শ্রদ্ধাঞ্জলি-যাত্রার প্রথম গবেষক নিশিকান্ত by এম এ মজিদ
বাংলা যাত্রা সম্বন্ধে নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় যেভাবে গবেষণা করেছিলেন, তাঁর আগে আর সেভাবে কেউ গবেষণা করেননি। ভারতীয় নাটকের ধর্মীয় অনুষঙ্গ নিশিকান্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাংলা ‘যাত্রা’কে তিনি ইন্দো-ইউরোপীয় ‘আর্য’ নাটকরূপেই দেখেছেন।
তিনি মনে করতেন, ইউরোপ ও ভারতে প্রধানত ইন্দো-ইউরোপীয় ‘আর্য’ নাটক প্রাচীনকালে ও আধুনিক যুগে বিকশিত হয়েছে। তিনি কৃষ্ণকমল গোস্বামীর যাত্রাপালার ওপর গবেষণা করে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি অর্জন করেন। এই ডিগ্রি লাভের পর জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্বের প্রধান অধ্যাপক নিশিকান্তের গবেষণার প্রশংসা করেন। অধিকাংশ পণ্ডিত, গবেষক একমত হয়েছেন, তিনিই এ উপমহাদেশের প্রথম, যিনি কোনো ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি এই উপমহাদেশের প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ব্যক্তি।
তাঁর যাত্রাবিষয়ক গবেষণা অভিসন্দর্ভটি ১৮৮২ সালে লন্ডনের প্রখ্যাত ট্রাব্নার কোম্পানি বই আকারে প্রকাশ করে। এ সময় পর্যন্ত নিশিকান্ত ইউরোপেই অবস্থান করছিলেন। ১৮৮৩ সালের ৩ মার্চ তিনি দেশে ফিরে আসেন। কলকাতা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বিক্রমপুর ও মুন্সিগঞ্জে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
বঙ্গদর্শন, লাহোরের দ্য ট্রিবিউন, মাদ্রাজের দ্য হিন্দু পত্রিকায় গ্রন্থটির সমালোচনা বের হয়। নিশিকান্তের গবেষণা আকারে ক্ষুদ্র বলা যায়। কিন্তু বাংলা যাত্রাসম্পর্কীয় অর্থবহ। তার তিনটি অংশ। একটি অংশে নিশিকান্ত ইউরোপে, ভারতে এবং বঙ্গে জনপ্রিয় নাটকের প্রাচীনতা বিচার করেছেন। দ্বিতীয় অংশে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে এবং তৃতীয় অংশে কৃষ্ণকমল গোস্বামীর কৃষ্ণযাত্রা প্রসঙ্গ পর্যালোচিত হয়েছে।
কৃষ্ণকমল গোস্বামী (১৮-১০-১৮৮৮) নদীয়ার ভজনঘাট বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভাগবতপুরাণের পেশাদার কথক ছিলেন। দীক্ষিত বৈষ্ণব কৃষ্ণকমল ঢাকায় বসবাস করতেন এবং বৈষ্ণব সমাজে ‘বড় গোঁসাই’ রূপে শ্রদ্ধেয় ছিলেন। গবেষক নিশিকান্ত চট্টপাধ্যায়ের বই থেকে জানা যায়, কৃষ্ণকমল প্রচলিত কৃষ্ণযাত্রার অসারতা এবং গড্ডালিকা মেনে নিতে পারেননি। তাঁর রচিত নিমাই সন্ন্যাস, স্বপ্নবিলাস, দিব্যোন্নাদ/রাইউন্মাদিনী (১৮৪২), বিচিত্র বিলাস (১৮৫০)। এ ছাড়া কালীয়দমন, ভরতমিলন, গন্ধর্বমিলন পালা পর্যালোচনায় তা-ই প্রমাণিত হয়। বিচিত্র একটি তথ্য হচ্ছে, নিশিকান্তের গবেষণা থেকে জানতে পারি, কৃষ্ণকমলের স্বপ্নবিলাস পালার প্রথম অভিনয় ঢাকার বিক্রমপুরে। বিক্রমপুরের আবদুল্লাহপুর গ্রামে অভিনীত হয় দিব্যোন্মাদ পালা। তথ্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য, এই আবদুল্লাহপুরের কয়েকজন গুণী শিল্পী পরবর্তী পর্যায়ে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান খালপাড়ে ‘রূপবান’ যাত্রাদল তৈরি করেন, যা খালপাড়ের দল নামে পরিচিত ছিল। যাত্রাপালার আর্শাদ আলী ছিলেন দলের ‘রূপবান’ চরিত্রাভিনেতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রূপবান আর্শাদ নামে পরিচিত ছিলেন। এ দেশের বহু প্রবীণ যাত্রাশিল্পী বলে থাকেন, কৃষ্ণকমল গোস্বামী যাত্রা না লিখলে যেমন গীতিনাট্য চর্চার সূচনা হতো না, তেমনি নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় যাত্রা-সম্পর্কীয় গবেষণা না করলে যাত্রা বিষয়ে পরবর্তী গবেষকদের আমরা পেতাম না।
