সম্মানিত খতিবদের প্রতি নিবেদন by আবু সাঈদ
আমরা মুসলমান হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি ও শুক্রবারে জুমার নামাজে শরিক হই। ইসলাম আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম। তাই একজন সাধারণ মুসলি্ল হিসেবে আমি প্রতি জুমায় নিজের ও অন্য মুসলি্লদের জন্য সম্মানিত ইমাম ও খতিবের কাছে বিনীতভাবে একটি 'বাড়ির কাজ' দাবি করছি।
প্রতি জুমায় পরের জুমায় আলোচনার সূত্র হিসেবে কোরআনের যে আয়াতটি নির্বাচন করা হয়েছে, তা তিনি উল্লেখ করে প্রত্যেক মুসলি্লকে সাধ্যমতো সংশ্লিষ্ট আয়াতটি অর্থসহ শিখে আসতে বলতে পারেন। সপ্তাহজুড়ে একটিমাত্র আয়াত অর্থসহ ব্যাখ্যা-বিশেল্গষণ শেখা কঠিন কিছু নয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেক আগেই। বর্তমানে আমরা ইমান ও দীনের দাবি মেটাতে গিয়ে নায়েবে-নবী হিসেবে আলেম-ওলামা তথা ইমাম সাহেবদেরই আস্থাবান মানুষ বলে সবচেয়ে কাছে পাই। তাই তাদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও দাবি অনেক।
বর্তমানে আমাদের নামাজসহ ইবাদত-বন্দেগিগুলো আচার-অনুষ্ঠানসর্বস্ব হয়ে গেছে। আমরা অনেকেই নামাজ 'পড়নেওয়ালা', ধর্মের নামে অনেক কিছু 'করনেওয়ালা' কিন্তু কোরআন 'পড়নেওয়ালা' নই। কোরআন অনেকের কাছেই পরিত্যাজ্য, যা কাম্য নয়। কোরআনকে আমজনতা থেকে অত্যন্ত সার্থকভাবে কুক্ষিগত করে ইসলামের নামে নানা ধরনের বিভ্রান্তি জনগণকে গেলানো হচ্ছে যুগ যুগ ধরে_ পার্থিব স্বার্থ হাসিলের আশায়।
কোরআন নিয়ে ভাবার সময় অনেক মুসলমানের নেই। কেননা তাদের হৃদয়ে তালা পড়ে গেছে। এ সঙ্গিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিদ্যমান ব্যবস্থাপনার মধ্যে কোনোরকম বাড়তি আচার-আয়োজন ছাড়াই ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে জানাতে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। জুমায় হাজির হয়ে আমরা খুতবা ও খুতবা-পূর্ব বয়ান শুনি। নামাজ শেষে কোনো ধরনের দায় ছাড়াই আমরা ঘরে ফিরি। ঠিক এ জায়গাতেই কোরআনের সঙ্গে মুসলি্লদের জুড়ে দেওয়া সম্ভব। শুধু কয়েকটি কথার উচ্চারণ মাত্র। যে কথাগুলো সব মুসলি্লকে সচকিত ও উজ্জীবিত করবে।
তারা নিজেকে কোরআনের ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভাববে এবং বুঝবে যে, পরের জুমায় যে আয়াতের আলোচনা হবে তা নিয়ে তারও চিন্তা-ভাবনা করার অধিকার রয়েছে। পুরো সপ্তাহে মাত্র একটি আয়াত নিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ অনেকেরই হবে। ব্যাপক মানুষ যখন নির্দিষ্ট এক বিষয়ের অধ্যয়ন শেষে হাজির হবেন, ইমাম সাহেব তখন তার সামনে অধিকতর সমঝদার শ্রোতামণ্ডলীকে পাবেন। দ্বীনের আলোচনায় তখন প্রাণ ফিরে আসবে। খুতবা ও খুতবা-পূর্ব আলোচনা তখন আর আগের মতো একতরফা হবে না, বক্তব্যের বিষয়গুলো শ্রোতার অন্তরে অনুরণিত হতে থাকবে।
এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় আল্লাহ-রাসূলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা তৈরি হবে। ফলে 'কোরআন পরিত্যাগকারী'র অভিযোগ থেকে আমাদের মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ দেশে সব ইমাম-খতিবকে এ মহতী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
khan_books@yahoo.com
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেক আগেই। বর্তমানে আমরা ইমান ও দীনের দাবি মেটাতে গিয়ে নায়েবে-নবী হিসেবে আলেম-ওলামা তথা ইমাম সাহেবদেরই আস্থাবান মানুষ বলে সবচেয়ে কাছে পাই। তাই তাদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও দাবি অনেক।
বর্তমানে আমাদের নামাজসহ ইবাদত-বন্দেগিগুলো আচার-অনুষ্ঠানসর্বস্ব হয়ে গেছে। আমরা অনেকেই নামাজ 'পড়নেওয়ালা', ধর্মের নামে অনেক কিছু 'করনেওয়ালা' কিন্তু কোরআন 'পড়নেওয়ালা' নই। কোরআন অনেকের কাছেই পরিত্যাজ্য, যা কাম্য নয়। কোরআনকে আমজনতা থেকে অত্যন্ত সার্থকভাবে কুক্ষিগত করে ইসলামের নামে নানা ধরনের বিভ্রান্তি জনগণকে গেলানো হচ্ছে যুগ যুগ ধরে_ পার্থিব স্বার্থ হাসিলের আশায়।
কোরআন নিয়ে ভাবার সময় অনেক মুসলমানের নেই। কেননা তাদের হৃদয়ে তালা পড়ে গেছে। এ সঙ্গিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিদ্যমান ব্যবস্থাপনার মধ্যে কোনোরকম বাড়তি আচার-আয়োজন ছাড়াই ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে জানাতে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। জুমায় হাজির হয়ে আমরা খুতবা ও খুতবা-পূর্ব বয়ান শুনি। নামাজ শেষে কোনো ধরনের দায় ছাড়াই আমরা ঘরে ফিরি। ঠিক এ জায়গাতেই কোরআনের সঙ্গে মুসলি্লদের জুড়ে দেওয়া সম্ভব। শুধু কয়েকটি কথার উচ্চারণ মাত্র। যে কথাগুলো সব মুসলি্লকে সচকিত ও উজ্জীবিত করবে।
তারা নিজেকে কোরআনের ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভাববে এবং বুঝবে যে, পরের জুমায় যে আয়াতের আলোচনা হবে তা নিয়ে তারও চিন্তা-ভাবনা করার অধিকার রয়েছে। পুরো সপ্তাহে মাত্র একটি আয়াত নিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ অনেকেরই হবে। ব্যাপক মানুষ যখন নির্দিষ্ট এক বিষয়ের অধ্যয়ন শেষে হাজির হবেন, ইমাম সাহেব তখন তার সামনে অধিকতর সমঝদার শ্রোতামণ্ডলীকে পাবেন। দ্বীনের আলোচনায় তখন প্রাণ ফিরে আসবে। খুতবা ও খুতবা-পূর্ব আলোচনা তখন আর আগের মতো একতরফা হবে না, বক্তব্যের বিষয়গুলো শ্রোতার অন্তরে অনুরণিত হতে থাকবে।
এ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় আল্লাহ-রাসূলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা তৈরি হবে। ফলে 'কোরআন পরিত্যাগকারী'র অভিযোগ থেকে আমাদের মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ দেশে সব ইমাম-খতিবকে এ মহতী মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
khan_books@yahoo.com
No comments