জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয়
কোনোভাবেই যেন আর সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। দিনের পর দিন খরচ বেড়েই যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সংগতি রেখে চলতে গিয়ে পারিবারিক বাজেট কেবলই কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সমস্যা প্রকট নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের।
সমাজের এই শ্রেণী দুটির অধিকাংশেরই খুব খারাপ অবস্থা। বাজারে ওএমএস থেকে কম দামে যে চাল দেওয়া হচ্ছে, সে চাল সংগ্রহের জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে অনেককে। ওএমএসের চাল সংগ্রহ করতে আসা মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আর বাড়বে না_এমন কথা আমাদের নীতিনির্ধারকরা অনেক আগেই বলা বন্ধ করেছেন। এরপর বাজার স্থিতিশীল রাখার কথা বলা হয়। এখন বাজার নিয়ে কোনো কথাই উচ্চারিত হতে শোনা যায় না।
একসময় শোনা যেত, বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। অদৃশ্য সে সিন্ডিকেট ভাঙা যায়নি। সিন্ডিকেটের ভূতের গল্প এখন ভোক্তাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অথচ তাদের দায়িত্ব ছিল, এই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠে বাজারকে সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসা। জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। সহসাই বাজার সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে আসবে_এমন সম্ভাবনাও কম। এর অন্যতম একটি কারণ আমাদের আমদানিনির্ভরতা। আরেকটি কারণ, আমদানির সিংহভাগই হয় বেসরকারি পর্যায়ে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এখানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তার প্রভাব এখানে পড়ে না। একবার কোনো জিনিসের দাম বেড়ে গেলে সেটা আর কমে না। এটাই এখন আমাদের বাজারে সাধারণ নিয়ম হয়ে গেছে। এখন বাজারে সব ধরনের তেলের দাম আকাশছোঁয়া। দেশে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছেই। চালের দামও আকাশছোঁয়া। এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে এক বছরে ৪৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ, আরো বাড়বে ২ শতাংশ। এর আগে গত বছরের ১০ মার্চ আরো এক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সংকুচিত তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম বাড়তে পারে। আলু ছাড়া সব সবজির দাম চড়া।
বাজারের এই বেসামাল পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের মানুষকে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হতে পারত সরকারের বিকল্প বাজারব্যবস্থা। কিন্তু টিসিবিকে এখন পর্যন্ত সক্রিয় করা যায়নি। চালু করা যায়নি রেশন-ব্যবস্থা। সরকারের দুই বছর চলে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের যে অবস্থা, তাতে দেশের বাজার নিয়ে সরকারের ভাবার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। সরকারকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা নিতে না পারলে সরকারের জনপ্রিয়তা খাদে পড়বে_এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে। সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিতে আর বিলম্ব করবে না বলেই মনে করি আমরা।
একসময় শোনা যেত, বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। অদৃশ্য সে সিন্ডিকেট ভাঙা যায়নি। সিন্ডিকেটের ভূতের গল্প এখন ভোক্তাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অথচ তাদের দায়িত্ব ছিল, এই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠে বাজারকে সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসা। জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। সহসাই বাজার সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে আসবে_এমন সম্ভাবনাও কম। এর অন্যতম একটি কারণ আমাদের আমদানিনির্ভরতা। আরেকটি কারণ, আমদানির সিংহভাগই হয় বেসরকারি পর্যায়ে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এখানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তার প্রভাব এখানে পড়ে না। একবার কোনো জিনিসের দাম বেড়ে গেলে সেটা আর কমে না। এটাই এখন আমাদের বাজারে সাধারণ নিয়ম হয়ে গেছে। এখন বাজারে সব ধরনের তেলের দাম আকাশছোঁয়া। দেশে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছেই। চালের দামও আকাশছোঁয়া। এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে এক বছরে ৪৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ, আরো বাড়বে ২ শতাংশ। এর আগে গত বছরের ১০ মার্চ আরো এক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সংকুচিত তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম বাড়তে পারে। আলু ছাড়া সব সবজির দাম চড়া।
বাজারের এই বেসামাল পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের মানুষকে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হতে পারত সরকারের বিকল্প বাজারব্যবস্থা। কিন্তু টিসিবিকে এখন পর্যন্ত সক্রিয় করা যায়নি। চালু করা যায়নি রেশন-ব্যবস্থা। সরকারের দুই বছর চলে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের যে অবস্থা, তাতে দেশের বাজার নিয়ে সরকারের ভাবার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। সরকারকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা নিতে না পারলে সরকারের জনপ্রিয়তা খাদে পড়বে_এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে। সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিতে আর বিলম্ব করবে না বলেই মনে করি আমরা।
No comments