সিপিডির বাজেট পরামর্শ-প্রয়োজন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ
জুন মাস সামনে। বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। কেমন বাজেট চাই- এমন আলোচনা গুরুত্ব পাবে বেশি। বাজেটের আগে দেশের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ করা যায়। জিনিসপত্রের দামে হেরফের হতে থাকে। বাজেটের প্রভাব পড়ে জীবনযাত্রার ওপর।
এ কারণে বাজেটের পর কোন পণ্যের দাম বাড়ছে বা কোন পণ্যের দাম কমছে, সেদিকেই সাধারণের দৃষ্টি থাকে। আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি আগামী বাজেট নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেছে।
সাধারণের কোনো চিন্তা না থাকলেও বাজেট নিয়ে সরকারকে চিন্তিত হতেই হয়। অন্তত বাজেটে উল্লিখিত বরাদ্দের অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। বাংলাদেশকে এ বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য নির্ভর করতে হয় দাতা সংস্থার ওপর। সেখানে প্রাপ্তিটা নিশ্চিত করা গেলে বরাদ্দ নিয়ে কোনো চিন্তা থাকে না। জাতীয় অর্থনীতিতে বাজেটের প্রভাব পড়ে। দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে বাজেটের ওপর। সিপিডি তাদের বাজেটপূর্ব আলোচনায় বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে। সিপিডির মতে, আগামী বাজেটের লক্ষ্য হওয়া উচিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ধারা বেগবান রাখা এবং ব্যক্তি বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়া। সর্বাধিক আলোচিত ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করে সিপিডি বলতে চেয়েছে, এটা অনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অযৌক্তিক। এ ব্যাপারে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলা হয়েছে, 'কেন একজন প্রকৃত করদাতা ২৫ শতাংশ কর দেবেন, যখন তিনি দেখেন যে দুই বছর পরপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করা যায়?' কালো টাকা সাদা করার সুযোগ যদি দিতেই হয়, তবে বিদ্যমান করের বাইরে নির্দিষ্ট হারে শাস্তিমূলক কর আরোপের মাধ্যমে তা দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে সিপিডি। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখে সিপিডির প্রস্তাবে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা এবং নূ্যনতম আয়কর দুই হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিপিডি বলেছে, বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে এর সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে কি না এবং সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে অর্থ বিভাগ থেকে সমীক্ষা করা প্রয়োজন।
সিপিডি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানের তিন শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর থেকে পাঁচটি বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে, অবকাঠামো ঠিক না হলে বিনিয়োগ বাড়বে না, দুর্নীতি দূর করার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে, সংঘাতের পথ পরিহার করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
সিপিডির প্রাক-বাজেট আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় আছে তাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশ বিনিয়োগবান্ধব না হলে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে না। এ ব্যাপারে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সাধারণের কোনো চিন্তা না থাকলেও বাজেট নিয়ে সরকারকে চিন্তিত হতেই হয়। অন্তত বাজেটে উল্লিখিত বরাদ্দের অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়। বাংলাদেশকে এ বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য নির্ভর করতে হয় দাতা সংস্থার ওপর। সেখানে প্রাপ্তিটা নিশ্চিত করা গেলে বরাদ্দ নিয়ে কোনো চিন্তা থাকে না। জাতীয় অর্থনীতিতে বাজেটের প্রভাব পড়ে। দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে বাজেটের ওপর। সিপিডি তাদের বাজেটপূর্ব আলোচনায় বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে। সিপিডির মতে, আগামী বাজেটের লক্ষ্য হওয়া উচিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ধারা বেগবান রাখা এবং ব্যক্তি বিনিয়োগকে উৎসাহ দেওয়া। সর্বাধিক আলোচিত ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করে সিপিডি বলতে চেয়েছে, এটা অনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অযৌক্তিক। এ ব্যাপারে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলা হয়েছে, 'কেন একজন প্রকৃত করদাতা ২৫ শতাংশ কর দেবেন, যখন তিনি দেখেন যে দুই বছর পরপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করা যায়?' কালো টাকা সাদা করার সুযোগ যদি দিতেই হয়, তবে বিদ্যমান করের বাইরে নির্দিষ্ট হারে শাস্তিমূলক কর আরোপের মাধ্যমে তা দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে সিপিডি। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখে সিপিডির প্রস্তাবে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা এবং নূ্যনতম আয়কর দুই হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিপিডি বলেছে, বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে এর সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে কি না এবং সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে অর্থ বিভাগ থেকে সমীক্ষা করা প্রয়োজন।
সিপিডি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাপানের তিন শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর থেকে পাঁচটি বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে, অবকাঠামো ঠিক না হলে বিনিয়োগ বাড়বে না, দুর্নীতি দূর করার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে, সংঘাতের পথ পরিহার করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
সিপিডির প্রাক-বাজেট আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় আছে তাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশ বিনিয়োগবান্ধব না হলে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যাবে না। এ ব্যাপারে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
No comments