সব পক্ষের সংযত আচরণ কাম্য-পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন
গত শুক্রবার থেকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কয়েকটি এলাকায় আদিবাসী ও বাঙালিদের মধ্যে যে রক্তাক্ত সংঘর্ষ শুরু হয় তার জের এখনো চলছে। এটা যারপরনাই দুঃখজনক। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি শহরে দিনভর হামলা-ভাঙচুর ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ১৪৪ ধারা জারি করেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ফলে সেদিন রাত নয়টা থেকে বুধবার সকাল সাতটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। আমরা আশা করি, এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। শান্তি-শৃঙ্খলা সবারই কাম্য।
বাঘাইছড়িতে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, যাতে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট তৎপরতা দেখা যায়নি। মঙ্গলবার দিনভর খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের যে বিবরণ পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু ছিল না। ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। দমকল বাহিনীকে আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর সেনা ও পুলিশ সদস্যরা একটি জিপে করে গিয়ে হাতমাইকে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন। কিন্তু তারপর আদিবাসীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলে।
আদিবাসী ও বাঙালিদের মধ্যকার এসব সংঘর্ষ ও হিংসাত্মক ঘটনায় আদিবাসীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। আদিবাসীদের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও বাঙালি ছাত্র পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ দৃশ্যত দুটি বিবদমান পক্ষের প্রতিনিধিত্বকে তুলে ধরে। কিন্তু দ্বন্দ্ব-সংঘাত কেবল দুটি সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, দুটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তা গভীরভাবে প্রোথিত। পার্বত্য জেলাগুলোতে সমতলের বাঙালিদের ব্যাপক হারে বসতি স্থাপনের ফলে পাহাড়ি আদিবাসীদের, বিশেষত ভূমি অধিকারের বিষয়গুলো যে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রধান কারণ মূলত এটিই। গত শুক্রবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে শুরু হওয়া সংঘর্ষের কারণও ভূমি-বিরোধ বলে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এই বিরোধ নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের দেখা উচিত, কী পদক্ষেপ নিলে পার্বত্য জেলাগুলোতে আদিবাসীদের ভূমি অধিকারসহ সব অধিকার সুরক্ষিত হয় এবং বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়। বিবদমান উভয় পক্ষের কাছ থেকেও সংযত আচরণ একান্তভাবে কাম্য।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারা কী উদ্দেশ্যে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করল, সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাগুলো ফৌজদারি অপরাধ। এগুলো যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
বাঘাইছড়িতে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, যাতে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট তৎপরতা দেখা যায়নি। মঙ্গলবার দিনভর খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের যে বিবরণ পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট হয়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু ছিল না। ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। দমকল বাহিনীকে আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর সেনা ও পুলিশ সদস্যরা একটি জিপে করে গিয়ে হাতমাইকে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন। কিন্তু তারপর আদিবাসীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলে।
আদিবাসী ও বাঙালিদের মধ্যকার এসব সংঘর্ষ ও হিংসাত্মক ঘটনায় আদিবাসীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। আদিবাসীদের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও বাঙালি ছাত্র পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ দৃশ্যত দুটি বিবদমান পক্ষের প্রতিনিধিত্বকে তুলে ধরে। কিন্তু দ্বন্দ্ব-সংঘাত কেবল দুটি সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, দুটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তা গভীরভাবে প্রোথিত। পার্বত্য জেলাগুলোতে সমতলের বাঙালিদের ব্যাপক হারে বসতি স্থাপনের ফলে পাহাড়ি আদিবাসীদের, বিশেষত ভূমি অধিকারের বিষয়গুলো যে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রধান কারণ মূলত এটিই। গত শুক্রবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে শুরু হওয়া সংঘর্ষের কারণও ভূমি-বিরোধ বলে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এই বিরোধ নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের দেখা উচিত, কী পদক্ষেপ নিলে পার্বত্য জেলাগুলোতে আদিবাসীদের ভূমি অধিকারসহ সব অধিকার সুরক্ষিত হয় এবং বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়। বিবদমান উভয় পক্ষের কাছ থেকেও সংযত আচরণ একান্তভাবে কাম্য।
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারা কী উদ্দেশ্যে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করল, সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাগুলো ফৌজদারি অপরাধ। এগুলো যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
No comments