নিশিকান্ত কৃষ্ণকমল গোস্বামীর জীবনী লেখেননি। পালার সাহিত্যমূল্য কাহিনির প্রেক্ষাপট, তদানীন্তন সময়ে সমাজ-ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ও তারই আলোকে যাত্রাচর্চার (বঙ্গে) ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। বিষয়টি অনুসন্ধানী গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যার ফলে আমরা নিশিকান্তের অনুসারী গবেষকদের মধ্যে পেয়েছি—সুশীল কুমার দে, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, অমূল্য চরণ বিদ্যাভূষণ, বৈদ্যনাথ শীল, মন্মথনাথ বসু, ব্রজসুন্দর সান্যাল, নগেন্দ্রনাথ বসু, অসিত কুমার মুখ্যোপাধ্যায়, হংসনায়ন ভট্টাচার্য, অনুপ বন্দোপাধ্যায়, অধ্যাপক মইন আহম্মদ, সুকুমার সেন, সেলিম আল দীন, মধু গোস্বামী, তপন বাগচীকে। তাঁদের অনেকেই যাত্রাকে বিষয় নির্বাচন করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলা যাত্রার গবেষক ড. তপন বাগচী জানান, বাংলা যাত্রা বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক যত গবেষণাই হোক না কেন, এর অনুপ্রেরণা ও উত্স হচ্ছে ড. নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ড. বাগচীর ক্ষেত্র গবেষণায় দেখা যায়, যাত্রার আধুনিক সংস্কারক পালাকার ব্রজেন্দ্র কুমার দে (প্রয়াত) যে সংস্কার পন্থা অবলম্বন করে পালা লিখতে শুরু করেন ও সফল হন, তারও ইঙ্গিত তিনি পেয়েছিলেন নিশিকান্তের গবেষণায়। পরবর্তী অনেক পালাকার নিশিকান্তের পর্যালোচনার উত্তরীয় বিষয়টি মাথায় নিয়ে পালা লিখে সাফল্য পান।
উনিশ শতকের তৃতীয় দশকে ধর্মের বাইরের বিষয় নিয়েও যাত্রা হয়েছে। এমন সব প্রমাণ উপস্থাপন করে লেখেন—১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত এবং আসরস্থ হয় কলিরাজার যাত্রা। ভবানীপুরের গবেষক রমাকান্ত চক্রবর্তীর মতে, গবেষক নিশিকান্তের পরিচয় ঘটে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। ১৮৭৩ সালে ডাক্তারি পড়তে স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ শহরে যান নিশিকান্ত, কিন্তু ডাক্তারি পড়া তাঁর ভালো লাগেনি। ১৮৭৪ সালে তিনি জার্মানির লিপজিগ শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক ধর্ম অধ্যয়ন করেন। এ সময় তাঁর চূড়ান্ত আর্থিক অভাবের কথা জেনে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন। ধর্ম অধ্যয়নকালে জার্মান ভাষায় তিনি বক্তৃতা শুরু করেন। তার ভাষণের বিষয় ছিল রামায়ণ, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের কালক্রম, পৌরাণিক সৃষ্টিতত্ত্ব ও খ্রিষ্ট ধর্মের ওপরে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। শেষোক্ত বক্তব্যের