এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়-কাশ্মীরের হিমঠান্ডায়... by হাবিব রহমান

ঢাকা থেকে কলকাতা। তারপর গন্তব্য তাঁদের আগ্রা আর কাশ্মীর। ‘আমরা কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। পেহেলগামে এসে ঠেকেছে মাইনাসে। এত শীত লাগছিল, মনে হচ্ছিল মারা যাব! কিন্তু সবকিছুর পরও অসম্ভব ভালো লাগছিল হালকা রোদের ভেতর দিয়ে তুষার কণার ছন্দময় পতন।


মনে হচ্ছিল একেকটি ডায়মন্ডের কণা মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। টানা ১৪ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরে বলছিলেন নিজেদের অনুভূতির কথা বলছিলেন আবিদা সুলতানা, ফারহানা আলম, চিন্ময় কুমার সাহা ও হাফিজুর রহমান।
আগ্রা থেকে জম্মু হয়ে কাশ্মীরের (ভূস্বর্গ) দিকে যেতে চোখে পড়ছিল পাহাড়ি ঝরনা, পাইন বন আর শুভ্র তুষার। কাশ্মীর থেকে পেহেলগামের দিকে যেতে যেতে যা আরও হূদয় ছুঁয়ে যাচ্ছিল। জানালেন নূরজাহান সূচী ও মাকসুদুল হাসান।
কলকাতা, জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লিসহ বেশ কিছু স্থানে ভ্রমণে ব্যস্ত ছিল পুরো দল। প্রথমে কলকাতা। তারপর আগ্রা। ‘তুমি তাজমহল গড় হূদয়ে তোমার হারিয়ে গেলে’... সেই তাজমহলের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন আগ্রার উদ্দেশে। তাজমহল সবাইকে মুগ্ধ করলেও সম্রাট শাজাহানের বাসভবন আগ্রা ফোর্ট অনেকের মনে বিস্ময় জাগিয়েছিল।
ফিরে আসার আগের দিন ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে আইপিএলের খেলা দেখতে গিয়েছিলাম সবাই মিলে। কারণ, সেদিন ছিল সাকিবের খেলা। সাকিব সত্যিই সেদিন মাঠ কাঁপালেন। নিজের ঝুলিতে পুরে নিয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটাও।
প্রতিবারের মতো বিদায়ী ব্যাচের সহযোগিতায় ৪৪ জনের দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফার্মেসি বিভাগের দুই শিক্ষক আহসানুল হক ও ওয়াহিদা নাসরিন।

No comments

Powered by Blogger.