পদ্মায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার by রাশেদ রায়হান
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলাধীন পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় লোকজন। এতে মাছের প্রজনন ও অবাধ বিচরণ এবং নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চারদলীয় জোট সরকারের আমল থেকে শুরু করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন ধরে পদ্মায় বেড়া দিয়ে মাছ ধরছে। গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ডাকাতপাড়া, কিয়ামদ্দিনপাড়া,
উত্তর দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তারমোড় এলাকায় এসব বেড়া দেখা গেছে। মাঝেমধ্যে মৎস্য কার্যালয় বেড়া উচ্ছেদে অভিযান চালালেও চক্রটি মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর দৌলতদিয়ায় নদীর এক প্রান্তে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছে লোকজন। বেড়ার সঙ্গে ঘনকনা, ইলিশ মারা, সুতি ও কারেন্ট জাল পাতা। এতে নৌকা চলাচলেও সমস্যা হচ্ছিল।
মাছ শিকারে ব্যস্ত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুঞ্চির সামাদ আলী খাঁ (৫৫)। তিনি বলেন, ‘দেড় মাস আগে প্রায় ৩৫০টি বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছি। এতে প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে দিনে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার মাছ পেতাম। এখন মাস খানেক ধরে ৫০০-৬০০ টাকার ওপর মাছ পাচ্ছি না।’
সেখানে মাছ ধরায় সামাদ আলীর সঙ্গে জয়নাল মণ্ডলসহ তিনজন অংশীদার রয়েছেন। নদী দখল করে বেড়া দেওয়া প্রসঙ্গে জয়নাল বলেন, ‘পুরো নদী আটকাইনি। নৌকা চলাচলের জন্য এক পাশ খোলা আছে।’
পদ্মা ঘুরে দেখা গেছে, জয়নালদের বাঁশের বেড়ার কয়েক শ গজ উজানে কিয়ামদ্দিনপাড়া এলাকায় ছমির মণ্ডলসহ পাঁচ-ছয়জন, তার উজানে অন্তারমোড় এলাকায় রাজবাড়ীর দারোগ আলী এবং পাবনার বেশ কয়েকজন মিলে বিশাল তিনটি বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরছে লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ছোট আকারের একটি বাঁশের বেড়া তৈরিতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা এবং বড় আকারের বেড়া তৈরিতে ছয় থেকে আট লাখ টাকা ব্যয় হয়। টাকার জোগান দেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এভাবে নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদ আহম্মেদ। তিনি বলেন, ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, নদীতে আড়াআড়িভাবে বেড়া, বাঁধ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ ধরা যাবে না। এ কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ওই ব্যক্তিকে প্রথমবার ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বেড়া দিয়ে মাছ ধরলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ও বিচরণ এবং নৌ-চলাচল ব্যাহত হয়।
একই ধরনের কথা বলেন গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদী, খাল-বিলে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার নিষেধ। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর দৌলতদিয়ায় নদীর এক প্রান্তে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছে লোকজন। বেড়ার সঙ্গে ঘনকনা, ইলিশ মারা, সুতি ও কারেন্ট জাল পাতা। এতে নৌকা চলাচলেও সমস্যা হচ্ছিল।
মাছ শিকারে ব্যস্ত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুঞ্চির সামাদ আলী খাঁ (৫৫)। তিনি বলেন, ‘দেড় মাস আগে প্রায় ৩৫০টি বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছি। এতে প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে দিনে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার মাছ পেতাম। এখন মাস খানেক ধরে ৫০০-৬০০ টাকার ওপর মাছ পাচ্ছি না।’
সেখানে মাছ ধরায় সামাদ আলীর সঙ্গে জয়নাল মণ্ডলসহ তিনজন অংশীদার রয়েছেন। নদী দখল করে বেড়া দেওয়া প্রসঙ্গে জয়নাল বলেন, ‘পুরো নদী আটকাইনি। নৌকা চলাচলের জন্য এক পাশ খোলা আছে।’
পদ্মা ঘুরে দেখা গেছে, জয়নালদের বাঁশের বেড়ার কয়েক শ গজ উজানে কিয়ামদ্দিনপাড়া এলাকায় ছমির মণ্ডলসহ পাঁচ-ছয়জন, তার উজানে অন্তারমোড় এলাকায় রাজবাড়ীর দারোগ আলী এবং পাবনার বেশ কয়েকজন মিলে বিশাল তিনটি বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরছে লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ছোট আকারের একটি বাঁশের বেড়া তৈরিতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা এবং বড় আকারের বেড়া তৈরিতে ছয় থেকে আট লাখ টাকা ব্যয় হয়। টাকার জোগান দেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এভাবে নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদ আহম্মেদ। তিনি বলেন, ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, নদীতে আড়াআড়িভাবে বেড়া, বাঁধ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মাছ ধরা যাবে না। এ কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ওই ব্যক্তিকে প্রথমবার ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বেড়া দিয়ে মাছ ধরলে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন ও বিচরণ এবং নৌ-চলাচল ব্যাহত হয়।
একই ধরনের কথা বলেন গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদী, খাল-বিলে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার নিষেধ। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments