নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কার্যকর হবে কি?-শিক্ষার্থীদের বেত মারা
নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দেশের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাদ্রাসা, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও এই শাস্তি নিষিদ্ধ।
দেশে শিক্ষার চিত্রটি করুণ। নয় শতাংশ শিশু বিদ্যালয়ে যায় না।
দেশে শিক্ষার চিত্রটি করুণ। নয় শতাংশ শিশু বিদ্যালয়ে যায় না।
যারা যায়, তাদের প্রায় অর্ধেক প্রাথমিক শিক্ষার স্তর পার হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে। এ অবস্থায় যখন দেখা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেখানোর নামে একশ্রেণীর শিক্ষক শিশুদের বেত মারেন, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে শুধু দারিদ্র্য বা সুযোগের অভাবই নয়, এ ধরনের নির্মমতাও শিশুদের বিদ্যালয়বিমুখ করে। সম্প্রতি প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদে এ রকম এক অমানুষিক নির্যাতনের খবর বেরিয়েছে। রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক মাত্র নয় বছরের এক ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। একজন শিক্ষক এমন বর্বর আচরণ করতে পারেন, তা অবিশ্বাস্য।
কোচিংয়ের সময় ছাত্রী হেসে ফেলেছিল—এই তার দোষ। সে জন্য তার ওপর নেমে এসেছে এমন অকল্পনীয় বেত্রাঘাত। এটা শুধু অমানবিকই নয়, ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও গণ্য হওয়া উচিত। শিক্ষকের কাজ পাঠদান। তিনি যদি শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে পিটিয়ে আহত করেন, তাহলে সেটা আর পড়ালেখার পরিসীমায় থাকে না।
বিদ্যালয়ে বেত মেরে পড়ালেখা ‘শেখানো’র একটি নির্মম পদ্ধতি আমাদের মতো অনেক দেশেই চলে আসছে। এমনকি একটি ইংরেজি প্রবাদও রয়েছে, ‘স্পেয়ার দ্য রড, স্পয়েল দ্য চাইল্ড’ (বেত না মারলে বাচ্চারা বিপথে যায়)। সে কারণে অনেক অভিভাবকও মনে করেন, বিদ্যালয়ে একটু মারপিট না খেলে শিশুরা মানুষ হয় না। কিন্তু এগুলো পশ্চাত্পদ সমাজের ধ্যানধারণা। সেকেলে এই মনোভাব সভ্য সমাজ গ্রহণ করেনি। শিক্ষা আর বেত একসঙ্গে চলতে পারে না। যদি শিক্ষা চাই, তাহলে বেত বিসর্জন দিতে হবে।
এ ধরনের বর্বর শাস্তি নিষিদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হবে কি? এ প্রশ্ন ওঠে, কারণ এর আগে ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও এ রকম পরিপত্র জারি করেছিল। ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে একই কথা বলা হয়েছে। হাইকোর্টের একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশও রয়েছে। কিন্তু কে মানছে? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি দরকার।
কোচিংয়ের সময় ছাত্রী হেসে ফেলেছিল—এই তার দোষ। সে জন্য তার ওপর নেমে এসেছে এমন অকল্পনীয় বেত্রাঘাত। এটা শুধু অমানবিকই নয়, ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও গণ্য হওয়া উচিত। শিক্ষকের কাজ পাঠদান। তিনি যদি শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে পিটিয়ে আহত করেন, তাহলে সেটা আর পড়ালেখার পরিসীমায় থাকে না।
বিদ্যালয়ে বেত মেরে পড়ালেখা ‘শেখানো’র একটি নির্মম পদ্ধতি আমাদের মতো অনেক দেশেই চলে আসছে। এমনকি একটি ইংরেজি প্রবাদও রয়েছে, ‘স্পেয়ার দ্য রড, স্পয়েল দ্য চাইল্ড’ (বেত না মারলে বাচ্চারা বিপথে যায়)। সে কারণে অনেক অভিভাবকও মনে করেন, বিদ্যালয়ে একটু মারপিট না খেলে শিশুরা মানুষ হয় না। কিন্তু এগুলো পশ্চাত্পদ সমাজের ধ্যানধারণা। সেকেলে এই মনোভাব সভ্য সমাজ গ্রহণ করেনি। শিক্ষা আর বেত একসঙ্গে চলতে পারে না। যদি শিক্ষা চাই, তাহলে বেত বিসর্জন দিতে হবে।
এ ধরনের বর্বর শাস্তি নিষিদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হবে কি? এ প্রশ্ন ওঠে, কারণ এর আগে ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও এ রকম পরিপত্র জারি করেছিল। ১৯৭৪ সালের শিশু আইনে একই কথা বলা হয়েছে। হাইকোর্টের একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশও রয়েছে। কিন্তু কে মানছে? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি দরকার।
No comments