সফলদের স্বপ্নগাথা-সফলতার জন্য তিন প্রশ্ন: সাইমন সিনেক
সাইমন সিনেক একজন পেশাদার লেখক ও বক্তা, বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ কৌশল বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন। জন্ম ১৯৭৩ সালের ৯ অক্টোবর ইংল্যান্ডে। এই বক্তৃতা তিনি দেন ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯, ওয়াশিংটনে।
কেমন লাগে যখন কোনো কাজই মনের মতো হয় না? অথবা, যখন আপনার মতোই কেউ এমন কোনো অসাধ্য সাধন করে ফেলে. যা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না? সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে এমন কিছু ব্যাপার সব সময়ই ঘটে, যা আমরা সাধারণ নিয়মে মেলাতে পারি না। স্টিভ জবসের অ্যাপলের কথাই ধরা যাক, বছরের পর বছর অ্যাপল তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর চেয়ে উদ্ভাবনী ক্ষমতায় অনেক ধাপ এগিয়ে আছে। কী এমন আছে অ্যাপলের, যা তাদের আর সবার চেয়ে আলাদা করে রেখেছে? অথবা রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অ্যারোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনি। তখনকার দিনে অসংখ্য আবিষ্কারক ছিল, তাদের নিজেদের অতুলনীয় যোগ্যতা আর পৃষ্ঠপোষকের টাকার জোর থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ই মানুষের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরেও কিছু একটা এখানে কাজ করছে। দুনিয়া কাঁপানো সব নেতৃত্ব কিংবা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো, এদের সবার মধ্যেই একটা সূক্ষ্ম সাদৃশ্য আছে। তারা সবাই একইভাবে চিন্তা করে, কাজ করে আর নিজেদের উপস্থাপন করে, যা কি না বাকি সব মানুষের থেকে শুধু ভিন্নই নয়, সম্পূর্ণ বিপরীত!
কেন? কীভাবে? কী? এই ছোট্ট তিনটি প্রশ্নই বলে দেয় কেন কেউ সফল হয় আর কেউ হয় না। শুরু করা যাক ‘কী’ থেকে। আমরা সবাই জানি, আমাদের কাজটা কী, আমরা আসলে কী করছি। কেউ কেউ জানি যা করছি, তা কীভাবে করছি, ঠিক কীভাবে এই কাজটা করতে হয়। কিন্তু কজন জানি যে আমরা যা করছি, তার পেছনে মূল উদ্দেশ্যটা কী? কাজটা কেন করছি আমরা? ‘কেন’, এই প্রশ্নটি যত সরল মনে হয়, আসলে মোটেও তেমন নয়। ‘কেন’—এই প্রশ্নের উত্তরই বলে দেয় আমাদের লক্ষ্য কোনটি, আমাদের বিশ্বাস কী, আমাদের অস্তিত্বের কারণ কী। আর লক্ষ্য সম্পর্কে এমন পরিষ্কার ধারণা খুব কম মানুষেরই থাকে। আমরা আগে ভাবি কী করতে হবে, তারপর ভাবি কীভাবে করতে হবে, কিন্তু কেন করতে হবে আর করলে তা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে, এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাটিই আমাদের মাথায় আসে না। শুধু ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সময়ও আমরা উল্টোভাবে চলি। যার ফলাফল দাঁড়ায়, আমরা শুধু আমাদের কথাই বলে যাই, আমরা ভেবে দেখি না, আমরা অন্যকে যা করতে বলছি, সে তা কেন করবে।
আমাদের সচরাচর কথাবার্তার সঙ্গে অ্যাপলের বিজ্ঞাপনগুলোর একটু তুলনা করে দেখুন। অ্যাপল যদি আমাদের মতো ‘কী’ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শুরু করত, তাহলে তাদের বলতে হতো, ‘আমরা দারুণ সব কম্পিউটার বানাই। এগুলোর ডিজাইন সুন্দর আর ব্যবহারও সহজ।’ এমন গৎবাঁধা কথা বললে আদৌ কি কেউ অ্যাপলের কম্পিউটার কিনত? একেবারেই না! অথচ আমরা সবাই এভাবেই কথা বলছি সারা দিন! আমরা বলতে থাকি আমরা কী করি, আমরা অন্যদের চেয়ে কীভাবে আলাদা আর এসব বলেই আমরা আশা করি সবাই আমাদের কথায় ইতিবাচক সাড়া দেবে, আমাদের কথামতো কাজ করবে, বা আমাদের কাছ থেকে কিছু কিনবে। কিন্তু আসলে এভাবে মানুষকে কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায় না।
