চরাচর-হ্রাস পাচ্ছে মাটির পুষ্টি উপাদান by আজিজুর রহমান
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য জোগান দিতে গিয়ে অবিরাম চাষাবাদ হচ্ছে জমিতে। কিন্তু সে অনুপাতে মাটির যত্ন না নেওয়ায় কমে যাচ্ছে মাটির পুষ্টি উপাদান। ফলে কমে যাচ্ছে উর্বরতা। মাটিতে জৈব উপাদানের ঘাটতি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কমতে থাকায় ভবিষ্যতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে চরমভাবে এর কুফল ভোগ করতে হবে_এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ৮৩ লাখ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ হেক্টর জমির পুষ্টিমান খুবই করুণ। এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর, মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা ও গাঙ্গেয় পলল ভূমি অঞ্চলের আবাদি জমির মাটির এখন আর উৎপাদন ক্ষমতা আগের মতো নেই। মাটিতে জৈব উপাদানের ঘাটতি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে অম্লত্ব বেড়ে যাওয়ায়ও বাড়ছে পুষ্টির ঘাটতি। সামগ্রিকভাবে মাটির পুষ্টি উপাদান কমে গেছে। বিশেষ করে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, জিংক, মলিবেডেনাম ও বোরনের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। মাটির এ দুরবস্থার কারণ প্রধানত মাটির জৈব উপাদান ক্ষয়, মাটির ভৌত ও রাসায়নিক অবক্ষয়, পুষ্টিমানের ক্ষয়, সেচের অপর্যাপ্ততা, জলাবদ্ধতা, বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহার, নিবিড় উফশী ফসল চাষ ইত্যাদি। এক কথায়, অপরিকল্পিত কৃষি ব্যবস্থাপনার কারণে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশীলতা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটির এ দুরবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং জমিতে অবিরাম চাষাবাদ। এ কারণেই মাটির কিছু ভৌত গুণ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটির অম্লত্ব (এসিডিটি) বেড়ে গিয়ে পুষ্টি উপাদানে অসমতা দেখা দিচ্ছে। মাটিতে যেখানে জৈব উপাদানের পরিমাণ থাকা প্রয়োজন ৩ থেকে ৫ শতাংশ, সেখানে এখন এর পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ শতাংশ।
কৃষিকাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতি করছে মাটির উর্বরতার। এসব রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘদিন মাটিতে পড়ে থেকে মাটির গুণাবলিতে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এবং মাটির উপকারী জীবাণু বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষিবিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে আমরা জানি, এক কেজি উর্বর মাটিতে সর্বোচ্চ দুই ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া, ৪০০ মিলিয়ন ছত্রাক, ৫০ মিলিয়ন শ্যাওলা, ৩০ মিলিয়ন প্রোটোজোয়াসহ অন্যান্য বড় ও ক্ষুদ্র জীব বাস করে। মাটিতে বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন সংযোজনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনে এগুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এগুলোর মৃত্যু ঘটায়। নিবিড় চাষাবাদ ও দীর্ঘদিন রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে ফসলি জমিতে প্রায় ছয় কোটি টন জৈব সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য পরিবেশসম্মত রেখে ফসলের চাহিদামতো পুষ্টির জোগান দেওয়া প্রয়োজন। মাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রথমেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে জৈব সার ও কীটনাশকের মাধ্যমে চাষাবাদ বাড়াতে হবে। মাটি যদি উর্বরতা শক্তি হারায়, তাহলে কৃষি উৎপাদনে জোগান দেওয়া তার পক্ষে দুরূহ এবং এ জন্য সার্বিক ক্ষতি হবে আমাদেরই।
দেশের ৮৩ লাখ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ হেক্টর জমির পুষ্টিমান খুবই করুণ। এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর, মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা ও গাঙ্গেয় পলল ভূমি অঞ্চলের আবাদি জমির মাটির এখন আর উৎপাদন ক্ষমতা আগের মতো নেই। মাটিতে জৈব উপাদানের ঘাটতি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে অম্লত্ব বেড়ে যাওয়ায়ও বাড়ছে পুষ্টির ঘাটতি। সামগ্রিকভাবে মাটির পুষ্টি উপাদান কমে গেছে। বিশেষ করে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, জিংক, মলিবেডেনাম ও বোরনের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। মাটির এ দুরবস্থার কারণ প্রধানত মাটির জৈব উপাদান ক্ষয়, মাটির ভৌত ও রাসায়নিক অবক্ষয়, পুষ্টিমানের ক্ষয়, সেচের অপর্যাপ্ততা, জলাবদ্ধতা, বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহার, নিবিড় উফশী ফসল চাষ ইত্যাদি। এক কথায়, অপরিকল্পিত কৃষি ব্যবস্থাপনার কারণে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশীলতা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটির এ দুরবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং জমিতে অবিরাম চাষাবাদ। এ কারণেই মাটির কিছু ভৌত গুণ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটির অম্লত্ব (এসিডিটি) বেড়ে গিয়ে পুষ্টি উপাদানে অসমতা দেখা দিচ্ছে। মাটিতে যেখানে জৈব উপাদানের পরিমাণ থাকা প্রয়োজন ৩ থেকে ৫ শতাংশ, সেখানে এখন এর পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ শতাংশ।
কৃষিকাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতি করছে মাটির উর্বরতার। এসব রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘদিন মাটিতে পড়ে থেকে মাটির গুণাবলিতে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এবং মাটির উপকারী জীবাণু বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষিবিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে আমরা জানি, এক কেজি উর্বর মাটিতে সর্বোচ্চ দুই ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া, ৪০০ মিলিয়ন ছত্রাক, ৫০ মিলিয়ন শ্যাওলা, ৩০ মিলিয়ন প্রোটোজোয়াসহ অন্যান্য বড় ও ক্ষুদ্র জীব বাস করে। মাটিতে বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন সংযোজনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনে এগুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এগুলোর মৃত্যু ঘটায়। নিবিড় চাষাবাদ ও দীর্ঘদিন রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে ফসলি জমিতে প্রায় ছয় কোটি টন জৈব সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য পরিবেশসম্মত রেখে ফসলের চাহিদামতো পুষ্টির জোগান দেওয়া প্রয়োজন। মাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রথমেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে জৈব সার ও কীটনাশকের মাধ্যমে চাষাবাদ বাড়াতে হবে। মাটি যদি উর্বরতা শক্তি হারায়, তাহলে কৃষি উৎপাদনে জোগান দেওয়া তার পক্ষে দুরূহ এবং এ জন্য সার্বিক ক্ষতি হবে আমাদেরই।
No comments