দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-এডিপি বাস্তবায়নের নিম্নহার
সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য যে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদিত হয়েছে, তা দেশবাসীকে কতটা আশ্বস্ত করবে, সে ব্যাপারে সংশয় আছে।
যত বড় অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন, বাস্তবায়িত না হলে লাভ কী? বর্তমান অর্থমন্ত্রী প্রথম বছর থেকেই এডিপি বাস্তবায়নে আশার বাণী শোনালেও বাস্তবে তা রূপায়িত করতে পারেননি। কিন্তু অর্থবছরের শেষে দেখা গেল, এর বড় অংশই অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরে এডিপির ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন না উঠে পারে না।
গতকাল প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৫৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতিমধ্যে খরচ করা হয়েছে ২২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বাকি ১৮ হাজার ২৯০ কোটি টাকা দুই মাসে খরচ করা সম্ভব নয়। মে ও জুন মাসে বাকি ৪৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
প্রতিবারই দেখা যায়, অর্থবছরের শুরুতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোটেই মাথা ঘামান না। অর্থছাড়েও কয়েক মাস লেগে যায়। ফলে বছরের শেষ দিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে তাড়াহুড়া চলে। এর পেছনে যে অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করে তা হলো, যেনতেন প্রকারে প্রকল্পটি শেষ করা। এভাবে তাড়াহুড়া করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে যেমন কাজের মান ঠিক থাকে না, তেমনি খরচও বাড়ে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যাঁরা গাফিলতি করেন, তাঁদের কখনো জবাবদিহি করতে হয় না। এই জবাবদিহিহীনতাই যে উন্নয়নের প্রধান বাধা, সে কথাটি নীতিনির্ধারকেরা স্বীকার করতে চান না। ফলে প্রতিবছরই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? অর্থমন্ত্রী অর্থবছরের মাঝামাঝি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ উন্নতি হয়নি। চলতি অর্থবছরের এডিপি কাটছাঁট করার পরও ১০ মাসে ৪৫ শতাংশ অবাস্তবায়িত থেকে গেছে।
দুর্ভাগ্যজনক যে, চলতি অর্থবছরে যেসব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি ছিল, সেগুলোই বেশি পিছিয়ে পড়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক বিভাগ, রেলওয়ে বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে গত ১০ মাসে বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশের কম। যেখানে সারা দেশের সড়কব্যবস্থা বেহাল, সেখানে এই বিভাগের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ার কী কারণ থাকতে পারে? সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দের ঘাটতির কথা বললেও অর্থমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়েছেন। অতএব, গলদটা কোথায়, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। রেলওয়ে বিভাগ মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করা হলেও কালো বিড়াল ধরা যায়নি। যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। কারও গাফিলতির জন্য যদি কাজে বিলম্ব হয়, তাহলে তার শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের অর্থ নিয়ে নয়ছয় চলতে পারে না।
গতকাল প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৫৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতিমধ্যে খরচ করা হয়েছে ২২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বাকি ১৮ হাজার ২৯০ কোটি টাকা দুই মাসে খরচ করা সম্ভব নয়। মে ও জুন মাসে বাকি ৪৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
প্রতিবারই দেখা যায়, অর্থবছরের শুরুতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোটেই মাথা ঘামান না। অর্থছাড়েও কয়েক মাস লেগে যায়। ফলে বছরের শেষ দিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে তাড়াহুড়া চলে। এর পেছনে যে অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করে তা হলো, যেনতেন প্রকারে প্রকল্পটি শেষ করা। এভাবে তাড়াহুড়া করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে যেমন কাজের মান ঠিক থাকে না, তেমনি খরচও বাড়ে। প্রকল্প বাস্তবায়নে যাঁরা গাফিলতি করেন, তাঁদের কখনো জবাবদিহি করতে হয় না। এই জবাবদিহিহীনতাই যে উন্নয়নের প্রধান বাধা, সে কথাটি নীতিনির্ধারকেরা স্বীকার করতে চান না। ফলে প্রতিবছরই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? অর্থমন্ত্রী অর্থবছরের মাঝামাঝি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ উন্নতি হয়নি। চলতি অর্থবছরের এডিপি কাটছাঁট করার পরও ১০ মাসে ৪৫ শতাংশ অবাস্তবায়িত থেকে গেছে।
দুর্ভাগ্যজনক যে, চলতি অর্থবছরে যেসব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি ছিল, সেগুলোই বেশি পিছিয়ে পড়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক বিভাগ, রেলওয়ে বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে গত ১০ মাসে বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশের কম। যেখানে সারা দেশের সড়কব্যবস্থা বেহাল, সেখানে এই বিভাগের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ার কী কারণ থাকতে পারে? সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দের ঘাটতির কথা বললেও অর্থমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়েছেন। অতএব, গলদটা কোথায়, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। রেলওয়ে বিভাগ মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করা হলেও কালো বিড়াল ধরা যায়নি। যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। কারও গাফিলতির জন্য যদি কাজে বিলম্ব হয়, তাহলে তার শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের অর্থ নিয়ে নয়ছয় চলতে পারে না।
No comments