পবিত্র কোরআনের আলো-অবাধ্য মানুষরা যুগে যুগে সত্যকে গ্রহণ করতে দ্বিধা করেছে, এর পরও জয় হয়েছে সত্যেরই
৭৩. ফাকায্যাবুহু ফানাজ্জাইনাহু ওয়া মাম্ মা-আহু ফিল ফুলকি ওয়া জাআ'লনাহুম খালা-য়িফা ওয়া আগ্রাক্ব্না ল্লাযিনা কায্যাবু বি-আইয়াতিনা; ফান্যুর কাইফা কা-না আ'কি্ববাতুল মুন্যারিন। ৭৪. ছুম্মা বা-আছ্না মিম্ বা'দিহি রুছুলান ইলা- ক্বাওমিহিম ফাজা-উহুম বিল বায়্যিনাতি ফামা কানু লিইউমিনু বিমা কায্যাবু বিহি মিন্ক্বাবল্; কাযা-লিকা নাত্ববাউ আ'লা- ক্বুলুবিল মুতাদিন।
৭৫. ছুম্মা বাআ-ছ্না- মিম্ বা'দিহিম্ মুছা- ওয়া হা-রুনা ইলা ফিরআউনা ওয়া মালা-য়িহী বিআ-ইয়া-তিনা ফাছ্তাক্বারু ওয়াকা-নূ ক্বাওমাম্ মুজরিমীন।
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৭৩-৭৫]
অনুবাদ : ৭৩. এর পরও নুহের কওমের লোকরা তাঁকে মিথ্যাবাদীই বলল, এরপর আমি তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা নৌকায় সওয়ার হয়েছিলেন তাঁদের রক্ষা করলাম। আমি তাঁদের সভ্যতার স্থলাভিষিক্ত করলাম এবং যাঁরা আমার নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তাদের প্লাবনে নিমজ্জিত করলাম। সুতরাং দেখো, যাদের সতর্ক করা হয়েছিল (কিন্তু কর্ণপাত করেনি) তাদের পরিণতি কী হয়েছে।
৭৪. তার পর আমি বিভিন্ন নবীকে তাঁদের স্ব-স্ব জাতির কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারা প্রথমবার যা প্রত্যাখ্যান করেছিল, তা মানতেই প্রস্তুত হলো না। যারা সীমালঙ্ঘন করে, তাদের অন্তরে আমি এভাবেই মোহর মেরে দিই।
৭৫. অতঃপর আমি পরবর্তীকালে মুসা ও হারুনকে ফেরাউন ও তার অমাত্যদের কাছে আমার নিদর্শনাবলিসহ প্রেরণ করি। কিন্তু তারা অহংকার প্রদর্শন করল এবং তারা ছিল অপরাধী সম্প্রদায়।
ব্যাখ্যা : ৭৩ নম্বর আয়াতে নুহ (আ.)-এর প্লাবনের কাহিনী সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। ৭১ নম্বর আয়াতে এই কাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে নবী নুহ ও তাঁর বিভ্রান্ত কওমের মধ্যকার আদর্শিক লড়াইয়ের পটভূমি ও রণকৌশল বর্ণনা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে আল্লাহর শাস্তি এত কঠিন ও প্রবল যে প্রতিপক্ষের কোনো নমনীয়তার প্রশ্ন এখানে অবাস্তব। অর্থাৎ তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাফিরদের তখনো চৈতন্যের উদয় হয়নি। ৭৩ নম্বর আয়াতে হজরত নুহ (আ.) ও তাঁর অবাধ্য কওমের শেষ পরিণতিটা বর্ণনা করা হয়েছে (সুরা হুদে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা আসবে ১১: ২৫-৪৯)।
৭৪ নম্বর আয়াতে মানব ইতিহাসে আরো অন্যান্য জাতির কাছে যে নবীরা এসেছেন, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সব সভ্য জাতির কাছেই কমবেশি নবী এসেছিলেন। কিন্তু অনেকেই তাদের নবীকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহর বাণীকে অস্বীকার করেছে এবং অবাধ্য হয়ে উঠেছে। তাদের এসব অপকর্মের কারণেই আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য দুর্ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা যে সত্যকে অনুধাবন করতে পারবে না এবং সত্যের অনুসারী হতে পারবে না, এটা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাদের কর্মফল হিসেবে।
