জানা-অজানা-রা নি দে র কা হি নি
দুনিয়াজুড়ে মানুষ তাঁকে চেনে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ‘সম্রাট’ হিসেবে। এক ফাউন্ডেশন সিরিজ দিয়েই অমর হয়ে আছেন। তবে আইজ্যাক অ্যাসিমভ শুধু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ভেতর আটকে ছিলেন না; কৌতুক, চুটকি থেকে শুরু করে ইতিহাসের গল্প পর্যন্ত সংগ্রহ করেছেন।
সে রকম একটি বিখ্যাত সংগ্রহ দ্য বুক অব ফ্যাক্টস। এ বইটিই আমাদের নতুন ধারাবাহিক। অনুবাদ করছেন হাসান খুরশীদ
১৭৮৭ সালে একবার রাশিয়ার প্রদেশগুলো ঘুরে দেখার জন্য রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিন দ্য গ্রেট বের হন। বিভিন্ন অঞ্চলে হাসিখুশি মানুষ ও সমৃদ্ধ গ্রাম দেখতে পেয়ে তিনি ভেবে নিলেন যে তাঁর শাসনামলে দেশের জনগণ সুখ-শান্তিতে আছে। কিন্তু তিনি ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি যে এটা তাঁর একচোখা প্রধানমন্ত্রী গ্রেগরি পটেমকিনের কাজ। রানির যাত্রাপথের দুই পাশে ‘পটেমকিন গ্রাম’ নামে বেশ কিছু সাময়িক গ্রাম তৈরি করেন তিনি। নির্দেশ দেন রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে, ঘরের সামনের অংশটি রং করে রাখতে আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে। তাই সম্রাজ্ঞী কখনোই জানতে পারেননি যে দেশের জনগণ কতটা কষ্টের ভেতর দিন কাটাচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের রানি মেরি যখন ফ্রান্সের ফ্রান্সিস ডুকিসকে বিয়ে করেন, তখন তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাদা গাউন পরেছিলেন। কারণ সাদা তাঁর প্রিয় রং। আজকের দিনে সাদা পোশাক পছন্দ করতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু সে সময় মেরি ঐতিহ্য ভঙ্গ করেছিলেন। সাদা রং ছিল ফ্রান্সের রানিদের শোকের প্রতীক। দুই বছর পর ফ্রান্সিস মারা গেলে বিয়ের সাদা পোশাকই পূর্বাভাস হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, আর সেই সঙ্গে রানির দুঃখজনক পরিণতি হিসেবেও।
ক্যাথরিনের অভিষেক অনুষ্ঠানে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে মস্কো পর্যন্ত যখন শোভাযাত্রা হয়েছিল, তখন রানির পারিষদ ১৪টি বড় ভাগে এবং ২০০টি ছোট ভাগে ভাগ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনই একটি পারিষদ দলের ভাগে ছিল একটা প্রাসাদ। ওটার ভেতর ছিল সেলুন, লাইব্রেরি ও শয়নকক্ষ। ওটার ভেতর আটজন মানুষ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকতে পারত।
ইংল্যান্ডের রানি হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম কাজ ছিল মায়ের ঘর থেকে নিজের বিছানা সরিয়ে আনা।
ইংল্যান্ডের রানিদের মধ্যে একজন রানি ইংল্যান্ডে বসবাস কিংবা সফর কোনোটাই করতে পারেননি। তিনি হলেন বেরেনগারিয়া। বিয়ে করেছিলেন রিচার্ড প্রথম, দ্য লায়ন হার্টেড বা সিংহ হূদয়কে, ১১৯১ সালে।
প্রিন্স কনসর্ট মারা যাওয়ার ৪০ বছর ধরে রানি ভিক্টোরিয়ার একটি নির্দেশ পালন করা হচ্ছিল যে প্রতি সন্ধ্যায় উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রিন্সের বিছানায় তাঁর পোশাক নতুনভাবে রাখতে হবে।
রানি ভিক্টোরিয়ার মাতৃভাষা ইংরেজি ছিল না। তাঁর মা ছিলেন জার্মান ডিউকের মেয়ে, জার্মান ভাষায় সব সময় কথা বলতেন ঘরে। আর ভিক্টোরিয়া—৬৪ বছর ইংল্যান্ড শাসন করেছেন—তিনিও ভালোভাবে ইংরেজি বলতে পারতেন না।
মাত্র ছয় দিন বয়সে মেরি স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের রানি হন। ১৫৪২ সালের ৮ ডিসেম্বর তাঁর জন্মের সময় পিতা পঞ্চম জেমস মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। নয় মাস বয়সে স্টারলিং প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রানি হিসেবে অভিষেক হয় ১৪২২ সালে ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরিও অভিষিক্ত হয়েছিলেন রাজা হিসেবে একই বয়সে।