কারণে তাকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিতে হয় রাশিয়ার রাজধানী সেন্ট পিটার্সবুর্গে (লেনিনগ্রাড) এবং শেষ পর্যন্ত তিনি পিটার্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন। কিন্তু এখানেও তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ পালিয়ে আসেন। অতঃপর শুরু করলেন বাংলা যাত্রা সম্পর্কে গবেষণা। নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ১৯১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর যাত্রাবিষয়ক গবেষণা অভিসন্দর্ভটি ১৮৮২ সালে লন্ডনের প্রখ্যাত ট্রাব্নার কোম্পানি বই আকারে প্রকাশ করে। এ সময় পর্যন্ত নিশিকান্ত ইউরোপেই অবস্থান করছিলেন। ১৮৮৩ সালের ৩ মার্চ তিনি দেশে ফিরে আসেন। কলকাতা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বিক্রমপুর ও মুন্সিগঞ্জে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
বঙ্গদর্শন, লাহোরের দ্য ট্রিবিউন, মাদ্রাজের দ্য হিন্দু পত্রিকায় গ্রন্থটির সমালোচনা বের হয়। নিশিকান্তের গবেষণা আকারে ক্ষুদ্র বলা যায়। কিন্তু বাংলা যাত্রাসম্পর্কীয় অর্থবহ। তার তিনটি অংশ। একটি অংশে নিশিকান্ত ইউরোপে, ভারতে এবং বঙ্গে জনপ্রিয় নাটকের প্রাচীনতা বিচার করেছেন। দ্বিতীয় অংশে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে এবং তৃতীয় অংশে কৃষ্ণকমল গোস্বামীর কৃষ্ণযাত্রা প্রসঙ্গ পর্যালোচিত হয়েছে।
কৃষ্ণকমল গোস্বামী (১৮-১০-১৮৮৮) নদীয়ার ভজনঘাট বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভাগবতপুরাণের পেশাদার কথক ছিলেন। দীক্ষিত বৈষ্ণব কৃষ্ণকমল ঢাকায় বসবাস করতেন এবং বৈষ্ণব সমাজে ‘বড় গোঁসাই’ রূপে শ্রদ্ধেয় ছিলেন। গবেষক নিশিকান্ত চট্টপাধ্যায়ের বই থেকে জানা যায়, কৃষ্ণকমল প্রচলিত কৃষ্ণযাত্রার অসারতা এবং গড্ডালিকা মেনে নিতে পারেননি। তাঁর রচিত নিমাই সন্ন্যাস, স্বপ্নবিলাস, দিব্যোন্নাদ/রাইউন্মাদিনী (১৮৪২), বিচিত্র বিলাস (১৮৫০)। এ ছাড়া কালীয়দমন, ভরতমিলন, গন্ধর্বমিলন পালা পর্যালোচনায় তা-ই প্রমাণিত হয়। বিচিত্র একটি তথ্য হচ্ছে, নিশিকান্তের গবেষণা থেকে জানতে পারি, কৃষ্ণকমলের স্বপ্নবিলাস পালার প্রথম অভিনয় ঢাকার বিক্রমপুরে। বিক্রমপুরের আবদুল্লাহপুর গ্রামে অভিনীত হয় দিব্যোন্মাদ পালা। তথ্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য, এই আবদুল্লাহপুরের কয়েকজন গুণী শিল্পী পরবর্তী পর্যায়ে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান খালপাড়ে ‘রূপবান’ যাত্রাদল তৈরি করেন, যা খালপাড়ের দল নামে পরিচিত ছিল। যাত্রাপালার আর্শাদ আলী ছিলেন দলের ‘রূপবান’ চরিত্রাভিনেতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রূপবান আর্শাদ নামে পরিচিত ছিলেন। এ দেশের বহু প্রবীণ যাত্রাশিল্পী বলে থাকেন, কৃষ্ণকমল গোস্বামী যাত্রা না লিখলে যেমন গীতিনাট্য চর্চার সূচনা হতো না, তেমনি নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় যাত্রা-সম্পর্কীয় গবেষণা না করলে যাত্রা বিষয়ে পরবর্তী গবেষকদের আমরা পেতাম না।
