গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে হিলারির বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: অর্থমন্ত্রী
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। হিলারির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান-টির ব্যাপারে সরকারের মনোভাব বা অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
হিলারি ক্লিনটন তাঁর ঢাকা সফরের সময় একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জন খাটো করে—এমন কোনো কাজ করাও ঠিক হবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে একজন সম্মানিত ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দিতে হবে বলে মত দেন তিনি।
এরপর সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে হিলারির বিবৃতির কোনো যুক্তি নেই। উনি বলেছেন ওনার কথা। গ্রামীণ ব্যাংক সরকার দখল করবে—এমন অভিযোগ “রাবিশ”। আমি দুঃখিত যে রাবিশ শব্দটি ব্যবহার করেছি। কিন্তু আমাকে “রাবিশ”ই বলতে হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি নিজে এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠায় কেউ সাহায্য করেনি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক এক পয়সাও গ্রামীণ ব্যাংককে দেয়নি।’
বিকেন্দ্রীকরণের কারণে প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে এবং ভালো চলছে—এ দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার কখনোই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কোনো ঝগড়া করিনি। ঝগড়া করছেন ড. ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের হাত ধরেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে গেছেন।’ তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিশন হবে। কিছু কাজ এখনো বাকি আছে।
ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের আইনি বয়সসীমা পার হওয়ায় সরকার গত বছর ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। ইউনূসের সমর্থকেরা মনে করেন, সরকার ইউনূসের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়েই এ কাজ করেছে।
জ্বালানি তেলের দাম আবারও বাড়বে: ভর্তুকি কমিয়ে আনতে জ্বালানি তেলের দাম আবারও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গতকাল তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো দরকার। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তেলের দাম নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
রয়টার্সকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বেশি দামে তেল আমদানি করে আমরা কম দামে তা বিক্রি করি। এতে জাতীয় বাজেটে চাপ পড়ে।’
সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী খাতে সুবিধাভোগী বাড়বে: আগামী বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ও বিধবাভাতা ইত্যাদি বাবদ সুবিধাভোগী বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের এখন যা দেওয়া হচ্ছে, তা ভালো।’
হিলারি ক্লিনটন তাঁর ঢাকা সফরের সময় একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জন খাটো করে—এমন কোনো কাজ করাও ঠিক হবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে একজন সম্মানিত ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দিতে হবে বলে মত দেন তিনি।
এরপর সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে হিলারির বিবৃতির কোনো যুক্তি নেই। উনি বলেছেন ওনার কথা। গ্রামীণ ব্যাংক সরকার দখল করবে—এমন অভিযোগ “রাবিশ”। আমি দুঃখিত যে রাবিশ শব্দটি ব্যবহার করেছি। কিন্তু আমাকে “রাবিশ”ই বলতে হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি নিজে এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠায় কেউ সাহায্য করেনি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক এক পয়সাও গ্রামীণ ব্যাংককে দেয়নি।’
বিকেন্দ্রীকরণের কারণে প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে এবং ভালো চলছে—এ দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার কখনোই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কোনো ঝগড়া করিনি। ঝগড়া করছেন ড. ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংকের হাত ধরেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে গেছেন।’ তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিশন হবে। কিছু কাজ এখনো বাকি আছে।
ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের আইনি বয়সসীমা পার হওয়ায় সরকার গত বছর ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। ইউনূসের সমর্থকেরা মনে করেন, সরকার ইউনূসের প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হয়েই এ কাজ করেছে।
জ্বালানি তেলের দাম আবারও বাড়বে: ভর্তুকি কমিয়ে আনতে জ্বালানি তেলের দাম আবারও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গতকাল তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো দরকার। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তেলের দাম নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
রয়টার্সকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বেশি দামে তেল আমদানি করে আমরা কম দামে তা বিক্রি করি। এতে জাতীয় বাজেটে চাপ পড়ে।’
সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী খাতে সুবিধাভোগী বাড়বে: আগামী বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ও বিধবাভাতা ইত্যাদি বাবদ সুবিধাভোগী বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে তাঁদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের এখন যা দেওয়া হচ্ছে, তা ভালো।’
No comments