এসএসসির প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুল-দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রশ্নপত্র সরবরাহে ভুল করার ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কয়েকজন কেন্দ্রসচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের শঙ্কা কাটছে না। কারণ, খারাপ পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি উত্তরপত্র মূল্যায়ন কীভাবে হয়, সেটি তাদের ভাবিয়ে তুলছে। গত বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বিভিন্ন জায়গায় পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে নতুন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও এ রকম অদল-বদল প্রশ্নপত্রে কিছুক্ষণ পরীক্ষা নেওয়ার পর আবার প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এ নিয়ে গতকাল গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর যেসব কেন্দ্রসচিব, শিক্ষক বা কর্মকর্তার অবহেলার কারণে প্রশ্নপত্র সরবরাহে এই ভুল হয়েছে, তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বোর্ড চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) এস এ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বোর্ড চেয়ারম্যানদের তিনটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে যেন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সতর্ক হওয়া।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তা ছাড়া কেন্দ্রসচিবদের কেউ যাতে ঘটনা চেপে না যান, সে জন্য প্রকৃত তথ্য জানাতে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান জানান, মূলত হল পরিদর্শকদের এই ভুলের জন্য কোনো পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বোর্ড শিক্ষার্থীদের পাশেই থাকবে এবং যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কুমিল্লা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী কেন্দ্রসচিবদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, ভুলের জন্য কুলাউড়া নবীনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব আমির হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মো. আবদুল মান্নান কেন্দ্র পরিদর্শন করে কেন্দ্রসচিবকে অব্যাহতি দেন।
দ্বিতীয় দিনে বহিষ্কার: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০টি বোর্ডে বহিষ্কার হয়েছে ২২ জন পরীক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক (মাদ্রাসা)। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জন দাখিলের, ছয়জন এসএসসি ভোকেশনালের এবং কুমিল্লায় দুই, যশোরে এক, বরিশালে দুই এবং দিনাজপুর বোর্ডে একজন। তিন পরীক্ষায় গতকাল অনুপস্থিত ছিল পাঁচ হাজার ১৫৭ জন।
এ নিয়ে গতকাল গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর যেসব কেন্দ্রসচিব, শিক্ষক বা কর্মকর্তার অবহেলার কারণে প্রশ্নপত্র সরবরাহে এই ভুল হয়েছে, তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বোর্ড চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) এস এ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে বোর্ড চেয়ারম্যানদের তিনটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভবিষ্যতে যেন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সতর্ক হওয়া।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তা ছাড়া কেন্দ্রসচিবদের কেউ যাতে ঘটনা চেপে না যান, সে জন্য প্রকৃত তথ্য জানাতে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান জানান, মূলত হল পরিদর্শকদের এই ভুলের জন্য কোনো পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বোর্ড শিক্ষার্থীদের পাশেই থাকবে এবং যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কুমিল্লা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী কেন্দ্রসচিবদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, ভুলের জন্য কুলাউড়া নবীনচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব আমির হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মো. আবদুল মান্নান কেন্দ্র পরিদর্শন করে কেন্দ্রসচিবকে অব্যাহতি দেন।
দ্বিতীয় দিনে বহিষ্কার: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০টি বোর্ডে বহিষ্কার হয়েছে ২২ জন পরীক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক (মাদ্রাসা)। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জন দাখিলের, ছয়জন এসএসসি ভোকেশনালের এবং কুমিল্লায় দুই, যশোরে এক, বরিশালে দুই এবং দিনাজপুর বোর্ডে একজন। তিন পরীক্ষায় গতকাল অনুপস্থিত ছিল পাঁচ হাজার ১৫৭ জন।
No comments