, 'কখনোই নয়। সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীন।' হাইকোর্ট বলেন, স্পিকারের বক্তব্য শুধু অজ্ঞতাই নয়, তাঁর বক্তব্য অমার্জনীয়। খসরু বলেন, 'এ বিষয়ে এখানে থেমে যাওয়াই আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক।' এ সময় হাইকোর্ট বলেন, 'স্পিকারই বিষয়টি শুরু করেছেন। আমাদের তো জবাব দিতেই হবে। উনি জনগণকে বিদ্রোহ করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন। এটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।' মতিন খসরু বলেন, স্পিকার সংসদের প্রতীক। হাইকোর্ট বলেন, ওই প্রতীক হতে হলে যোগ্যতা থাকতে হয়। পড়ালেখা জানতে হয়। এ পর্যায়ে শুনানিতে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং সংসদ। প্রত্যেক অংশেই নিজ নিজ এখতিয়ারের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। হাইকোর্ট বলেন, 'উনি তো না জেনেই বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা যদি তৃতীয় শক্তি নিয়ে লেখার জন্য কাউকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে বলি, তাহলে উনি তো (স্পিকার) আরো বড় ধরনের অপরাধ করেছেন।' এরপর শুনানিতে অংশ নিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, 'মাই লর্ড, আপনি (বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী) একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার প্রতি আমার অনুরোধ, এ নিয়ে আপনি অনেক বলেছেন, রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি এখানেই শেষ করে দিন।'
এরপর আদেশ দেওয়া শুরু করেন হাইকোর্ট। আদেশে বলা হয়, 'সংসদে আলোচনার বিষয়টি প্রায় সব সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। একজন সংসদ সদস্য পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, যা আদালতে বিচারাধীন। এটা খুবই দুঃখজনক যে স্পিকার যিনি রাষ্ট্রের তিন নম্বর ব্যক্তি তিনি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। রুলস অব পার্লামেন্ট অনুযায়ী কোনো ধরনের বিতর্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ স্পিকারের নেই। তিনি কেবল সংসদ পরিচালনা করবেন। সারা বিশ্বের আইনে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বিচারাধীন বিষয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হতে পারে না।' এ সময় আনিসুল হক দাঁড়িয়ে বলেন, 'মাই লর্ড, আমি বুঝতে পারছি আপনার মনে অনেক কষ্ট। দয়া করে বিষয়টি এখানেই শেষ করে দিন।'
এরপর হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, 'ওই দিন যা হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত হতাশ।' এ পর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে আবারও বিরতিতে যান আদালত। ১৫ মিনিট পর আবারও মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, 'আমরা এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, রাষ্ট্রের অন্য দুটি অর্গানের মতো সুপ্রিম কোর্টও সাংবিধানিক অর্গান। সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীন। আমরা কোনো মন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হই না। আমরা কেবল আমাদের বিবেক এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে দায়বদ্ধ। সরকারের কাছে বা কোনো মন্ত্রীর কাছে আমরা দায়বদ্ধ নই। আমরা আমাদের স্বার্থে কোনো আদেশ দেই না, আমরা যে আদেশ দেই তা জনগণের স্বার্থে। সুপ্রিম কোর্টের স্থানের সংকুলান জনগণের স্বার্থেই প্রয়োজন। কারণ স্থান সংকুলান না হলে নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে না, মামলার জটও শেষ হবে না।' ১৯৬১ সালে সড়ক ভবন সুপ্রিম সুপ্রিম কোর্টেরই অংশ ছিল। ১৯৭৮ সালে সামরিক শাসনের সময়ই সেখানে সড়ক ভবন করা হয়। আদেশে বলা হয়, 'আমরা ভয়ভীতির উর্ধ্বে উঠে স্বাধীনভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। সরকারের কার্যক্রম প্যারালাইজড হবে এমন কিছু আমরা করব না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজ সঠিকভাবে এগোবে বলে আমরা আশা করি। আমরা আশা করি, স্পিকার সুপ্রিম কোর্টের প্রতি মর্যাদা দেখাবেন।'
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আদেশ দেওয়া শেষ করেন আদালত। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। মূল মামলার শুনানি ৯ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, সংসদের বিতর্কে স্পিকার সেদিন বলেছিলেন, 'আমি যদি মনে করি সংসদই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, সরকার যদি মনে করে তারাই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, আবার আদালত যদি মনে করেন যা ইচ্ছা তা করবেন- এটা ঠিক নয়। কোর্টের বিচারে (রায়ে) জনগণ যদি ক্ষুব্ধ হয় তাহলে বিচারকের বিরুদ্ধে একসময় রুখে দাঁড়াতে পারে। এমনিভাবে সরকারও যদি জনগণের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করে জনগণ একদিন সরকারের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াবে। এ ধরনের ইতিহাস আছে।'
স্পিকার আরো বলেছিলেন, 'দেশের মানুষের বিচারের ক্ষেত্রে বছরের পর বছর লেগে যাবে আর নিজেদের বিষয় বলে বিচার বিভাগ ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, এটি ভালো দেখায় না।'

No comments

Powered by Blogger.