দায়ী কারা কর্মকর্তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে-কারাগার থেকে চাঁদাবাজি
সব সম্ভবের বাংলাদেশে কিছুই যে অসম্ভব নয়, কারাগারে বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বাইরের দুনিয়ায় যা করা সম্ভব, কারাগারে তা সম্ভব নয়। সেখানে অবস্থানরত সব (দণ্ডিত বা বিচারাধীন) বন্দীকে কারা আইন মেনে চলতে হয়।
কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো বন্দী বাইরের কারও সঙ্গে দেখা বা যোগাযোগ করতে পারেন না। কিন্তু কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ বিরাজ করছে, তা নৈরাজ্যজনক। সেখানে কেউ আইনকানুন মানছেন না। বাইরে থেকে অবাধে কারাগারে মাদকদ্রব্য চালান হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে কারাবন্দীরা ইচ্ছামতো মুঠোফোনে কথা বলছেন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-সহযোগীদের সঙ্গে, বিশেষ করে মুঠোফোনের মাধ্যমে কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির খবরটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাবিবুর রহমান ওরফে তাজ নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী এক মাসে তিন হাজার মিনিট কথা বলেছেন। কারাগারে বসেই তিনি সহযোগীদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছেন। গোয়েন্দা সূত্রে বিষয়টি ধরা পড়লেও কারা কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কীভাবে নেবে, যেখানে শর্ষের ভেতরেই ভূত রয়েছে। এসব মুঠোফোন বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে এক শ্রেণীর কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায়। অনেক সময় আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময়ও বন্দীরা খবর আদান-প্রদান করে থাকেন।
এসব দেখার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। কারাগার থেকে মুঠোফোনে কথা বলা, খুদে বার্তা পাঠানো বা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চিহ্নিত করা এখন কোনো কঠিন কাজ নয়। ফলে এটা স্পষ্ট যে কারা কর্তৃপক্ষ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অংশের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এর সঙ্গে লেনদেনের সম্পর্কটিও পরিষ্কার। এ অবস্থায় আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে বন্দীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় কোনো আইন বা প্রযুক্তি কাজে আসবে না।
একজন অপরাধীকে কারাগারে আটক রাখা হয়, যাতে তিনি আর অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাতে না পারেন। সেটি যদি বন্ধই করা না যায়, তাহলে তাঁকে কারাগারে রাখার কি যুক্তি আছে? আশা করি কারাগারে বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীর কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে এবং কারাগারে মুঠোফোনের ব্যবহারসহ সব অপরাধ তৎপরতা বন্ধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাবিবুর রহমান ওরফে তাজ নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী এক মাসে তিন হাজার মিনিট কথা বলেছেন। কারাগারে বসেই তিনি সহযোগীদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছেন। গোয়েন্দা সূত্রে বিষয়টি ধরা পড়লেও কারা কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কীভাবে নেবে, যেখানে শর্ষের ভেতরেই ভূত রয়েছে। এসব মুঠোফোন বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে এক শ্রেণীর কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায়। অনেক সময় আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময়ও বন্দীরা খবর আদান-প্রদান করে থাকেন।
এসব দেখার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। কারাগার থেকে মুঠোফোনে কথা বলা, খুদে বার্তা পাঠানো বা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চিহ্নিত করা এখন কোনো কঠিন কাজ নয়। ফলে এটা স্পষ্ট যে কারা কর্তৃপক্ষ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অংশের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এর সঙ্গে লেনদেনের সম্পর্কটিও পরিষ্কার। এ অবস্থায় আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে বন্দীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় কোনো আইন বা প্রযুক্তি কাজে আসবে না।
একজন অপরাধীকে কারাগারে আটক রাখা হয়, যাতে তিনি আর অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাতে না পারেন। সেটি যদি বন্ধই করা না যায়, তাহলে তাঁকে কারাগারে রাখার কি যুক্তি আছে? আশা করি কারাগারে বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীর কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে এবং কারাগারে মুঠোফোনের ব্যবহারসহ সব অপরাধ তৎপরতা বন্ধে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
No comments