এভাবে আর চলতে দেওয়া উচিত নয়-টিআরের গম কে খায়
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারি কর্মসূচিতে যে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে, তার কিছু দৃষ্টান্ত পাওয়া গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে। দুর্নীতির কায়দাগুলো বেশ প্রতারণাপূর্ণ। যেমন, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ‘শ্রী লোকনাথ মন্দির’ নামে একটি মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য টিআর কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক টন গম। এই মন্দির কমিটিতে একজনও হিন্দু নেই; সভাপতিসহ সব সদস্যই মুসলমান।
এতেই শেষ নয়, নথিপত্রে দেওয়া মন্দিরের ঠিকানা অনুযায়ী মন্দিরটির খোঁজ করতে গিয়ে প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা ওই নামে কোনো মন্দিরের অস্তিত্বই খুঁজে পাননি। প্রতারক দুর্নীতিবাজদের এহেন দুর্বুদ্ধি ও দুঃসাহস দেখে তাজ্জব বনে যেতে হয়।
কিন্তু এমন দৃষ্টান্ত এত বেশি যে এটা আর তাজ্জব হওয়ার বিষয় নয়। চট্টগ্রামের ওই একটি উপজেলাতেই আরও অনেক সংগঠনের নামে টিআর কর্মসূচির বরাদ্দ গমের বিপরীতে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, যেসব সংগঠনের আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই। আর এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যারা সরকারের একটি ভালো কর্মসূচি পণ্ড করে নিজেদের পকেট ভরছে, তাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে অস্তিত্বহীন ভুয়া সংগঠনের নামে যারা টিআরের বরাদ্দ তছরুপ করছে, তারা কি আসলেই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক?
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পটিয়া উপজেলায় টিআরের গমের বিপরীতে টাকা তুলে নিয়ে খরচ করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদের সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে, কোনো অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য নয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ এ অভিযোগ অস্বীকার করলে কী কবে, সাংসদের সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সেই টাকা তাঁরা নিজেরা খরচ করতে পারেননি, দলের নেতারাই তাঁদের হয়ে খরচ করেছেন। প্রতারণার পর প্রতারণা! প্রতারণায় কে কাকে টেক্কা দেবে, সেই প্রতিযোগিতা চলে!
শুধু চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় নয়, সারা দেশেই টিআর কর্মসূচির বরাদ্দ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের হাতে তছরুপ হচ্ছে। এভাবে এই কর্মসূচি আর চলতে দেওয়া উচিত নয়। এসব বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
কিন্তু এমন দৃষ্টান্ত এত বেশি যে এটা আর তাজ্জব হওয়ার বিষয় নয়। চট্টগ্রামের ওই একটি উপজেলাতেই আরও অনেক সংগঠনের নামে টিআর কর্মসূচির বরাদ্দ গমের বিপরীতে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, যেসব সংগঠনের আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই। আর এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যারা সরকারের একটি ভালো কর্মসূচি পণ্ড করে নিজেদের পকেট ভরছে, তাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ইত্যাদি নাম ব্যবহার করে অস্তিত্বহীন ভুয়া সংগঠনের নামে যারা টিআরের বরাদ্দ তছরুপ করছে, তারা কি আসলেই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক?
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পটিয়া উপজেলায় টিআরের গমের বিপরীতে টাকা তুলে নিয়ে খরচ করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদের সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে, কোনো অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য নয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ এ অভিযোগ অস্বীকার করলে কী কবে, সাংসদের সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সেই টাকা তাঁরা নিজেরা খরচ করতে পারেননি, দলের নেতারাই তাঁদের হয়ে খরচ করেছেন। প্রতারণার পর প্রতারণা! প্রতারণায় কে কাকে টেক্কা দেবে, সেই প্রতিযোগিতা চলে!
শুধু চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় নয়, সারা দেশেই টিআর কর্মসূচির বরাদ্দ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের হাতে তছরুপ হচ্ছে। এভাবে এই কর্মসূচি আর চলতে দেওয়া উচিত নয়। এসব বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
No comments