অবিলম্বে খুঁটি বসান, এলাকাবাসীকে বিপদমুক্ত রাখুন-গাছের সঙ্গে বিদ্যুৎ লাইন
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ছাড়াই শত শত কিলোমিটার খুঁটি বা খাম্বা বসানো হয়েছিল। এই খাম্বার ব্যবসা করে বিএনপির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এ সম্পর্কিত বরগুনা জেলার খবরটি ঠিক তার বিপরীত। খুঁটির অভাবে সেখানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন চলছে গাছ ও বাঁশের সহায়তায়।
প্রথম আলোর বরগুনা প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বলা হয়: বৈদ্যুতিক খুঁটি ছাড়াই গাছ ও বাঁশের সঙ্গে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আর গ্রাহকেরা বাঁশের খুঁটি থেকে নামিয়ে সংযোগ নিয়েছেন বাড়িতে। বরগুনা সদর উপজেলার তিনটি গ্রামে এ রকম প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সঞ্চালন লাইন থেকে গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
এ ধরনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও সংযোগ বেআইনি ও অত্যন্ত বিপজ্জনক। জীবন্ত গাছ অতিমাত্রায় পরিবাহী; কোনো কারণে তার ছিঁড়ে গেলে পুরো গাছ বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। বাঁশের খুঁটিও অনিরাপদ। কিন্তু এসব নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আদৌ মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। থাকলে চার-পাঁচ বছর ধরে এই বেআইনি ও বিপজ্জনক কাজ তারা করতে পারত না। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অজুহাতও ধোপে টেকে না। তিনি বলেছেন, ঠিকাদারের অনীহার কারণে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো যায়নি। তাহলে খুঁটি ছাড়া কীভাবে সেখানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হলো? এটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালারও পরিপন্থী। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
গ্রাহকদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ যা খুশি তা করতে পারে না। নিয়মিত বিল পরিশোধ করার পরও গ্রাহকেরা নিরাপদ সঞ্চালন লাইন পাবেন না কেন? অবিলম্বে বরগুনার উল্লিখিত গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর ব্যবস্থা করুণ। বিদ্যুৎ সঞ্চালন সাময়িক বন্ধ রেখে হলেও খুঁটি বসাতে হবে। আশা করি, নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা ভেবে গ্রাহকেরা সাময়িক এ অসুবিধা মেনে নেবেন।
এ ধরনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও সংযোগ বেআইনি ও অত্যন্ত বিপজ্জনক। জীবন্ত গাছ অতিমাত্রায় পরিবাহী; কোনো কারণে তার ছিঁড়ে গেলে পুরো গাছ বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। বাঁশের খুঁটিও অনিরাপদ। কিন্তু এসব নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আদৌ মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। থাকলে চার-পাঁচ বছর ধরে এই বেআইনি ও বিপজ্জনক কাজ তারা করতে পারত না। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অজুহাতও ধোপে টেকে না। তিনি বলেছেন, ঠিকাদারের অনীহার কারণে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো যায়নি। তাহলে খুঁটি ছাড়া কীভাবে সেখানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হলো? এটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালারও পরিপন্থী। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
গ্রাহকদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ যা খুশি তা করতে পারে না। নিয়মিত বিল পরিশোধ করার পরও গ্রাহকেরা নিরাপদ সঞ্চালন লাইন পাবেন না কেন? অবিলম্বে বরগুনার উল্লিখিত গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর ব্যবস্থা করুণ। বিদ্যুৎ সঞ্চালন সাময়িক বন্ধ রেখে হলেও খুঁটি বসাতে হবে। আশা করি, নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা ভেবে গ্রাহকেরা সাময়িক এ অসুবিধা মেনে নেবেন।
No comments