৭৫ নম্বর আয়াতে নবী মুসা ও হারুন (আ.)-এর প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে। তাঁরা বনি ইসরাইলের নবী ছিলেন। তাঁরা মিসরের ফেরাউন রাজবংশসহ মিসরবাসীকে হেদায়েতের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা মিসর থেকে বিতাড়িত হয়ে গিয়েছিলেন, যদিও ফেরাউন ও তার দলবল আল্লাহর ইচ্ছায় সমুদ্রে ডুবে মরেছিল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৭৩-৭৫]
অনুবাদ : ৭৩. এর পরও নুহের কওমের লোকরা তাঁকে মিথ্যাবাদীই বলল, এরপর আমি তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা নৌকায় সওয়ার হয়েছিলেন তাঁদের রক্ষা করলাম। আমি তাঁদের সভ্যতার স্থলাভিষিক্ত করলাম এবং যাঁরা আমার নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তাদের প্লাবনে নিমজ্জিত করলাম। সুতরাং দেখো, যাদের সতর্ক করা হয়েছিল (কিন্তু কর্ণপাত করেনি) তাদের পরিণতি কী হয়েছে।
৭৪. তার পর আমি বিভিন্ন নবীকে তাঁদের স্ব-স্ব জাতির কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারা প্রথমবার যা প্রত্যাখ্যান করেছিল, তা মানতেই প্রস্তুত হলো না। যারা সীমালঙ্ঘন করে, তাদের অন্তরে আমি এভাবেই মোহর মেরে দিই।
৭৫. অতঃপর আমি পরবর্তীকালে মুসা ও হারুনকে ফেরাউন ও তার অমাত্যদের কাছে আমার নিদর্শনাবলিসহ প্রেরণ করি। কিন্তু তারা অহংকার প্রদর্শন করল এবং তারা ছিল অপরাধী সম্প্রদায়।
ব্যাখ্যা : ৭৩ নম্বর আয়াতে নুহ (আ.)-এর প্লাবনের কাহিনী সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। ৭১ নম্বর আয়াতে এই কাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে নবী নুহ ও তাঁর বিভ্রান্ত কওমের মধ্যকার আদর্শিক লড়াইয়ের পটভূমি ও রণকৌশল বর্ণনা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে আল্লাহর শাস্তি এত কঠিন ও প্রবল যে প্রতিপক্ষের কোনো নমনীয়তার প্রশ্ন এখানে অবাস্তব। অর্থাৎ তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাফিরদের তখনো চৈতন্যের উদয় হয়নি। ৭৩ নম্বর আয়াতে হজরত নুহ (আ.) ও তাঁর অবাধ্য কওমের শেষ পরিণতিটা বর্ণনা করা হয়েছে (সুরা হুদে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা আসবে ১১: ২৫-৪৯)।
৭৪ নম্বর আয়াতে মানব ইতিহাসে আরো অন্যান্য জাতির কাছে যে নবীরা এসেছেন, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সব সভ্য জাতির কাছেই কমবেশি নবী এসেছিলেন। কিন্তু অনেকেই তাদের নবীকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহর বাণীকে অস্বীকার করেছে এবং অবাধ্য হয়ে উঠেছে। তাদের এসব অপকর্মের কারণেই আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য দুর্ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা যে সত্যকে অনুধাবন করতে পারবে না এবং সত্যের অনুসারী হতে পারবে না, এটা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাদের কর্মফল হিসেবে।
৭৫ নম্বর আয়াতে নবী মুসা ও হারুন (আ.)-এর প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে। তাঁরা বনি ইসরাইলের নবী ছিলেন। তাঁরা মিসরের ফেরাউন রাজবংশসহ মিসরবাসীকে হেদায়েতের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা মিসর থেকে বিতাড়িত হয়ে গিয়েছিলেন, যদিও ফেরাউন ও তার দলবল আল্লাহর ইচ্ছায় সমুদ্রে ডুবে মরেছিল।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments