হিটলার নিহত
‘হিটলারের মৃত্যু’, এটি নিঃসন্দেহে শতাব্দীর সেরা সংবাদ। হিটলারের মৃত্যুতে কীভাবে সংবাদটি পরিবেশিত হবে, কী হবে তার হেডলাইন? ১৯৪১ সালের আগস্ট মাসে ক্লিক নামের এক ব্রিটিশ ম্যাগাজিন বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত কয়েকটি সংবাদপত্রের সম্পাদককে প্রশ্নগুলো করেছিল।
এ তালিকায় ছিল ফিলাডেলফিয়া এনকোয়ার, দি নিউইয়র্ক টাইমস, পিএম নিউইয়র্ক ডেইলি, ডেইলি এক্সপ্রেস।
হিটলার নিহত। ইংলিশ চ্যানেলের ওপর ব্রিটিশ বৈমানিকের গুলিতে হিটলারকে বহনকারী বিমান ভূপাতিত—এই ছিল ফিলাডেলফিয়া এনকোয়ারের হেডলাইন। হিটলার নিহত হয়েছেন, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে লন্ডনে। ২১ বছর বয়সী হ্যারিকেন জেট ফাইটার প্লেনের বৈমানিকের গুলিতে ফুয়েরারকে বহনকারী জার্মান বিমানটি ভূপাতিত হয় ইংলিশ চ্যানেলের ওপর। ধারণা করা হচ্ছে, জার্মান নেতা দ্বীপরাষ্ট্র ইংল্যান্ড আক্রমণের অগ্রগতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করার অনির্ধারিত অভিযানে ছিলেন।
ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ভূপাতিত জার্মান বিমান মেজারখিমটের সাগরে ডুবে যাওয়ার আগে ধ্বংসাবশেষ থেকে হিটলার ও বিমানের পাইলটের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সূত্রমতে, মৃতদেহের একটি হিটলারের বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ডয়েচ নিউজ ব্যুরো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে: ‘হেয়ার হিটলার এক নির্ধারিত সফরে বিমানে চেপেছেন আজ বিকেলে...।’
নিউইয়র্ক টাইমস
সম্পাদক: ই. জেড ডিমিটমান।
বিশ্বে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে, যে ঘটনা সমান গুরুত্ব্বে ছাপা হয় বিশ্বের সব দৈনিকে। এ শতাব্দীর তেমনি একটি বহুল কাঙ্ক্ষিত সংবাদ হিটলারের মৃত্যুর খবর।
এটি শতাব্দীর সেরা সংবাদ এ বিষয়ে কারোরই দ্বিমত নেই। যেকোনো শতাব্দীতে একজন সম্পাদকের ভাগ্যে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের সৌভাগ্য সাকল্যে হয়তো একবার-দুবারই ঘটে। আর এ রকম সংবাদ পরিবেশনে মার্কিন মুলুকের পত্রিকাগুলোর মধ্যে খুব একটা হেরফের হবে না। নিঃসন্দেহে সব পত্রিকায়ই ব্যানার হেডিং হবে বড় বোল্ড টাইপে।
পিএম নিউইয়র্ক ডেইলি
সম্পাদক: রালফ ইনগারসল।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে হিটলারের ব্যক্তিত্বের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর বীজ রোপিত আছে। এই কথার ভিত্তি হলো হিটলারের অস্বাভাবিক মানসিকতা, তাঁর আচার-আচরণে এটা খুবই স্পষ্ট। তাঁর নিজস্ব প্রবণতা হচ্ছে নিজেকে বঞ্চিত ভাবা। তাই একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী যেমন শেষ পরিণতি হিসেবে বেছে নেয় আত্মহত্যা, হিটলারের ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটতে পারে।
এই ভবিষ্যৎবাণীর সেরা বাজিটি হচ্ছে ভয়াবহ নাৎসি আগ্রাসন, তাঁকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে নাৎসি সাম্রাজর বিস্তারের। কিন্তু ব্যর্থতা তাঁকে পর্যুদস্ত করে ফেলতে পারে। তখন তিনি যদি তাঁর নিজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান, হিটলার সোজা ব্রেখটসগাডেনের খাড়া পাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়বেন নিচে। চোখের পলকে শেষ হয়ে যাবে সব।
‘এক্সপ্রেস’
সম্পাদক: সি ভি আর টমসন (নিউইয়র্ক সম্পাদক)
হিটলারের কল্পিত মৃত্যুর সংবাদ লন্ডন ডেইলি এক্সপ্রেসে কীভাবে পরিবেশিত হবে, এই প্রশ্ন পাওয়া মাত্র আমি তার বার্তা পাঠাই লন্ডনে আমার সম্পাদক আর্থার ক্রিস্টিয়ানসেনকে। দুই ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব হস্তগত হয় আমার: ‘আমার এক নম্বর পরামর্শ, গোয়েরিঙের গুলিতে হিটলার নিহত (হেডলাইন)। অপেরা বক্সে হিটলারকে হত্যার পর নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালান গোয়েরিং।’ দেখুন প্রথম পৃষ্ঠা, ডেইলি এক্সপ্রেস কীভাবে হিটলারের মৃত্যুর খবর পরিবেশন করেছে, ছোট টাইপ কিন্তু বাস্তবতা হলো ইংল্যান্ডে ব্যবহূত এটাই সবচেয় বড় টাইপ। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠা দেখুন: টাইম স্কয়ারের বিশালস্ক্রিনে হিটলারের ছবি, নিচে শুধু লেখা ডেড—মৃত।
