মুক্তিযোদ্ধা ২: ০ ফরাশগঞ্জ-জয়ে শুরু মুক্তিযোদ্ধার
৮৫ মিনিট পর্যন্ত গোলের দেখা নেই। ডাগ-আউটে দাঁড়িয়ে অস্থির মুক্তিযোদ্ধা কোচ শফিকুল ইসলাম। হঠাৎ করেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। শেষ পাঁচ মিনিটে দু-দুটি গোল পেয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন শফিকুল। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফরাশগঞ্জকে ২-০ গোলে হারিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শুরু করল তাদের লিগ অভিযান।
দুই ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল, লিমা, নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে, এমিলি ও মিথুনদের নিয়ে শক্তিশালী দলই গড়েছে মুক্তিযোদ্ধা। বড় বাজেটের দলটি গত মাসে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে হেরেছে বিজেএমসির কাছে। গত বছরের স্বাধীনতা কাপজয়ী ফরাশগঞ্জের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে ড্র করে ‘টাইব্রেক ভাগ্যে’ ওঠে শেষ চারে। সব মিলিয়ে ম্যাচের আগে একটু স্নায়ুচাপেই ভুগছিল বাংলাদেশ লিগের গতবারের রানার্সআপরা।
কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল অন্য রকম, দুর্বার মুক্তিযোদ্ধা। পুরো আধিপত্য ছিল তাদেরই, যদিও গোলমুখটা খুলতে পারছিল না। অবশ্য প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তারা পেয়েছিল। ১০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লিমার শট দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেন ফরাশগঞ্জ গোলরক্ষক সুলতান। দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় সুযোগ পেয়েছিল ফরাশগঞ্জ। অধিনায়ক জুয়েল রানার জোরালো শট কোনো রকম কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান মুক্তির গোলরক্ষক মামুন। তাদের খেলায় গতি বাড়ে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে শাকিল, রাজন ও আরিফুল মাঠে নামার পর। বেশ কয়েকবার আক্রমণে গিয়েও গোল পাচ্ছিল না লিমা-সানডেরা। শেষ পর্যন্ত ৮৬ মিনিটে সানডের ব্যাকহিলে বল পেয়ে দারুণ এক গোল করেন লিমা। মিনিট দুয়েক পর আবারও আক্রমণ। এবার ‘থালায় সাজানো’ বলে গোল করেন এমিলি। উৎস ছিলেন তাঁরই সহোদর শাকিল।
জয় দিয়ে লিগ শুরু করতে পারায় দারুণ খুশি মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল, ‘ফেডারেশন কাপে আমরা ভালো করতে পারিনি। যা-ই হোক লিগটা জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে খুশি। আমরা অনেক আগেই গোল পেতাম। কিন্তু ফরাশগঞ্জ আজ (কাল) নেতিবাচক ফুটবল খেলেছে।’ যদিও ফরাশগঞ্জ কোচ কামাল বাবু নেতিবাচক ফুটবলের কথা অস্বীকার করেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার শক্তিকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। ওরা খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরা একটু রক্ষণাত্মক খেলেছি। কিন্তু খেলা চলে স্টপওয়াচে। আমরা চাইলেই কি খেলা থামিয়ে রাখতে পারি? আমাদের লক্ষ্য ছিল এক পয়েন্ট নেওয়া। কিন্তু সেটা পারিনি।’
মুক্তিযোদ্ধা: মামুন, রেজা (শাকিল), মারুফ (রাজন), মামুনুল, টিটু (আরিফুল), ডেমি, রাফায়েল, লিমা, সানডে, এমিলি, মিঠুন।
ফরাশগঞ্জ: সুলতান, মামুন, মনি, জহির, সাইদ, জুয়েল, সাব্বির, পিটার, মারিও, রিদন (পাশবন), জুনাপিউ।
কিন্তু ম্যাচে দেখা গেল অন্য রকম, দুর্বার মুক্তিযোদ্ধা। পুরো আধিপত্য ছিল তাদেরই, যদিও গোলমুখটা খুলতে পারছিল না। অবশ্য প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তারা পেয়েছিল। ১০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লিমার শট দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেন ফরাশগঞ্জ গোলরক্ষক সুলতান। দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় সুযোগ পেয়েছিল ফরাশগঞ্জ। অধিনায়ক জুয়েল রানার জোরালো শট কোনো রকম কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান মুক্তির গোলরক্ষক মামুন। তাদের খেলায় গতি বাড়ে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে শাকিল, রাজন ও আরিফুল মাঠে নামার পর। বেশ কয়েকবার আক্রমণে গিয়েও গোল পাচ্ছিল না লিমা-সানডেরা। শেষ পর্যন্ত ৮৬ মিনিটে সানডের ব্যাকহিলে বল পেয়ে দারুণ এক গোল করেন লিমা। মিনিট দুয়েক পর আবারও আক্রমণ। এবার ‘থালায় সাজানো’ বলে গোল করেন এমিলি। উৎস ছিলেন তাঁরই সহোদর শাকিল।
জয় দিয়ে লিগ শুরু করতে পারায় দারুণ খুশি মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল, ‘ফেডারেশন কাপে আমরা ভালো করতে পারিনি। যা-ই হোক লিগটা জয় দিয়ে শুরু করতে পেরে খুশি। আমরা অনেক আগেই গোল পেতাম। কিন্তু ফরাশগঞ্জ আজ (কাল) নেতিবাচক ফুটবল খেলেছে।’ যদিও ফরাশগঞ্জ কোচ কামাল বাবু নেতিবাচক ফুটবলের কথা অস্বীকার করেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার শক্তিকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। ওরা খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরা একটু রক্ষণাত্মক খেলেছি। কিন্তু খেলা চলে স্টপওয়াচে। আমরা চাইলেই কি খেলা থামিয়ে রাখতে পারি? আমাদের লক্ষ্য ছিল এক পয়েন্ট নেওয়া। কিন্তু সেটা পারিনি।’
মুক্তিযোদ্ধা: মামুন, রেজা (শাকিল), মারুফ (রাজন), মামুনুল, টিটু (আরিফুল), ডেমি, রাফায়েল, লিমা, সানডে, এমিলি, মিঠুন।
ফরাশগঞ্জ: সুলতান, মামুন, মনি, জহির, সাইদ, জুয়েল, সাব্বির, পিটার, মারিও, রিদন (পাশবন), জুনাপিউ।
No comments