মুক্ত আলোয় আমির

কিছুদিন ধরে চলা গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। ভালো আচরণের জন্য অর্ধেক সাজা ভোগ করেই পার পেয়ে গেলেন মোহাম্মদ আমির। সর্বশেষ ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের ‘কীর্তিতে’ জেলে যেতে হয়েছিল, ছাড়া পেলেন আরেকটি ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের মাঝামাঝি।


গত ৩ নভেম্বর লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত দুর্নীতি ও প্রতারণার জন্য ছয় মাসের জেল দিয়েছিলেন আমিরকে। তিন মাস শেষেই পরশু ছাড়া পেয়েছেন ডোরসেটের পোর্টল্যান্ড ইয়াং অফেন্ডারস ইনস্টিটিউশন থেকে।
ইংল্যান্ডের আইন অনুযায়ী শাস্তির অর্ধেক মেয়াদ শেষে ছাড়া পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফও। আচরণ ভালো হলে হয়তো মেয়াদের আগে ছাড়া পেতে পারেন ওই দুজনও। আমিরের সঙ্গেই আড়াই বছরের জেল হয়েছিল বাটের, আসিফের এক বছর।
মুক্ত আলোয় ফিরলেও এখনই মাঠে ফিরতে পারছেন না আমির। আইসিসির পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা যে ওঠেনি! আপাতত তাই দেশেও ফিরছেন না। আইসিসির নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস) আপিল করার কথা ভাবছেন বাঁহাতি পেসার। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আরও সপ্তাহ দুয়েক থাকবেন ইংল্যান্ডেই। থাকতে কোনো সমস্যা হবে না, ভিসার মেয়াদ আছে মার্চের শেষ পর্যন্ত।
বাট-আমিরদের নিষেধাজ্ঞার প্রায় দেড় বছর অবশ্য ইতিমধ্যেই চলে গেছে। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দোহায় আইসিসির ট্রাইব্যুনাল স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় তিনজনকেই পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে। সঙ্গে আরও পাঁচ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় বাটকে, আসিফকে দুই বছর। তবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শুরু হয়েছে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে, যখন প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাঁদের। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে আবার মাঠে নামতে পারবেন তাঁরা। তবে আমিরের পাশাপাশি সিএএসে আপিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন আসিফও।
ছাড়া পাওয়ার পর আমিরের কাছ থেকে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এক বিবৃতি দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী পেসার, যাতে নিজেকে নিয়ে কোনো কথা ছিল না, ‘দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে আমি উচ্ছ্বসিত। মনেপ্রাণে আমি সব সময় দলের সঙ্গেই থাকি। দলের সবার জন্য আমার শুভকামনা রইল। আপাতত আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ তবে আমিরের আইনজীবী আসিফ বাজওয়া জানিয়েছেন দ্রুত মাঠে ফিরতে মরিয়া ১৪ টেস্টে ৫১ উইকেট নেওয়া পেসার, ‘যা হয়েছে, সবকিছুই এখন আমিরের আওতার বাইরে। ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে আমার, মনে হয়েছে ও খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে।’
আমিরের বড় ভাই ইজাজ জানিয়েছেন, পরিবারের সবাই আমিরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তবে আমিরের ভাবনায় এখন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানো। যদিও লন্ডনের আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পর সিএএসে আপিল করা কতটা কার্যকর হবে, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। এএফপি, ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.