গুলিতে আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তই কাম্য
ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর লাইসেন্স করা পিস্তলের গুলিতে আওয়ামী লীগের কর্মী ইব্রাহিম আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে সংসদ ভবন চত্বরে সাংসদের গাড়িতে থাকা পিস্তল নাড়াচাড়া করার সময়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে গাড়ির চালক কামাল হোসেন থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
অন্যদিকে নিহত ইব্রাহিম আহমেদের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও তিনি কারও নাম বলেননি। মহানগর পুলিশ কমিশনার একে দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনার ধারাবাহিকতায় তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা বা হত্যা—কোনোটিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না।
ঘটনাটি অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বলা হয়েছে, ঘটনার সময় সাংসদ গাড়িতে ছিলেন না। আইন অনুযায়ী লাইসেন্স করা পিস্তল সব সময় তাঁর কাছেই থাকার কথা। তিনি পিস্তলটি গাড়িতে ফেলে গেলেন কেন? আর গাড়িতে পড়ে থাকা পিস্তল নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীই বা নাড়াচাড়া করবেন কেন? তিনি কি পিস্তল চালাতে পারতেন? ঘটনাস্থলে অন্য কেউ কি ছিলেন না? নিহত ইব্রাহিমের ভাইয়ের দাবি, স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের কারণেও তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইব্রাহিম সম্ভাব্য কমিশনার পদপ্রার্থী ছিলেন। সে ক্ষেত্রে কারা তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন? নিছক দুর্ঘটনা হলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যাবে কেন?
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে বৈকি। থানায় গাড়িচালকের মামলা দায়ের নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মামলাটি হওয়ার কথা নিহত ইব্রাহিমের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আগেই মামলা হয়েছে, এই অজুহাতে তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়।
ঘটনার ন্যায়বিচার পাওয়া না-পাওয়া নির্ভর করে সুষ্ঠু তদন্তের ওপর। ঘটনার যিনি শিকার হয়েছেন, তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন সক্রিয় কর্মী এবং সাংসদের ঘনিষ্ঠ। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকা অস্বাভাবিক নয়। বিষয়টিকে মোটেও হালকা করে দেখা ঠিক হবে না। পুলিশ বলেছে, তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত আদৌ চলছে কি না, কিংবা কীভাবে তদন্ত এগোচ্ছে, তা জানার অধিকার নিহত ইব্রাহিমের স্বজন তথা দেশবাসীর আছে। কারা তাঁর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেল, তাও খুঁজে বের করতে হবে।
ইব্রাহিমের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত হতে হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব যাতে তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। অতীতে অনেক ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে। অযথা হয়রানির শিকার হয়েছেন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ। এ ক্ষেত্রে তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
ঘটনাটি অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বলা হয়েছে, ঘটনার সময় সাংসদ গাড়িতে ছিলেন না। আইন অনুযায়ী লাইসেন্স করা পিস্তল সব সময় তাঁর কাছেই থাকার কথা। তিনি পিস্তলটি গাড়িতে ফেলে গেলেন কেন? আর গাড়িতে পড়ে থাকা পিস্তল নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীই বা নাড়াচাড়া করবেন কেন? তিনি কি পিস্তল চালাতে পারতেন? ঘটনাস্থলে অন্য কেউ কি ছিলেন না? নিহত ইব্রাহিমের ভাইয়ের দাবি, স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের কারণেও তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইব্রাহিম সম্ভাব্য কমিশনার পদপ্রার্থী ছিলেন। সে ক্ষেত্রে কারা তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন? নিছক দুর্ঘটনা হলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যাবে কেন?
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে বৈকি। থানায় গাড়িচালকের মামলা দায়ের নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মামলাটি হওয়ার কথা নিহত ইব্রাহিমের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আগেই মামলা হয়েছে, এই অজুহাতে তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়।
ঘটনার ন্যায়বিচার পাওয়া না-পাওয়া নির্ভর করে সুষ্ঠু তদন্তের ওপর। ঘটনার যিনি শিকার হয়েছেন, তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন সক্রিয় কর্মী এবং সাংসদের ঘনিষ্ঠ। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকা অস্বাভাবিক নয়। বিষয়টিকে মোটেও হালকা করে দেখা ঠিক হবে না। পুলিশ বলেছে, তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত আদৌ চলছে কি না, কিংবা কীভাবে তদন্ত এগোচ্ছে, তা জানার অধিকার নিহত ইব্রাহিমের স্বজন তথা দেশবাসীর আছে। কারা তাঁর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেল, তাও খুঁজে বের করতে হবে।
ইব্রাহিমের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত হতে হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব যাতে তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। অতীতে অনেক ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে। অযথা হয়রানির শিকার হয়েছেন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ। এ ক্ষেত্রে তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।
No comments