ইমরুল কায়েস
হিটলার নিহত। ইংলিশ চ্যানেলের ওপর ব্রিটিশ বৈমানিকের গুলিতে হিটলারকে বহনকারী বিমান ভূপাতিত—এই ছিল ফিলাডেলফিয়া এনকোয়ারের হেডলাইন। হিটলার নিহত হয়েছেন, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে লন্ডনে। ২১ বছর বয়সী হ্যারিকেন জেট ফাইটার প্লেনের বৈমানিকের গুলিতে ফুয়েরারকে বহনকারী জার্মান বিমানটি ভূপাতিত হয় ইংলিশ চ্যানেলের ওপর। ধারণা করা হচ্ছে, জার্মান নেতা দ্বীপরাষ্ট্র ইংল্যান্ড আক্রমণের অগ্রগতি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করার অনির্ধারিত অভিযানে ছিলেন।
ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ভূপাতিত জার্মান বিমান মেজারখিমটের সাগরে ডুবে যাওয়ার আগে ধ্বংসাবশেষ থেকে হিটলার ও বিমানের পাইলটের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সূত্রমতে, মৃতদেহের একটি হিটলারের বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ডয়েচ নিউজ ব্যুরো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে: ‘হেয়ার হিটলার এক নির্ধারিত সফরে বিমানে চেপেছেন আজ বিকেলে...।’
নিউইয়র্ক টাইমস
সম্পাদক: ই. জেড ডিমিটমান।
বিশ্বে এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে, যে ঘটনা সমান গুরুত্ব্বে ছাপা হয় বিশ্বের সব দৈনিকে। এ শতাব্দীর তেমনি একটি বহুল কাঙ্ক্ষিত সংবাদ হিটলারের মৃত্যুর খবর।
এটি শতাব্দীর সেরা সংবাদ এ বিষয়ে কারোরই দ্বিমত নেই। যেকোনো শতাব্দীতে একজন সম্পাদকের ভাগ্যে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের সৌভাগ্য সাকল্যে হয়তো একবার-দুবারই ঘটে। আর এ রকম সংবাদ পরিবেশনে মার্কিন মুলুকের পত্রিকাগুলোর মধ্যে খুব একটা হেরফের হবে না। নিঃসন্দেহে সব পত্রিকায়ই ব্যানার হেডিং হবে বড় বোল্ড টাইপে।
পিএম নিউইয়র্ক ডেইলি
সম্পাদক: রালফ ইনগারসল।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে হিটলারের ব্যক্তিত্বের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর বীজ রোপিত আছে। এই কথার ভিত্তি হলো হিটলারের অস্বাভাবিক মানসিকতা, তাঁর আচার-আচরণে এটা খুবই স্পষ্ট। তাঁর নিজস্ব প্রবণতা হচ্ছে নিজেকে বঞ্চিত ভাবা। তাই একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী যেমন শেষ পরিণতি হিসেবে বেছে নেয় আত্মহত্যা, হিটলারের ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটতে পারে।
এই ভবিষ্যৎবাণীর সেরা বাজিটি হচ্ছে ভয়াবহ নাৎসি আগ্রাসন, তাঁকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে নাৎসি সাম্রাজর বিস্তারের। কিন্তু ব্যর্থতা তাঁকে পর্যুদস্ত করে ফেলতে পারে। তখন তিনি যদি তাঁর নিজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান, হিটলার সোজা ব্রেখটসগাডেনের খাড়া পাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়বেন নিচে। চোখের পলকে শেষ হয়ে যাবে সব।
‘এক্সপ্রেস’
সম্পাদক: সি ভি আর টমসন (নিউইয়র্ক সম্পাদক)
হিটলারের কল্পিত মৃত্যুর সংবাদ লন্ডন ডেইলি এক্সপ্রেসে কীভাবে পরিবেশিত হবে, এই প্রশ্ন পাওয়া মাত্র আমি তার বার্তা পাঠাই লন্ডনে আমার সম্পাদক আর্থার ক্রিস্টিয়ানসেনকে। দুই ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব হস্তগত হয় আমার: ‘আমার এক নম্বর পরামর্শ, গোয়েরিঙের গুলিতে হিটলার নিহত (হেডলাইন)। অপেরা বক্সে হিটলারকে হত্যার পর নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি চালান গোয়েরিং।’ দেখুন প্রথম পৃষ্ঠা, ডেইলি এক্সপ্রেস কীভাবে হিটলারের মৃত্যুর খবর পরিবেশন করেছে, ছোট টাইপ কিন্তু বাস্তবতা হলো ইংল্যান্ডে ব্যবহূত এটাই সবচেয় বড় টাইপ। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠা দেখুন: টাইম স্কয়ারের বিশালস্ক্রিনে হিটলারের ছবি, নিচে শুধু লেখা ডেড—মৃত।
ইমরুল কায়েস
No comments