নিশিকান্ত কৃষ্ণকমল গোস্বামীর জীবনী লেখেননি। পালার সাহিত্যমূল্য কাহিনির প্রেক্ষাপট, তদানীন্তন সময়ে সমাজ-ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ও তারই আলোকে যাত্রাচর্চার (বঙ্গে) ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছেন। বিষয়টি অনুসন্ধানী গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যার ফলে আমরা নিশিকান্তের অনুসারী গবেষকদের মধ্যে পেয়েছি—সুশীল কুমার দে, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, অমূল্য চরণ বিদ্যাভূষণ, বৈদ্যনাথ শীল, মন্মথনাথ বসু, ব্রজসুন্দর সান্যাল, নগেন্দ্রনাথ বসু, অসিত কুমার মুখ্যোপাধ্যায়, হংসনায়ন ভট্টাচার্য, অনুপ বন্দোপাধ্যায়, অধ্যাপক মইন আহম্মদ, সুকুমার সেন, সেলিম আল দীন, মধু গোস্বামী, তপন বাগচীকে। তাঁদের অনেকেই যাত্রাকে বিষয় নির্বাচন করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলা যাত্রার গবেষক ড. তপন বাগচী জানান, বাংলা যাত্রা বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক যত গবেষণাই হোক না কেন, এর অনুপ্রেরণা ও উত্স হচ্ছে ড. নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়। ড. বাগচীর ক্ষেত্র গবেষণায় দেখা যায়, যাত্রার আধুনিক সংস্কারক পালাকার ব্রজেন্দ্র কুমার দে (প্রয়াত) যে সংস্কার পন্থা অবলম্বন করে পালা লিখতে শুরু করেন ও সফল হন, তারও ইঙ্গিত তিনি পেয়েছিলেন নিশিকান্তের গবেষণায়। পরবর্তী অনেক পালাকার নিশিকান্তের পর্যালোচনার উত্তরীয় বিষয়টি মাথায় নিয়ে পালা লিখে সাফল্য পান।
উনিশ শতকের তৃতীয় দশকে ধর্মের বাইরের বিষয় নিয়েও যাত্রা হয়েছে। এমন সব প্রমাণ উপস্থাপন করে লেখেন—১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত এবং আসরস্থ হয় কলিরাজার যাত্রা। ভবানীপুরের গবেষক রমাকান্ত চক্রবর্তীর মতে, গবেষক নিশিকান্তের পরিচয় ঘটে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে। ১৮৭৩ সালে ডাক্তারি পড়তে স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ শহরে যান নিশিকান্ত, কিন্তু ডাক্তারি পড়া তাঁর ভালো লাগেনি। ১৮৭৪ সালে তিনি জার্মানির লিপজিগ শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক ধর্ম অধ্যয়ন করেন। এ সময় তাঁর চূড়ান্ত আর্থিক অভাবের কথা জেনে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন। ধর্ম অধ্যয়নকালে জার্মান ভাষায় তিনি বক্তৃতা শুরু করেন। তার ভাষণের বিষয় ছিল রামায়ণ, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের কালক্রম, পৌরাণিক সৃষ্টিতত্ত্ব ও খ্রিষ্ট ধর্মের ওপরে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। শেষোক্ত বক্তব্যের কারণে তাকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিতে হয় রাশিয়ার রাজধানী সেন্ট পিটার্সবুর্গে (লেনিনগ্রাড) এবং শেষ পর্যন্ত তিনি পিটার্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন। কিন্তু এখানেও তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ পালিয়ে আসেন। অতঃপর শুরু করলেন বাংলা যাত্রা সম্পর্কে গবেষণা। নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ১৯১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
No comments