১৭৬২ সালে রাশিয়ার রানি প্রথম এলিজাবেথ মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর আলমারিতে ১৫ হাজার পোশাক পাওয়া গিয়েছিল। প্রতি সন্ধ্যায় তিনি দুই থেকে তিনবার পোশাক পরিবর্তন করতেন।
১৭৮৭ সালে একবার রাশিয়ার প্রদেশগুলো ঘুরে দেখার জন্য রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিন দ্য গ্রেট বের হন। বিভিন্ন অঞ্চলে হাসিখুশি মানুষ ও সমৃদ্ধ গ্রাম দেখতে পেয়ে তিনি ভেবে নিলেন যে তাঁর শাসনামলে দেশের জনগণ সুখ-শান্তিতে আছে। কিন্তু তিনি ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি যে এটা তাঁর একচোখা প্রধানমন্ত্রী গ্রেগরি পটেমকিনের কাজ। রানির যাত্রাপথের দুই পাশে ‘পটেমকিন গ্রাম’ নামে বেশ কিছু সাময়িক গ্রাম তৈরি করেন তিনি। নির্দেশ দেন রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে, ঘরের সামনের অংশটি রং করে রাখতে আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে। তাই সম্রাজ্ঞী কখনোই জানতে পারেননি যে দেশের জনগণ কতটা কষ্টের ভেতর দিন কাটাচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের রানি মেরি যখন ফ্রান্সের ফ্রান্সিস ডুকিসকে বিয়ে করেন, তখন তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাদা গাউন পরেছিলেন। কারণ সাদা তাঁর প্রিয় রং। আজকের দিনে সাদা পোশাক পছন্দ করতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু সে সময় মেরি ঐতিহ্য ভঙ্গ করেছিলেন। সাদা রং ছিল ফ্রান্সের রানিদের শোকের প্রতীক। দুই বছর পর ফ্রান্সিস মারা গেলে বিয়ের সাদা পোশাকই পূর্বাভাস হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, আর সেই সঙ্গে রানির দুঃখজনক পরিণতি হিসেবেও।
ক্যাথরিনের অভিষেক অনুষ্ঠানে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে মস্কো পর্যন্ত যখন শোভাযাত্রা হয়েছিল, তখন রানির পারিষদ ১৪টি বড় ভাগে এবং ২০০টি ছোট ভাগে ভাগ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনই একটি পারিষদ দলের ভাগে ছিল একটা প্রাসাদ। ওটার ভেতর ছিল সেলুন, লাইব্রেরি ও শয়নকক্ষ। ওটার ভেতর আটজন মানুষ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকতে পারত।
ইংল্যান্ডের রানি হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম কাজ ছিল মায়ের ঘর থেকে নিজের বিছানা সরিয়ে আনা।
ইংল্যান্ডের রানিদের মধ্যে একজন রানি ইংল্যান্ডে বসবাস কিংবা সফর কোনোটাই করতে পারেননি। তিনি হলেন বেরেনগারিয়া। বিয়ে করেছিলেন রিচার্ড প্রথম, দ্য লায়ন হার্টেড বা সিংহ হূদয়কে, ১১৯১ সালে।
প্রিন্স কনসর্ট মারা যাওয়ার ৪০ বছর ধরে রানি ভিক্টোরিয়ার একটি নির্দেশ পালন করা হচ্ছিল যে প্রতি সন্ধ্যায় উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রিন্সের বিছানায় তাঁর পোশাক নতুনভাবে রাখতে হবে।
রানি ভিক্টোরিয়ার মাতৃভাষা ইংরেজি ছিল না। তাঁর মা ছিলেন জার্মান ডিউকের মেয়ে, জার্মান ভাষায় সব সময় কথা বলতেন ঘরে। আর ভিক্টোরিয়া—৬৪ বছর ইংল্যান্ড শাসন করেছেন—তিনিও ভালোভাবে ইংরেজি বলতে পারতেন না।
মাত্র ছয় দিন বয়সে মেরি স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের রানি হন। ১৫৪২ সালের ৮ ডিসেম্বর তাঁর জন্মের সময় পিতা পঞ্চম জেমস মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। নয় মাস বয়সে স্টারলিং প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর রানি হিসেবে অভিষেক হয় ১৪২২ সালে ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরিও অভিষিক্ত হয়েছিলেন রাজা হিসেবে একই বয়সে।
১৭৬২ সালে রাশিয়ার রানি প্রথম এলিজাবেথ মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর আলমারিতে ১৫ হাজার পোশাক পাওয়া গিয়েছিল। প্রতি সন্ধ্যায় তিনি দুই থেকে তিনবার পোশাক পরিবর্তন করতেন।
No comments