আমরা কী করি, তার চেয়ে মানুষের মনে অনেক বেশি নাড়া দেয়, আমরা কাজটি কেন করি। অ্যাপল নিজেদের তুলে ধরে উদ্ভাবন আর ভিন্নতার এক অনন্য সমন্বয় হিসেবে। তারা প্রচলিত ধারণার বাইরে ভিন্নতায় বিশ্বাস করে আর এই বিশ্বাসই তাদের আর ১০টি কম্পিউটার প্রস্তুতকারক কোম্পানির চেয়ে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কম্পিউটার প্রয়োজন এমন যে কারও কাছেই নিজেদের পণ্য গছিয়ে দেওয়ার জন্য অ্যাপল কোনো চেষ্টাই করে না। তারা ঠিক তাদের সঙ্গেই ব্যবসা করে, যারা অ্যাপলের ভিন্নতা আর বৈশিষ্ট্যে বিশ্বাস করে।
মানুষের মস্তিষ্কের গঠনটাই এ রকম যে ভাষা বুঝতে পারা আর বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা থাকে মস্তিষ্কের বাইরের অংশে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনযাপনের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মস্তিষ্কের ভেতরের অংশে, যা কি না সব অনুভূতির উৎপত্তিস্থল। মজার ব্যাপার হলো যে অংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ সম্পাদন করা হয়, তার সঙ্গে ভাষার কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গালভরা বুলি কিংবা জটিল সব তথ্য-উপাত্ত দিয়ে কাউকে কোনো কিছু প্রমাণ করে দেখালেও সে বলতে পারে, ‘ব্যাপারটা কেন যেন ঠিক মনে হচ্ছে না।’ এই ‘মনে হওয়া’র মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবচেয়ে বড় উদ্দীপক। তাই কাউকে দিয়ে কিছু করাতে চাইলে প্রথমে আপনার নিজের ভেতর যে বিশ্বাস কাজ করে, তাকেও সেই বিশ্বাসে উজ্জীবিত করতে হবে। তারপর আসবে যুক্তি আর তথ্য উপস্থাপন করে বোঝানোর পালা। যদি আপনি কোনো কাজে এমন কাউকে নিয়োগ দেন যে কাজটি করার যোগ্যতা রাখে, তবে সে বেতন পাওয়ার জন্যই কাজ করবে। কিন্তু যদি এমন কেউ থাকে যে কাজটি পারে এবং আপনি যে কারণে কাজটি করতে উৎসাহী, সেই উৎসাহ তার ভেতরে আছে, একই বিশ্বাসে সেও বিশ্বাস করে; তাহলে সেই ব্যক্তি তার জীবন দিয়ে আপনার জন্য কাজ করে যাবে, শুধুই বেতনের জন্য নয়। আর কেউ যখন নিজের ভেতরের তাড়নায় কাজ করে, সে কাজে সাফল্য অবধারিত।
১৯৬৩ সালে লুথার কিং যখন ওয়াশিংটনের তাঁর বর্ণবাদবিরোধী অমর বক্তব্য দেন, সেখানে অসংখ্য লোক সমবেত হয়েছিল তাঁর কথা শোনার জন্য। তখনকার দিনে এত মানুষ কীভাবে একত্র হতে পেরেছিল? কেউ তাদের কোনো আমন্ত্রণ পাঠায়নি, লুফার কিং কোনো নামকরা বক্তাও ছিলেন না। তিনি শুধু সবার কাছে একটি কথাই প্রচার করেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি...’। তাঁর বিশ্বাস আর চিন্তা যাঁদের গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল, যাঁরা সেই বিশ্বাসকে নিজেদের বিশ্বাসে পরিণত করেছিলেন, তাঁরাই সেই ধারণাকে তাঁদের চারপাশের সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। শেষপর্যন্ত প্রায় অখ্যাত, অপরিচিত এক বক্তার কথা শোনার জন্য সমবেত হয় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। তাঁদের কেউই লুথার কিংয়ের আকর্ষণে সেখানে হাজির হননি। তাঁরা এসেছিলেন তাঁদের নিজেদের জন্য, বর্ণবাদের অসারতায় তাঁদের নিজেদের বিশ্বাসই তাঁদের টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেদিনের সেই জনসভায়। আর এখনকার দিনের রাজনীতিবিদদের বক্তৃতার অবস্থা দেখুন! তাঁদের প্রতিশ্রুতির পাহাড় আর বড় বড় পরিকল্পনার কাহিনি জনগণকে আর এতটুকুও উজ্জীবিত করতে পারে না।
