স্বাস্থ্য-সুস্থ দেহে সুস্থ মন by তৃপ্তি বালা
সুস্থ শরীরেই মানুষ কেবল সঠিক নিয়মে, সঠিক পথে কাজ করে লক্ষ্য মতো ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং দেশের কল্যাণেও ভূমিকা রাখতে পারে স্বাস্থ্য রক্ষার কথা যদি আসে, সর্বপ্রথম মাথার মধ্যে যে বিষয়টা ক্রিয়া করে- তা হলো শরীরটাকে কীভাবে রক্ষা করা যায়।
রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে বাঁচতে, ধরাছোঁয়ার বাইরে উচ্চমূল্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা/বাণিজ্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে কীভাবে স্রষ্টা প্রদত্ত এ শরীরটাকে টিকিয়ে রাখা যায় এবং রোগ প্রতিরোধের উপযোগী রেখে কর্মমুখর জীবনটাকে এগিয়ে নেওয়া যায়। আসলেই আমাদের মতো দারিদ্র্যপীড়িত উচ্চ জনসংখ্যার দেশে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে শরীর রক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়া আর উপায় নেই। সাধারণ শারীরিক পুষ্টি, বেঁচে থাকার নূ্যনতম পুষ্টি উপাদান শরীরে না জুগিয়ে কোনো গত্যন্তর নেই। জীবের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদানই হলো খাদ্য। বেঁচে থাকার প্রধান এ উপাদানটি পূরণে দেশের বিধিব্যবস্থা ঠিক কতখানি যে কার্যকর তা মানুষের চেহারা-চিত্র থেকেই পরিষ্কার হয়ে ওঠে। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সভ্যতা, শিক্ষার বিকাশ-বিবর্তনের ধারায় মানব শরীরের উপযোগী খাদ্যসামগ্রীকে কয়েকটি প্রধান অত্যাবশ্যকীয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যা আমাদের সবার জানা এবং এর প্রত্যেকটিই আলাদা আলাদাভাবে শরীরের জন্য জরুরি। খাদ্য তালিকায় শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সঠিক উপস্থিতি অভ্যন্তরীণ শরীর রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু কার্যকারিতা বজায় রাখে।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উচ্চগতির সময়ে ঠিক এ খাদ্যসামগ্রীর যথাযথ জোগান সাধারণ মানুষের জন্য এককথায় অসম্ভবই হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্নবিত্তের কথা তো বাদই দিতে হয়। নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্তের স্বাস্থ্যরক্ষাও বলতে গেলে ঝুঁকির মুখোমুখি আজ। শ্রমজীবী নিম্নবিত্তের পেট ভরাতে হচ্ছে তো শুধুই ভাতের চাল ফুটিয়ে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মতো আমিষ এবং তেলসমৃদ্ধ খাবারগুলো তাদের জন্য দুরাশা মাত্র। এ অবস্থার উন্নয়ন দরকার। খাদ্য তথা সুষম খাদ্যপ্রাপ্তির বিষয়ে দেশের মানুষজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সার্বিক গণমানুষকে অভুক্ত-অপুষ্ট রেখে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো উন্নয়নই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। শরীর সুস্থ না থাকলে মনও সুস্থ থাকে না। সুস্থ শরীরেই মানুষ কেবল সঠিক নিয়মে, সঠিক পথে কাজ করে লক্ষ্য মতো ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং দেশের কল্যাণেও ভূমিকা রাখতে পারে। নিশ্চিত করেই বলা যায়, দেশের মানুষজন যদি শুধু একটু ভালোমতো খেয়ে-দেয়ে পুষ্টি রক্ষা করে সুস্থ থাকতে পারে, মানসিক রোগ-বালাই থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, খুন-খারাবি, হত্যা-ধর্ষণ, মাদক সেবন, এমনকি আইন-আদালত_ সবকিছুর ওপরই সরকারের চাপ সার্বিকভাবে কমে আসবে।
ডা. তৃপ্তি বালা :গল্পকার
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উচ্চগতির সময়ে ঠিক এ খাদ্যসামগ্রীর যথাযথ জোগান সাধারণ মানুষের জন্য এককথায় অসম্ভবই হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্নবিত্তের কথা তো বাদই দিতে হয়। নিম্নমধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্তের স্বাস্থ্যরক্ষাও বলতে গেলে ঝুঁকির মুখোমুখি আজ। শ্রমজীবী নিম্নবিত্তের পেট ভরাতে হচ্ছে তো শুধুই ভাতের চাল ফুটিয়ে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মতো আমিষ এবং তেলসমৃদ্ধ খাবারগুলো তাদের জন্য দুরাশা মাত্র। এ অবস্থার উন্নয়ন দরকার। খাদ্য তথা সুষম খাদ্যপ্রাপ্তির বিষয়ে দেশের মানুষজনকে সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সার্বিক গণমানুষকে অভুক্ত-অপুষ্ট রেখে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো উন্নয়নই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। শরীর সুস্থ না থাকলে মনও সুস্থ থাকে না। সুস্থ শরীরেই মানুষ কেবল সঠিক নিয়মে, সঠিক পথে কাজ করে লক্ষ্য মতো ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং দেশের কল্যাণেও ভূমিকা রাখতে পারে। নিশ্চিত করেই বলা যায়, দেশের মানুষজন যদি শুধু একটু ভালোমতো খেয়ে-দেয়ে পুষ্টি রক্ষা করে সুস্থ থাকতে পারে, মানসিক রোগ-বালাই থেকে শুরু করে চুরি, ডাকাতি, খুন-খারাবি, হত্যা-ধর্ষণ, মাদক সেবন, এমনকি আইন-আদালত_ সবকিছুর ওপরই সরকারের চাপ সার্বিকভাবে কমে আসবে।
ডা. তৃপ্তি বালা :গল্পকার
No comments