বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি-আনসার বাহিনীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর হামলা, আহত ৮
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা বুধবার রাতে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মারধর করে এলাকা থেকে বিতাড়িত করেছে। ভাঙচুর করেছে আনসারদের একটি ক্যাম্প। এ ঘটনায় আনসারসহ আটজন আহত হয়েছে।
গ্রামবাসীর দাবি, ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তারা এলাকায় ক্যাম্প করতে দেবে না।
গ্রামবাসীর দাবি, ক্ষতিপূরণের পুরো টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তারা এলাকায় ক্যাম্প করতে দেবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আনসার বাহিনীর প্রায় দেড় শ সদস্য ভূমি অধিগ্রহণ এলাকায় ক্যাম্প স্থাপনে বড়পুকুরিয়া বাজারে গেলে গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে তারা বড়পুকুরিয়া বাজারের উত্তর ধারে নির্ধারিত আনসার ক্যাম্পটি ভাঙচুর করে। দুটি আধাপাকা ভবনের দরজা-জানালা ভাঙচুর শেষে লুট করে। এ ছাড়া সেখানকার প্রায় ১৫টি গাছও কেটে নিয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি পুলিশ ফাঁড়ির (তদন্ত কেন্দ্র) দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালেক জানান, দুটি বাসযোগে আনসার সদস্যরা বড়পুকুরিয়া বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসী হামলা চালিয়ে বাস দুটো ভাঙচুর করে। এতে বাসচালক ও তাঁর সহকারী ছাড়াও পাঁচজন আনসার আহত হন। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুজিব-উল-ফেরদৌস বলেন, কী কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আনসার সদস্যদের পাঠানো হয়েছে তা কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ ভালো জানে না। তবে তারা সম্ভবত অধিগ্রহণ এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে আনসার বাহিনী নিয়োগ করতে চেয়েছিল।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার রিং করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পের সীমানাপ্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়া ও ইটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণের সব পাওনা পরিশোধ না করেই পুলিশ ও আনসার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদের চক্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু পুরো টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তারা এলাকায় কোনো ক্যাম্প করতে দেবে না।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রমজান আলী, শামসুল হকসহ একাধিক গ্রামবাসী বলেন, তালিকা অনুয়ায়ী ৩১৮ জন ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫৬ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া অবকাঠামো খাতের পাওনাও পরিশোধ করা হয়নি। এসব ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হলে তারা স্বেচ্ছায় চলে যাব।
পার্বতীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত আলী জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, ভূগর্ভস্থ খনন পদ্ধতিতে কয়লা তোলার কারণে খনি এলাকার পার্শ্ববর্তী ১০ গ্রামের ৬২৭ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক বিতরণের কাজ চলছে। ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চেক বিতরণ শুরু হয়। সে সময় জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালের ২২ নভেম্বরের মধ্যে সব ক্ষতিগ্রস্তকে অধিগ্রহণের চেক দেওয়া হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি পুলিশ ফাঁড়ির (তদন্ত কেন্দ্র) দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালেক জানান, দুটি বাসযোগে আনসার সদস্যরা বড়পুকুরিয়া বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসী হামলা চালিয়ে বাস দুটো ভাঙচুর করে। এতে বাসচালক ও তাঁর সহকারী ছাড়াও পাঁচজন আনসার আহত হন। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুজিব-উল-ফেরদৌস বলেন, কী কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আনসার সদস্যদের পাঠানো হয়েছে তা কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ ভালো জানে না। তবে তারা সম্ভবত অধিগ্রহণ এলাকার রক্ষণাবেক্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখানে আনসার বাহিনী নিয়োগ করতে চেয়েছিল।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার রিং করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পের সীমানাপ্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়া ও ইটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভূমি অধিগ্রহণের সব পাওনা পরিশোধ না করেই পুলিশ ও আনসার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদের চক্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু পুরো টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তারা এলাকায় কোনো ক্যাম্প করতে দেবে না।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রমজান আলী, শামসুল হকসহ একাধিক গ্রামবাসী বলেন, তালিকা অনুয়ায়ী ৩১৮ জন ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৫৬ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া অবকাঠামো খাতের পাওনাও পরিশোধ করা হয়নি। এসব ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হলে তারা স্বেচ্ছায় চলে যাব।
পার্বতীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত আলী জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, ভূগর্ভস্থ খনন পদ্ধতিতে কয়লা তোলার কারণে খনি এলাকার পার্শ্ববর্তী ১০ গ্রামের ৬২৭ দশমিক ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক বিতরণের কাজ চলছে। ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চেক বিতরণ শুরু হয়। সে সময় জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালের ২২ নভেম্বরের মধ্যে সব ক্ষতিগ্রস্তকে অধিগ্রহণের চেক দেওয়া হবে।
No comments