প্রকৃত নেতাকে জনতা অনুসরণ করে কোনো বাধ্যবাধকতার চাপে পড়ে নয়। তারা স্বেচ্ছায়, ভালোবেসে, বিশ্বাস করেই নেতাকে সমর্থন জানায়। আর যে ‘কেন’ প্রশ্নের উত্তর জেনে পথ চলা শুরু করে, কেবল সেই পারে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে, অথবা এমন কাউকে খুঁজে নিতে যে তাকে অনুপ্রাণিত করে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
সূত্র: ইন্টারনেট, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার
কেন? কীভাবে? কী? এই ছোট্ট তিনটি প্রশ্নই বলে দেয় কেন কেউ সফল হয় আর কেউ হয় না। শুরু করা যাক ‘কী’ থেকে। আমরা সবাই জানি, আমাদের কাজটা কী, আমরা আসলে কী করছি। কেউ কেউ জানি যা করছি, তা কীভাবে করছি, ঠিক কীভাবে এই কাজটা করতে হয়। কিন্তু কজন জানি যে আমরা যা করছি, তার পেছনে মূল উদ্দেশ্যটা কী? কাজটা কেন করছি আমরা? ‘কেন’, এই প্রশ্নটি যত সরল মনে হয়, আসলে মোটেও তেমন নয়। ‘কেন’—এই প্রশ্নের উত্তরই বলে দেয় আমাদের লক্ষ্য কোনটি, আমাদের বিশ্বাস কী, আমাদের অস্তিত্বের কারণ কী। আর লক্ষ্য সম্পর্কে এমন পরিষ্কার ধারণা খুব কম মানুষেরই থাকে। আমরা আগে ভাবি কী করতে হবে, তারপর ভাবি কীভাবে করতে হবে, কিন্তু কেন করতে হবে আর করলে তা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে, এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাটিই আমাদের মাথায় আসে না। শুধু ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সময়ও আমরা উল্টোভাবে চলি। যার ফলাফল দাঁড়ায়, আমরা শুধু আমাদের কথাই বলে যাই, আমরা ভেবে দেখি না, আমরা অন্যকে যা করতে বলছি, সে তা কেন করবে।
আমাদের সচরাচর কথাবার্তার সঙ্গে অ্যাপলের বিজ্ঞাপনগুলোর একটু তুলনা করে দেখুন। অ্যাপল যদি আমাদের মতো ‘কী’ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শুরু করত, তাহলে তাদের বলতে হতো, ‘আমরা দারুণ সব কম্পিউটার বানাই। এগুলোর ডিজাইন সুন্দর আর ব্যবহারও সহজ।’ এমন গৎবাঁধা কথা বললে আদৌ কি কেউ অ্যাপলের কম্পিউটার কিনত? একেবারেই না! অথচ আমরা সবাই এভাবেই কথা বলছি সারা দিন! আমরা বলতে থাকি আমরা কী করি, আমরা অন্যদের চেয়ে কীভাবে আলাদা আর এসব বলেই আমরা আশা করি সবাই আমাদের কথায় ইতিবাচক সাড়া দেবে, আমাদের কথামতো কাজ করবে, বা আমাদের কাছ থেকে কিছু কিনবে। কিন্তু আসলে এভাবে মানুষকে কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায় না।
আমরা কী করি, তার চেয়ে মানুষের মনে অনেক বেশি নাড়া দেয়, আমরা কাজটি কেন করি। অ্যাপল নিজেদের তুলে ধরে উদ্ভাবন আর ভিন্নতার এক অনন্য সমন্বয় হিসেবে। তারা প্রচলিত ধারণার বাইরে ভিন্নতায় বিশ্বাস করে আর এই বিশ্বাসই তাদের আর ১০টি কম্পিউটার প্রস্তুতকারক কোম্পানির চেয়ে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কম্পিউটার প্রয়োজন এমন যে কারও কাছেই নিজেদের পণ্য গছিয়ে দেওয়ার জন্য অ্যাপল কোনো চেষ্টাই করে না। তারা ঠিক তাদের সঙ্গেই ব্যবসা করে, যারা অ্যাপলের ভিন্নতা আর বৈশিষ্ট্যে বিশ্বাস করে।
