এভারেস্টে বাংলাদেশি নারীবেসক্যাম্প থেকে নিশাত-দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি by তৌহিদা শিরোপা

‘এভারেস্ট চূড়ায় ওঠার পর থেকেই ব্যাকুল হয়ে আছি দেশে ফেরার জন্য। সবাইকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।’
গতকাল বুধবার বেসক্যাম্প থেকে টেলিফোনে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম এই নারী। ১৯ মে এভারেস্ট জয়ের পর গত মঙ্গলবার বেসক্যাম্পে নেমে এসেছেন বাংলাদেশের এই পর্বতারোহী।


আজ বৃহস্পতিবারও তিনি থাকবেন বেসক্যাম্পে। আগামীকাল শুক্রবার কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হবেন।
বাংলাদেশের এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম নারীকে অভিনন্দন জানিয়েছে নেপাল মাউন্টেরিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক দেবাস বিক্রম শাহ বলেন, ‘১৯ মে এভারেস্টের চূড়ায় আবহাওয়া ভালো ছিল না। ওই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বাংলাদেশের প্রথম নারী নিশাত মজুমদার এভারেস্ট জয় করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁকে ও তাঁর দলের সবাইকে অভিনন্দন।’ নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ কর্মকতা জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠও নিশাত মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
টেলিফোনে গতকাল এই প্রতিবেদককে নিশাত বলেন, এভারেস্টের বেসক্যাম্পে অলস সময় কাটছে তাঁর। জিনিসপত্র গোছানো, খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম। দুইবারের এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিতের অবস্থাও একই রকম।
এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের পর শরীর দুর্বল, আগেই জানিয়েছিলেন নিশাত মজুমদার। বললেন, ‘শরীরে যেন অবসাদ ভর করেছে। আসলে এভারেস্টে সামিট করার পর শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না হওয়ার কারণে এখনো দুর্বলতা কাটছে না।’
নিশাতের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল এম এ মুহিত তখন গান শুনছিলেন। কথা হয় তাঁর সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘গান শুনছি। বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া ছাড়া তেমন কোনো কাজ নেই। সব গোছানো শেষ হলে বেসক্যাম্প থেকে আশা করছি ২৫ মে রওনা দেব আমরা।’
গতকালের নেপালের ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট-এ একটি খবরে চোখ আটকে গেল। খবরের শিরোনাম ‘এভারেস্ট: ট্রাফিক জ্যাম’। এ বিষয়ে জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠ জানালেন, ‘আসলে একসঙ্গে অনেক মানুষ এভারেস্টে সামিট করতে চাইলে এমন ভিড় লেগে যায়। ১৯ মে তুষারঝড় হয়েছিল। অনেকে সেদিন সামিট করতে পারেননি। এতে শেরপাসহ প্রায় ২০০ পর্বতারোহী একই জায়গায় একসঙ্গে আটকে ছিলেন। সে কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। গত দুই দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আরেক পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজনীন এখনো এভারেস্ট অভিযানে আছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দু-এক দিনের মধ্যে তিনি এভারেস্ট সামিট করার ব্যাপারে আশা করছেন বলে তাঁর ফেসবুক থেকে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.