আইন আছে, চাই নজরদারি ও শাস্তির ব্যবস্থা-বিপজ্জনক চিকিৎসা-বর্জ্য
ঢাকায় চিকিৎসা-বর্জ্যের দূষণ হচ্ছে বিপজ্জনক মাত্রায়। দেড় হাজার হাসপাতালে প্রতিদিন ৫০ টন ক্ষতিকর বর্জ্য তৈরি হয়। সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রের এই উদ্বেগজনক হালচালের সংবাদ গত শুক্রবারের প্রথম আলো মারফত জানা গেল।
বছরের পর বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। নেই ব্যবস্থা, নেই প্রতিকার, নেই শাস্তি।
চিকিৎসা-বর্জ্য রোগজীবাণু ও ভাইরাসের উৎস। অথচ অন্য সব বর্জ্যের মতো এগুলো ফেলা হয় সাধারণ ডাস্টবিনে, যদিও এ বিষয়ে সরকারিভাবে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। গুটিকতক হাসপাতাল-ক্লিনিক ছাড়া বাকিগুলোর নেই পরিবেশ ছাড়পত্র, নেই সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বজায় থাকছে একমাত্র নজরদারির অভাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাহলে কী করছে? তাদের সাম্প্রতিক তৎপরতা হলো হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে নোটিশ পাঠানো। এমনকি এ বিষয়ে নতুন নীতিমালায় শাস্তির দায়দায়িত্বও চিহ্নিত হয়নি। দায় কারও থেকে কম নয়; তারই প্রমাণ মেলে এই তথ্যে যে, ঢাকায় যেখানে সরকারিভাবে নিবন্ধিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র এক হাজার ২০০, সেখানে নোটিশ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০৩টি প্রতিষ্ঠানকে।
স্বাস্থ্য বিভাগকে আগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিয়ম মানার ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে শাস্তির বিধান প্রয়োগ করতে হবে। তার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করতে হবে কিংবা বিদ্যমান ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের এ দায়িত্ব দিতে হবে।
বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়ের কেন্দ্রগুলো সেবার জন্য উচ্চমূল্য নিয়ে থাকে, সেহেতু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে খরচ করতে তাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বলা বাহুল্য, ঢাকারই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ঢাকার বাইরের বড় বড় শহরের অবস্থা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করা। তিনি ও তাঁর অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই জরুরি কাজে কতটা যত্নশীল হন, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
চিকিৎসা-বর্জ্য রোগজীবাণু ও ভাইরাসের উৎস। অথচ অন্য সব বর্জ্যের মতো এগুলো ফেলা হয় সাধারণ ডাস্টবিনে, যদিও এ বিষয়ে সরকারিভাবে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। গুটিকতক হাসপাতাল-ক্লিনিক ছাড়া বাকিগুলোর নেই পরিবেশ ছাড়পত্র, নেই সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বজায় থাকছে একমাত্র নজরদারির অভাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাহলে কী করছে? তাদের সাম্প্রতিক তৎপরতা হলো হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে নোটিশ পাঠানো। এমনকি এ বিষয়ে নতুন নীতিমালায় শাস্তির দায়দায়িত্বও চিহ্নিত হয়নি। দায় কারও থেকে কম নয়; তারই প্রমাণ মেলে এই তথ্যে যে, ঢাকায় যেখানে সরকারিভাবে নিবন্ধিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র এক হাজার ২০০, সেখানে নোটিশ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০৩টি প্রতিষ্ঠানকে।
স্বাস্থ্য বিভাগকে আগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিয়ম মানার ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে শাস্তির বিধান প্রয়োগ করতে হবে। তার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করতে হবে কিংবা বিদ্যমান ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের এ দায়িত্ব দিতে হবে।
বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়ের কেন্দ্রগুলো সেবার জন্য উচ্চমূল্য নিয়ে থাকে, সেহেতু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে খরচ করতে তাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বলা বাহুল্য, ঢাকারই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ঢাকার বাইরের বড় বড় শহরের অবস্থা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করা। তিনি ও তাঁর অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই জরুরি কাজে কতটা যত্নশীল হন, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
No comments