মানুষের মস্তিষ্কের গঠনটাই এ রকম যে ভাষা বুঝতে পারা আর বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা থাকে মস্তিষ্কের বাইরের অংশে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনযাপনের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মস্তিষ্কের ভেতরের অংশে, যা কি না সব অনুভূতির উৎপত্তিস্থল। মজার ব্যাপার হলো যে অংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ সম্পাদন করা হয়, তার সঙ্গে ভাষার কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গালভরা বুলি কিংবা জটিল সব তথ্য-উপাত্ত দিয়ে কাউকে কোনো কিছু প্রমাণ করে দেখালেও সে বলতে পারে, ‘ব্যাপারটা কেন যেন ঠিক মনে হচ্ছে না।’ এই ‘মনে হওয়া’র মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবচেয়ে বড় উদ্দীপক। তাই কাউকে দিয়ে কিছু করাতে চাইলে প্রথমে আপনার নিজের ভেতর যে বিশ্বাস কাজ করে, তাকেও সেই বিশ্বাসে উজ্জীবিত করতে হবে। তারপর আসবে যুক্তি আর তথ্য উপস্থাপন করে বোঝানোর পালা। যদি আপনি কোনো কাজে এমন কাউকে নিয়োগ দেন যে কাজটি করার যোগ্যতা রাখে, তবে সে বেতন পাওয়ার জন্যই কাজ করবে। কিন্তু যদি এমন কেউ থাকে যে কাজটি পারে এবং আপনি যে কারণে কাজটি করতে উৎসাহী, সেই উৎসাহ তার ভেতরে আছে, একই বিশ্বাসে সেও বিশ্বাস করে; তাহলে সেই ব্যক্তি তার জীবন দিয়ে আপনার জন্য কাজ করে যাবে, শুধুই বেতনের জন্য নয়। আর কেউ যখন নিজের ভেতরের তাড়নায় কাজ করে, সে কাজে সাফল্য অবধারিত।
১৯৬৩ সালে লুথার কিং যখন ওয়াশিংটনের তাঁর বর্ণবাদবিরোধী অমর বক্তব্য দেন, সেখানে অসংখ্য লোক সমবেত হয়েছিল তাঁর কথা শোনার জন্য। তখনকার দিনে এত মানুষ কীভাবে একত্র হতে পেরেছিল? কেউ তাদের কোনো আমন্ত্রণ পাঠায়নি, লুফার কিং কোনো নামকরা বক্তাও ছিলেন না। তিনি শুধু সবার কাছে একটি কথাই প্রচার করেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি...’। তাঁর বিশ্বাস আর চিন্তা যাঁদের গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল, যাঁরা সেই বিশ্বাসকে নিজেদের বিশ্বাসে পরিণত করেছিলেন, তাঁরাই সেই ধারণাকে তাঁদের চারপাশের সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। শেষপর্যন্ত প্রায় অখ্যাত, অপরিচিত এক বক্তার কথা শোনার জন্য সমবেত হয় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। তাঁদের কেউই লুথার কিংয়ের আকর্ষণে সেখানে হাজির হননি। তাঁরা এসেছিলেন তাঁদের নিজেদের জন্য, বর্ণবাদের অসারতায় তাঁদের নিজেদের বিশ্বাসই তাঁদের টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেদিনের সেই জনসভায়। আর এখনকার দিনের রাজনীতিবিদদের বক্তৃতার অবস্থা দেখুন! তাঁদের প্রতিশ্রুতির পাহাড় আর বড় বড় পরিকল্পনার কাহিনি জনগণকে আর এতটুকুও উজ্জীবিত করতে পারে না।
প্রকৃত নেতাকে জনতা অনুসরণ করে কোনো বাধ্যবাধকতার চাপে পড়ে নয়। তারা স্বেচ্ছায়, ভালোবেসে, বিশ্বাস করেই নেতাকে সমর্থন জানায়। আর যে ‘কেন’ প্রশ্নের উত্তর জেনে পথ চলা শুরু করে, কেবল সেই পারে অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে, অথবা এমন কাউকে খুঁজে নিতে যে তাকে অনুপ্রাণিত করে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
সূত্র: ইন্টারনেট, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার
No comments