পাসের হার বৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষার মান বৃদ্ধিও গুরুত্বপূর্ণ-মাধ্যমিক পরীক্ষার অভূতপূর্ব ফল
আগের রেকর্ড ভেঙে এবারের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার হয়েছে ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। গতবারের ভালো ফলের তুলনায় এবারের ফল রীতিমতো উল্লম্ফন: এক বছরে পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। সব উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকের প্রতি আমাদের অভিনন্দন।
এবারের ফলাফলে সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। যেমন, সবচেয়ে ভালো ফল যারা করেছে, সেই জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় আড়াই হাজার বেড়ে হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৬০। এটা আনন্দদায়ক যে পাসের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো ফলের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। লক্ষ করার বিষয়, গত বছর একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ২৮, এবার এ সংখ্যা অর্ধেক কমে গিয়ে হয়েছে ১৪। এই অগ্রগতি উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু এটাও গুরুতর প্রশ্ন: ওই ১৪টি বিদ্যালয়ের কী ঘটেছে যে তাদের একজন পরীক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হতে পারেনি? কী সমস্যা তাদের? এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৪। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে নয় লাখ চার হাজার ৭৫৬ জন। অর্থাৎ প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। যদিও আগের বছরগুলোর তুলনায় এ সংখ্যা কম, তবু এ প্রশ্ন তোলা উচিত যে দেড় লাখ পরীক্ষার্থী কেন অকৃতকার্য হবে? মাধ্যমিক পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ওঠার এই পথ কেন সব পরীক্ষার্থী পেরোতে পারবে না? সীমাবদ্ধতাগুলো কী এবং কীভাবে তা দূর করা যায়, তা সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত।
শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হবে—এটি হয়তো উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ অসম্ভব নয়। লক্ষ্যমাত্রা শত ভাগই হওয়া উচিত, যেন সর্বাধিকসংখ্যক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকের চৌকাঠ পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে প্রবেশ করতে পারে।
সৃজনশীল পরীক্ষাপদ্ধতি চালুর পর থেকে শিক্ষার হার ও ভালো ফলের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন: পাসের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মানও কি বাড়ছে, নাকি কমে যাচ্ছে? প্রশ্ন মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো ফল করার প্রবণতা কমেছে—সন্দেহ নেই এবং এটি অবশ্যই ইতিবাচক। এভাবেই যদি পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার বেড়ে থাকে, তাহলে সেটাই প্রকৃত অর্জন। কারণ, সৃজনশীল পদ্ধতির লক্ষ্যই ছিল এই যে শিক্ষার্থীরা গৎবাঁধা মুখস্থবিদ্যার চর্চা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের মেধার সৃজনশীল বিকাশ ঘটাবে। কিন্তু যদি পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অধিকতর উদারতার ফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার বেড়ে থাকে, তবে এটা হবে নিছকই সূচকবৃদ্ধি। শিক্ষার মান বাড়বে না।
এবার মাধ্যমিক পর্যায় উত্তীর্ণ হলো নয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এদের সবার জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। এখন থেকেই কেউ যেন ঝরে না যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।
শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হবে—এটি হয়তো উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ অসম্ভব নয়। লক্ষ্যমাত্রা শত ভাগই হওয়া উচিত, যেন সর্বাধিকসংখ্যক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকের চৌকাঠ পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে প্রবেশ করতে পারে।
সৃজনশীল পরীক্ষাপদ্ধতি চালুর পর থেকে শিক্ষার হার ও ভালো ফলের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন: পাসের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মানও কি বাড়ছে, নাকি কমে যাচ্ছে? প্রশ্ন মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো ফল করার প্রবণতা কমেছে—সন্দেহ নেই এবং এটি অবশ্যই ইতিবাচক। এভাবেই যদি পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার বেড়ে থাকে, তাহলে সেটাই প্রকৃত অর্জন। কারণ, সৃজনশীল পদ্ধতির লক্ষ্যই ছিল এই যে শিক্ষার্থীরা গৎবাঁধা মুখস্থবিদ্যার চর্চা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের মেধার সৃজনশীল বিকাশ ঘটাবে। কিন্তু যদি পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অধিকতর উদারতার ফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার বেড়ে থাকে, তবে এটা হবে নিছকই সূচকবৃদ্ধি। শিক্ষার মান বাড়বে না।
এবার মাধ্যমিক পর্যায় উত্তীর্ণ হলো নয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এদের সবার জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। এখন থেকেই কেউ যেন ঝরে না যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।
No comments