কারখানায় গ্যাস সংকটের জন্য পেট্রোবাংলার তীব্র সমালোচনা
কারখানায় পরিমাণমতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় পেট্রোবাংলার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে দেশের বস্ত্রখাতের ব্যবসায়ীদের তিনটি প্রধান সংগঠন। তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতি (বিজিএমইএ), নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতি (বিকেএমইএ) এবং বস্ত্র কারখানা মালিকদের সমিতি (বিটিএমএ) গতকাল বৃহস্পতিবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে পেট্রোবাংলার সমালোচনা করেন।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, যে পরিমাণ গ্যাসের জন্য সরকারকে টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে, সেই পরিমাণ গ্যাস কারখানায় আসছে না। এ অবস্থায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
দেশের শিল্প ও বস্ত্রখাত নিয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবন মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করে তিন সমিতির নেতারা। এ সময় রপ্তানিসংক্রান্ত বিভিন্ন সূচকের অবনতির কথা উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, এতে তৈরি পোশাক খাতে ঝুঁকি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, গাজীপুর, কোনাবাড়ী, নরসিংদীসহ পোশাক শিল্পের কেন্দ্রীভূত এলাকাগুলোতে সম্প্রতি গ্যাসের চাপ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এতে কারখানার ডাইং ও ফিনিশিং প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। পেট্রোবাংলার সঠিক সিদ্ধান্ত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে শিল্পখাত হুমকির মুখে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, গত জুলাই মাসে শিল্পখাতে যে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৮৭ এমসিএম, সেখানে নভেম্বরে তা কমে হয় ২৭৬ এমসিএম। অন্যদিকে একই সময়ে সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ ১৩৯ থেকে ১৬৭ এমসিএম-এ উন্নীত করা হয়েছে।
এই উপাত্ত তুলে ধরে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরকার কি কলকারখানা চালাবে না কি সার কারখানা চালাবে তা ঠিক করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বস্ত্র ও পোশাকখাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ ৯২৫ কোটি ডলার। কিন্তু এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ কম হয়েছে টাকার অংকে যা দুই হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।
আবার নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ইউডি কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। আগামী ফেব্রুয়ারি, মার্চ থেকে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে।
সফিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ব মন্দায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো যখন অস্তিত্ব রক্ষায় যুদ্ধ করে যাচ্ছে তখনই এই শিল্পের বিকাশ রূখতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তৎপর হয়ে পড়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি তৈরি পোশাকখাতের জন্য বর্তমান বীমা প্রিমিয়াম হার বাতিল করে আগের প্রিমিয়াম বহাল রাখা, ব্যাংক ঋণের সুদহার সহনীয় রাখা, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল কমানো, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করতে না পারলে একটি কেন্দ্রীয় শিল্পনালা স্থাপনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
সফিউল ইসলাম বলেন, ‘সরকার দ্রুততার সঙ্গে ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজন করেছে। আমরা তার প্রশংসা করি। কিন্তু গ্যাসের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার পারফরমেন্সে আমরা হতাশ। আমাদের বলা হয়েছিল, মনোহরদী-ধনুয়া-এলেঙ্গায় সংযোগ লাইন টানলে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাবে । কিন্তু তা হয়নি। পেট্রোবাংলার যথেষ্ট টাকা ছিল, কিন্তু তারা খরচ করতে পারেনি।’
বিটিএমএ-এর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন বলেন, ‘আমরা ১০ পিসিই গ্যাসের জন্য বিল পরিশোধ করলেও পাচ্ছি তার চেয়ে অনেক কম। পণ্য না পেয়েই মূল্য পরিশোধ করছি। গ্যাসের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভলিউম কন্ট্রোল বসানো হয়েছে। কিন্তু তা চালু করা হচ্ছে না।’
শ্রম আইন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আইনটি (শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে মুনাফার পাচ শতাংশ বরাদ্দ রাখা সংক্রান্ত) যদি ভালোই হতো তাহলে ১৯৬৮ সালের প্রণীত আইনটি এতোদিন কেন বাস্তবায়ন করা হলো না?’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম ও সহ-সভাপতি আসলাম সানী
দেশের শিল্প ও বস্ত্রখাত নিয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবন মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করে তিন সমিতির নেতারা। এ সময় রপ্তানিসংক্রান্ত বিভিন্ন সূচকের অবনতির কথা উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, এতে তৈরি পোশাক খাতে ঝুঁকি বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, গাজীপুর, কোনাবাড়ী, নরসিংদীসহ পোশাক শিল্পের কেন্দ্রীভূত এলাকাগুলোতে সম্প্রতি গ্যাসের চাপ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এতে কারখানার ডাইং ও ফিনিশিং প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। পেট্রোবাংলার সঠিক সিদ্ধান্ত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে শিল্পখাত হুমকির মুখে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, গত জুলাই মাসে শিল্পখাতে যে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২৮৭ এমসিএম, সেখানে নভেম্বরে তা কমে হয় ২৭৬ এমসিএম। অন্যদিকে একই সময়ে সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ ১৩৯ থেকে ১৬৭ এমসিএম-এ উন্নীত করা হয়েছে।
এই উপাত্ত তুলে ধরে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরকার কি কলকারখানা চালাবে না কি সার কারখানা চালাবে তা ঠিক করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বস্ত্র ও পোশাকখাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ ৯২৫ কোটি ডলার। কিন্তু এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ কম হয়েছে টাকার অংকে যা দুই হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।
আবার নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ইউডি কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। আগামী ফেব্রুয়ারি, মার্চ থেকে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে।
সফিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ব মন্দায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো যখন অস্তিত্ব রক্ষায় যুদ্ধ করে যাচ্ছে তখনই এই শিল্পের বিকাশ রূখতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তৎপর হয়ে পড়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি তৈরি পোশাকখাতের জন্য বর্তমান বীমা প্রিমিয়াম হার বাতিল করে আগের প্রিমিয়াম বহাল রাখা, ব্যাংক ঋণের সুদহার সহনীয় রাখা, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল কমানো, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করতে না পারলে একটি কেন্দ্রীয় শিল্পনালা স্থাপনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
সফিউল ইসলাম বলেন, ‘সরকার দ্রুততার সঙ্গে ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজন করেছে। আমরা তার প্রশংসা করি। কিন্তু গ্যাসের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার পারফরমেন্সে আমরা হতাশ। আমাদের বলা হয়েছিল, মনোহরদী-ধনুয়া-এলেঙ্গায় সংযোগ লাইন টানলে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাবে । কিন্তু তা হয়নি। পেট্রোবাংলার যথেষ্ট টাকা ছিল, কিন্তু তারা খরচ করতে পারেনি।’
বিটিএমএ-এর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন বলেন, ‘আমরা ১০ পিসিই গ্যাসের জন্য বিল পরিশোধ করলেও পাচ্ছি তার চেয়ে অনেক কম। পণ্য না পেয়েই মূল্য পরিশোধ করছি। গ্যাসের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভলিউম কন্ট্রোল বসানো হয়েছে। কিন্তু তা চালু করা হচ্ছে না।’
শ্রম আইন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আইনটি (শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে মুনাফার পাচ শতাংশ বরাদ্দ রাখা সংক্রান্ত) যদি ভালোই হতো তাহলে ১৯৬৮ সালের প্রণীত আইনটি এতোদিন কেন বাস্তবায়ন করা হলো না?’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম ও সহ-সভাপতি আসলাম সানী
No comments