অভিমত ড. অনুপম সেন, সমাজবিজ্ঞানী-নারীরা আর অত্যাচার সহ্য করছে না বলে বিচ্ছেদ বাড়ছে
সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেছেন, দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগোতে থাকলে সমাজজীবনে নাগরিকায়ণ একটা বৃহত্তর ভূমিকা নেয়। তখন গ্রামীণ সমাজে শান্ত ও সুস্থ জীবনধারা নানাভাবে বিঘ্নিত হতে থাকে। নাগরিক জীবন যত বিঘ্নিত হয়, বিবাহবিচ্ছেদ তত বাড়তে থাকে। চট্টগ্রামে বিবাহবিচ্ছেদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুপম সেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে নাগরিকায়ণ অনেক এগিয়ে গেছে। মেয়েরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে, কিন্তু সমাজে পুরুষদের কাছে নারীর ভূমিকা কী হবে, সে সম্পর্কে এখনো পুরোনো ধারণা রয়ে গেছে। যার সঙ্গে কর্মজীবী নারীরা অনেক সময় নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারেন না। এসব কারণে নাগরিক জীবনে আমাদের দেশে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রশ্নও জড়িত। আদর্শগতভাবে নারীরা বিশেষ করে শিক্ষিত নারীরা পুরুষদের আধিপত্য ও অত্যাচার ইত্যাদি আর সহ্য করছেন না। বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ার এটাও একটা বড় কারণ।’
অনুপম সেন আরও বলেন, চট্টগ্রামে একটি বড় ইপিজেড রয়েছে, যেখানে লক্ষাধিক নারী কাজ করছেন। এসব নারীর বেশির ভাগ গ্রামীণ পটভূমি থেকে উঠে আসা। এঁদেরও অনেকটা আর্থিক ক্ষমতায়ন ঘটেছে। এঁরা সব ধরনের অত্যাচার মেনে নিতে রাজি নন। এসব কারণে চট্টগ্রামেও বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে।
অনুপম সেন আরও বলেন, চট্টগ্রামে একটি বড় ইপিজেড রয়েছে, যেখানে লক্ষাধিক নারী কাজ করছেন। এসব নারীর বেশির ভাগ গ্রামীণ পটভূমি থেকে উঠে আসা। এঁদেরও অনেকটা আর্থিক ক্ষমতায়ন ঘটেছে। এঁরা সব ধরনের অত্যাচার মেনে নিতে রাজি নন। এসব কারণে চট্টগ্রামেও বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে।
No comments