আরও এক বীরপ্রতীকের প্রস্থান by সুব্রত ঘোষ
ঝরে গেল আরও একটি নক্ষত্র। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক এনামুল হক চৌধুরী বীরপ্রতীক। ১৯ জুলাই ১৯৪৮, সিলেট জেলার সুলতানপুর গ্রামে জন্ম এনামুল হক চৌধুরীর। ১৯৬৩ সালে সিলেট সরকারি হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৬৫ সালে মুরারী চাঁদ কলেজ থেকে আইকম পাস করেন।
১৯৬৮ সালে তিনি বিকম ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগ প্রতিনিধি হিসেবে মুরারী চাঁদ কলেজ ছাত্র সংসদের সদস্য এবং ১৯৬৪ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৪ সালে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থী মিস ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৫ সালে মদনমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে পুনরায় ওই কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় ১৯৬৬ সালে কারাবরণ করেন। কারামুক্তির পর ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৮ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনে সিলেট জেলায় নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে ৪নং সেক্টরের সংগঠক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ৫নং সেক্টরের বালট সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৭৩ সালে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান ছিলেন। ১৯৭৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক মনোনীত হন।
তিনি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সদস্য ও সিলেট ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। রেডক্রসের মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য মানব ও সমাজসেবার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সিলেট বিভাগীয় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিলেট থেকে দু'বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কালে কালে যুগে যুগে বাংলা মায়ের যেসব দামাল ছেলে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে নিজের জীবনকে হেলায় তুচ্ছ করেছেন; গণমানুষের কল্যাণে সময়ের সাহসী সন্তান এনামুল হক চৌধুরী তাদেরই একজন। আমরা এই মহান বীরের প্রস্থানে শোকাহত-মর্মাহত। তার
আদর্শে অনুপ্রাণিত হোক আমাদের নতুন
দিনের পথচলা।
তিনি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সদস্য ও সিলেট ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। রেডক্রসের মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য মানব ও সমাজসেবার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সিলেট বিভাগীয় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিলেট থেকে দু'বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কালে কালে যুগে যুগে বাংলা মায়ের যেসব দামাল ছেলে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে নিজের জীবনকে হেলায় তুচ্ছ করেছেন; গণমানুষের কল্যাণে সময়ের সাহসী সন্তান এনামুল হক চৌধুরী তাদেরই একজন। আমরা এই মহান বীরের প্রস্থানে শোকাহত-মর্মাহত। তার
আদর্শে অনুপ্রাণিত হোক আমাদের নতুন
দিনের পথচলা।
No comments